,
(9171551717515555510195)
তাও বা গা আলাইহি রহমতুল্লাহিল বারী
ভাষাস্তরঃ
] প্রকাশনায়ঃ | রী আল হারুনী রিসার্চ একাডেমী। . প্র
আবুল ইরফান মুহাম্মদ ইদ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র। উৎসর্গ এ সহযোগিতায়ঃ রি তানুল কামেলীন, কুদওয়াতুল মাশুকীন, মাহবুবে নাযনীন, গীরে পীরানে ডি এম.এম. মামুনুর রশীদ | | । রূহ ওয়া রওয়ানে আশেকান, আফতাবে হেদায়ত, মাহতাবে বেলায়ত শাহস্ হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। |. সৈয়দ আমিনুল হক ওয়াছেল ছানা হারা যারা প্রকাশকালঃ ১ম প্রকাশ | যার শানে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর বিশিষ্ট খলিফা মওলানা আব্দুল হা ১০ ভাদ্র ১৪১৩ বাংলা কাঞ্চনপুরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ নিউ ইন আমিন নী হে” কহেদাল হাদী হীন” ২৫ আগষ্ট ২০০৬ইংরেজী ?
গ্রহ স্বতঃ সর্বস্ব আ.ও.স.পরিষদ কর্তৃক সংরক্ষিত। সৌজন্য হাদিয়াঃ ৬০ (ষাট) টাকা মাত্র।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ ণ মুদ্দাযিবুহুল আলী) |
গ্রাম+ডাকঃ হারুয়ালছড়ি, থানাঃ ফটিকছড়ি, জেলাঃ চট্টগ্রাম
.. ফোন- ০১৮৯-৯৮১৩৩২,০৬১১-৩০৯৫৩৭৪।,
মুদ্রণেঃ তৈয়্যবীয়া কম্পিউটার একাডেমী এন্ড প্রিন্টার্স
২৪নং স্কুল মার্কেট, কাটিরহাট, হাট হাজারী, চট্টগ্রাম। ফোনঃ ০১৮৭-২২৪৩৪৯, ০১৮৫-৬৬৮৭৮৯
অনুবাদকের কথা
অমূলক আশঙ্কার প্রত্যুত্তরে বলছি।
আইনায়ে বারী প্রণেতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
আউলিয়ার কারামাত সত্য ও তা গোপন রাখা প্রসঙ্গে
হযরত গাউছে পাকের জ্যোতিতে মুরাকাবায় এক ব্যক্তি জুলে ভস্ম হয়ে
ফানা হবার বর্ণনা
৭। গাউদ্ুল আযম “রাদিয়াল্লাহু আনু"্র কৃপায় মৃত্যু বাঘের পাঞ্জা থেকে মুক্তি লাভ ও পঞ্চযুগ আয়ু বৃদ্ধি
৮। গাউছুল আযমের নামের গুণে দুষ্ট জ্বীনের কবল থেকে রক্ষা
৯। গাউছে পাক “রদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রতি ভক্তিতে দুইকূলে আগুন হতে যুক্তি
১০। গাউছে পাকের প্রতি অশিষ্টতায় অলির বেলায়ত চ্যুতি
১১। গাউছুল আযমের নাম স্বরণে বাঘের কবল থেকে মুক্তি
১২। গাউছে পাকের নামের বরকতে বিষধর সাপের আক্রমন থেকে মুক্তি
১৩। ধুরুং নদীর গতি পরিবর্তন
১৪। প্রয়োজন মুহুর্তে হাদিয়া উপস্থিত হবার বিবরণ
১৫। গাউছে পাকের দয়ায় বাঘের পাঞ্জা থেকে এক ব্যক্তির মুক্তি লাভ
১৬। গাউদ্থুল আযমের কৃপায় মৃত্যু পাঞ্জা থেকে এক সপ্তহের অবকাশ লাভ
১৭। বাদশাহে হিন্দ জনাব হযরত মুহাম্মদ ছালেহ লানুরী ও গাউছে
মাইজভান্ডারী “রছিয়াল্লাহু আনহুমা”র কৃপায় ডুবে মরা থেকে প্রাণ রক্ষা
১৮। গাউছে পাক 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আননু"র কৃপায় সুস্থতা লাভ "
১৯। হযরত গাউছে পাক 'রছিয়াল্পীহু আননু"র মহান শানে বেয়াদবীর কারণে
এপ ছাহেবে কারামাত অলির বেলায়ত চ্যুতির বিবরণ |
২০। গাউছে পাক রাদিয়াল্লাহু আনহু'র খাদের প্রাচুর্যের বয়ান
২১। পাদুকাতলের মাটিতে ব্যথা নিরাময়
২২। হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী “রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কৃপায় সর্বপ্রকার
বে গ-বালাই ও আক্রমণ থেকে আখক্ষেত রক্ষা
পে 2৯০০ ৫2:/%/%2
২৩; হ?€ দুশামান হয়ে বাঘ তাড়িয়ে মুরিদের প্রাণ রক্ষা ২৪। বেছাল শরীফের পর সশরীরে দর্শন দান
১০৩
১০৫
অনুবাদকের কথা
সমন্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য। অগণিত দরূদ ও সালাম রহমতুল্লিল আলামীন মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ ও তাঁর আল, আহাল, আসহাব সকলের প্রতি। পুষ্পিত শ্রদ্ধার্ঘ্য যুগে যুগে প্রেরিত সত্যের সকল দিশারী আউলিয়াগণের তরে। তাহিয়্যাহ-অভিবাদন অলিকুল সম্াট গাউছুল্লাহিল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্বিয়ানহুল্লাহুল বারী"র রাঙা চরণে নিবেদন পূর্বক শুরু করছি।
গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর গাউছিয়তের আলোময় পরশে হাজারো পথহারা পেয়েছে পথের দিশা এবং এখনো পাচ্ছে। জংধরা লৌহ সদৃশ কদর্য মানবান্তর এই পরশমণির সহবতে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে এবং হচ্ছে। তাঁর তুরিকায় অসংখ্য অলিউল্যাহ জন্ম নিয়েছে এবং নিচ্ছে। হিংসা, হানাহানির দাবানলে চতুর্দিক যখন নমরূদের তস্তীগ্রিকুত্ড, তখন বাগে খলীল সদৃশ মাইজভান্ডারী তৃরিকার পুষ্পিত কাননে মুক্তিকামী মানুষের ভীড়; যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালের বিবর্তনে এই তরিকার বিস্তৃতি দেশ-মহাদেশের গন্ভি পেরিয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এ দরবারের স্বকীয়তা ও মূলতত্্ব নিয়ে অনুসন্ধিৎসু মানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই। তাদের কৌতুহলী আমার খোরাক যোগাতে গবেষকদের কলমও চলছে কাগজের বুকে। কিন্তু পিচ্ছিল ময়দানে নবীন কলম সৈনিকরা হোঁচট খাচ্ছে বারংবার। মৌলিকতের পরিবর্তে আনুষঙ্গিক দিকে মোড় নিচ্ছে গবেষণা।
হযরত গাউছুল আযম 'রদ্িয়ান্হুল্লাহুল বারী"র ইন্তেকালের শত বৎসরের ভিতর তত্ব ও তথ্যের এ প্রকট সঙ্কট ভবিষ্যৎ অস্তিত্বকে করেছে প্রশ্ন সাপেক্ষ। সঙ্কট মোকাবিলায় সমুচিত পদক্ষেপ এখনও অনুপস্থিত প্রায়। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এ মহান অলিউল্যাহর খলিফা ও ভক্ত-শিষ্যদের লেখিত গ্রহ্থাবলীর সংরক্ষণ ও প্রকাশনার উদ্যোগ হতাশা ব্যঞ্জক। বাজারে মাইজভান্ডারী রচনাবলী বলতে গুটি কয়েক গানের বই ও অছিয়ে গাউছুল আযম রচিত কয়েকটি গ্রন্থ ব্যতীত উল্লেখযোগ্য অন্য কোন গ্রন্থ পরিদৃশ্যত হয় না বললেই চলে। তাই উদ্ধৃতি গ্রন্থের অভাবে বিদ্মিত হচ্ছে গবেষণা কর্ম। আপ্রাণ প্রচেষ্টা সেও সঠিক ও মৌলিক তত্ব ও তথ্য পরিবেশনে বার্থতার দায়ভার নিরবে মাথা পেতে নিতে হচ্ছে নবীন্দের।
এ পরিস্থিতির কিয়দ সমাধান কল্পে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর বিশিষ্ট খলিফা জ্ঞান সমুদ্র আবুল বরাকাত আব্দুল গণি আচ্ছাফী আল মকবুল কাঞ্চনপুরা রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত "*আইনায়ে বারী ফি তরজুমাতে গাউছিল্লাহিল্ আযম
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২
মাইজভাভারী” গ্রন্থখানা অনুবাদের স্বপ্ন দীর্ঘদিন যাবৎ অন্তরে লালিত, কিন্ত জ্ঞানের স্বল্পতা ও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই প্রারস্তিকা স্বরূপ প্রথম অধ্যায়ের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদের অনুবাদ করতঃ ““কারামাতে গাউছুল আযম পযয়িক্রমে পুরো গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ পাঠকদের খেদমতে উপস্থাপন করবো, ইনশা _ আল্লাহু তায়ালা। | এ পরিচ্ছেদে গ্রন্থকার শুধু কারামত বর্ণনা করেননি বরং কারামাতের সাথে সাথে শরীয়ত, তরিকত, মারফত ও হাকিকতের সৃক্ষ্লাতিসূক্্ম সমস্যার সমাধানও দিয়েছেন। মা'রফত ও হাকিকতের এমন কতেক গৃঢ় তত্ব উপস্থাপিত হয়েছে যা স্তুল দৃষ্টির বিচারে দুবোঁধ্যি ও বক্র বলে ভ্রম হতে পারে; তবে দ্বিতের পর্দা অপসারিত হলে . আয়াতে বায়েনাহ তথা সুস্পষ্ট নিদর্শন রূপে বিবেচিত হবে নিঃসন্দেহে। বচনে নয় সাধনায়, তর্কে নয় ভক্তিতে, ইন্ড্রিয়ানুভূতিতে নয় অতিন্দ্রিয় চেতনায়, দৈহিক নয় আতিক, আকৃল তথা বিবেকের মানদন্ডে নয় ইশক বা প্রেমের তুলাদন্ডে, তা'লীম তথা শিক্ষায় নয় তরবিয়ত তথা দীক্ষায় লব্ধ জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হতে প্রত্যাশী সকল খোদা পথযাত্রীর জন্য গ্রন্থটি রাহবর তথা পথ প্রদর্শকের ভূমিকা রাখতে সক্ষম। উল্লেখ্য যে একই বিষয়ে পরম্পর বিরোধী মতবাদ দুর্টির একটি সত্য অপরটি মিথ্যা এমন ধ্যান-ধারণার পোষক স্থুলদর্শীদের দৃষ্টিতে তাসাউফের অন্য দশটি গ্রন্থের মত এটিও শিরকের কুন্ড বলে বিবেচিত হতে পারে। বস্তুতঃ অবস্থা ও অবস্থান দূরতে এ ধরণের পরষ্পর বিরোধী মতবাদের উভয়টিই সত্য বলে প্রমাণিত। যেমন ধরুন, এক প্রবাসী বাঙ্গালী যদি আমরিকা থেকে ফোন করে জানায় এখন রাতঃ ১২টা, উত্তরে বাঙালী আত্ীয়টি এ কথা বলবেন যে, এখন দিনের ১০টা। কিন্তু কেউ কাউকে এ প্রশ্ন করবে না যে, রাত কোথা পেলে বা দিন কোথা পেলে? বরং উভয়ে উভয়ের মতকে ভৌগলিক দূরতের কারণে সত্য বলে মানবে এবং মিথ্যার অপবাদ দেবেনা।
বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, ভৌগলিক দূরতের কারণে এমন পরস্পর বিরোধী মত
আমরা নির্দিধায় মানলেও ধর্মীয় ক্ষেত্রে এমনটি মেনে নিইনা। ফলতঃ ফিৎনা-ফ্যাসাদ দিন দিন বেড়েই চলছে। অথচ ধর্মীয় ক্ষেত্রেও এমন দৃষ্টান্ত হাজারো রয়েছে। যেমন
মহানবী "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা*কে দেখে আবূ জাহল আর সিদ্দিকে আকবর
'রাছিয়াল্লাহু আনহুর মন্তব্য পরম্পর বিরোধী: কিন্তু নবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা" উভয়টি সত্য বলে মত প্রকাশ করেন। মোদ্দা কথা ভৌগলিক দূরতের কারণে পরম্পর বিরোধী মতামত যেমন সত্য বলে বিবেচিত অনুরূপ ঈমান, আমল ও
নৈকট্যের ক্ষেত্রে অবস্থান ও অবস্থার দূরতে এ ধরনের পরম্পর বিরোধী মতবাদের উভয়টিই সত্য। এ বাস্তব সত্য উপলব্ধিতে সক্ষম ব্যক্তিরা কাউকে কাফের মুশ্রেক বলে তিরক্ষা্ন করেননা, বরং নিজের ধর্ম-কর্ম নিয়ে নিজে ব্যস্ত এবং অন্যকে সত্য
দর্শনের দীক্ষা দানে নিয়োজিত থাকেন।
আল্লামা মকবুল লেখিত আইনায়ে বারীর ভাষান্তরিতাংশের কোন মাস্আলা যদি কারো দৃষ্টিতে শরীয়তে মুহাম্মদীর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়, তবে তা দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্য ও অবস্থা এবং অবস্থান দূরতের কারণে বলে ধরে নিতে হবে। এখানে বর্ণিত মাসআলা সমূহ কুরআন, হাদীস, এজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সুপ্রমাণিত; যা আসলে শরআর সাথে সম্পূর্ণ সুসামঞ্জস্য রাখে।
মূলগ্রন্থের সাথে হুবহু মিল রেখে সরল ভাষায় অনুবাদের প্রচেষ্টায় সর্বসামর্থ্যে রত ছিলাম; এতদ সত্ত্বেও কোন প্রকার ব্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে তার দায় অনুবাদকের উপর বর্তাবে, মূল গ্রন্থকারের পরে নয়।
' কোন প্রকার ভুল-ত্রুটি দৃশ্যত হলে অবগত করানোর জন্য সবিনয় অনুরোধ রইল। পরিশেষে গ্রন্থটি যাদের সাহায্য-সহযোগীতায় প্রকাশিত তাদের প্রতি রইল আন্তরিক মুবারকবাদ। গ্রন্থটি পাঠ করে যদি পাঠকবৃন্দ গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী 'রদ্ধিয়ানহুল্লাহুল বারী*র অলৌকিক জীবন সম্পর্কে অবগত হয়ে কিঞ্চিত উপকৃত হয় তবে এ ক্ষুদ্র প্রয়াস সার্থক।
বিনীত অনুবাদক।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪
অমুলক আশঙ্কার প্রত্যুত্তরে বলছি
বাহরুল উল্ম আল্লামা আবুল বরাকাত মুহাম্মদ আব্দুল গণি আচ্ছফী আল মকবুল কাঞ্চনপুরী “রহমাতুল্লাহি আলাইহি" রচিত 'আইনায়ে বারী শরীফ" সূফী দর্শনের সার সংক্ষেপ। গ্রন্থটি আরবী, ফার্সী, উর্দু ও হিন্দী ভাষার সংমিশ্রণে রচিত বিধায় বাংলা ভাষী ভদ্র মহোদয়গণ এটার রসাস্বাদনে বঞ্চিত। বাংলা ভাষায় অনুবাদের প্রশ্নেও অধিকাংশ ভাষাজ্ঞ ব্যক্তি নেতিবাচক অবস্থানে। তারা আপন অবস্থানের পক্ষে হেতু দেখাতে গিয়ে যা বলেন তা নিছক অমুলক আশঙ্কা মাত্র তাদের বক্তব্য সমষ্টিকে ক, খ ও গ এ তিন ভাগে বিন্যস্ত করে অধমের মতামত সত্যসন্ধানী বিবেকবানদের সমীপে উপস্থাপনের প্রয়াস পেলাম। জানিনা এ বক্তব্য বিবেকের রূদ্ধ দ্বারে করাঘাত করতে সামর্থ হবে কিনা? আর করলেও তারা বদ্ধ কপাট খুলে আলোর মিছিলে শামিল হবেন কিনা? অগ্রে-পাছে কেউ থাকুক আর নাইবা থাকুক,খোড়া পায়ে একলা হলেও চলতে হবে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল, একলা চল একলা চলরে।'
এ বিশ্ব কাননে এমন দুইজন মানব সন্তান খুঁজে পাওয়া যাবেনা; যারা উভয়ে প্রতিটি বিষয়ে একমত। মানুষের আকৃতি-প্রকৃতি যেমন ভিন্ন ভাবধারাও তেমনি ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক। 8188 প্রত্যেক ব্যক্তির চিন্তাধারা তার সামর্থ পরিমাণ।” সুতরাং নিজের ধ্যান-ধারণাই সবোৎ্কৃষ্ট জ্ঞান করা অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়। কথিত আছে যে, হযরত আবু তুরাব “রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র জনৈক মুরীদ স্বীয় সাধনা বলে মারফতের অনেক উচ্চস্থানে অরোহিত হন। আবু তুরাব “রহমাতুল্লাহি আলাইহি" তাকে বললেন, হযরত বায়েজীদ বুস্তামী “রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র সাহচর্য
তোমার জন্য অতিশয় ফলদায়ক হত। গীরের কথার উত্তরে মুরীদ বললেন, “আমিতো '
বায়েজীদের প্রাপ্ত খোদাকে রোজ শতবার দেখে থাকি।" মুরীদের কথা শুনে পীর বললেন, "তুমি তা দেখছ তে'মার হিসেবে! কিন্তু হযরত বায়েজীদ "রহমাতুল্লাহি আলাইহি" থেকে ফয়েষ লাভের পর আল্লাহর সাথে দেখা হতো তার হিসেবে। বস্তুতঃ দীদারে এলাহীর প্রকার রয়েছে বিভিন্ন রকম।”
ওস্তাদের কথায় মুরীদের অন্তরে হযরত বায়েজীদ “রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র সাথে দেখা করার আগ্রহ সৃষ্টি হল। অতএব, একদা তিনি স্বীয় মুর্শিদকে সঙ্গে নিয়ে হযরত বায়েজীদ "রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র বাউরাীতে গেলেন? তার: যখন তার বাড়ী পৌছলেন, হযরত বায়েজীদ "রহমাতুল্লাহি আলাহহি' তখন বাইরে কোথাও যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে সাক্ষাৎ হয়ে গেল। হযরত বায়েজীদ 'ব্রহমাতুল্লাহি আলাইহি" ও উক্ত মুরীদের মাঝে
€ ৯০৮ প৮৭-৩
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫
যখন চার চোখের মিলন হল। পরস্পর পরম্পরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। সহসা মুরীদের অন্তরদেশ কেঁপে উঠল। তিনি হযরত বায়েজীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র চোখের চাহনী সামলাতে পারলেন না। তার দেহে কম্পন শুরু হল এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি প্রাণ ত্যাগ করলেন। “ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।' (তাযকেরাতুল আউলিয়া)
পিতা-পুত্রে মতানৈক্য, মা-মেয়েতে মতানৈক্য, ভাই-ভাইয়ে মতানৈক্য, বোন-বোনে মতানৈক্য, বন্ধু-বন্ধুতে মতানৈক্য, সহকর্মী-সহকর্মীতে মতানৈক্য, গুরু- শিষ্যতে মতানৈক্য, নেতা-কর্মীতে মতানৈক্য, এক কথায় কম-বেশী মতানৈক্য সবখানেই বিদ্যমান। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রত্যেক ব্যক্তিরই আপন আপন মতামতের স্বাধীনতা থাকা উচিৎ। সেই সাথে পরমত সহিষ্কৃতার মহৎ গুণটিও। এ গুণটি অনুপস্থিত বিধায় আজ ফিৎনা-ফ্যাসাদের মহাপ্লাবনে ধবংস প্রায় ধরিত্রী।
কি লিখতে কি লিখছি? বেমালুম ভুলে বসেছি। আসলে আমি এক মনভুলা কিসিমের লোক। সম্মানিত পাঠক! নিশ্চয় আমার আবোল -তাবোল কথায় বিরক্ত হচ্ছেন; তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবুও কি করবো? রথী-মহারথীদের অপরিনামদরশী কথামালার ফুলঝুড়িতে খেই হারিয়ে ফেলেছি। “কি করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন বনে যাই" বাণীর মর্ম মতে স্বীকার করছি যে, আমি অজানার উদ্দেশ্যে আড়ুষ্ট পায়ে ছুটে চলেছি। রীতিমতো যুদ্ধে মেতেও তরুণ মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অক্ষম তাই ক্ষমাপ্রার্থী।
শত চেষ্টা সত্তেও “মন" নামক পাগলা ঘোড়াটি যখন সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ছুটে তখন দর্শকের কাতারে দাড়িয়ে তার উম্মাদনার দৃশ্য হেরি। নিজেকে নিজে বদ্ধ উম্মাদ বলে তিরক্ষার করি। অনেক দিন সে তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিল। কোন প্রকার ছুটাছুটি করেনি, তাই শান্তি ও স্বস্তিতে ছিলাম। সম্প্রতি একজন মওলানার সাথে আইনায়ে বারী গ্রন্থের অনুবাদের ব্যাপারে আলোচনা হলে তার খোঁচাখুচিতে সে আবার উদ্দেশাহান ১ গ্যালারিতে: আপনারাও আসুন আমার সারিতে। দেখি সে কোথায় গিয়ে শ্রান্ত হয়ে যাত্রা বিরতি দেয়।
নিস্পৃহ হাতে লাগামটি মোটামুটি ভাবে ধরলেও মোটেই কষে ধরিনি; থুঙ্ব! কষে ধরার সাধ্যই অমার নেই. তাই ধরতে পারিনি। লংঘন কারেশা। তার সাথে আমার দ্বিমত হ
ভাবে অজানা গন্তব্যের পথে স্ুুটেছে বিদাৎ বেগে। আমি আবার দর্শক
উদপ্লধ্ যে, সে উম্মাদ হলেও সীমা
তার সঙ্গত উম্মাদনায় আমি ফুল: প্রতিবারের মতো এবারও
সুতরাং
হয়নি: তবুও হস্ত মম আড়
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ৬ _ “মন আমার পাগলা ঘোড়া ছুটছে উদ্দেশ্যহীন, সাঙ্গ দিতে তারে নিস্তেজ দেহ মম পরাধীন।
সুধী পাঠক! আসুন আমরা তাদের অভিযোগ গুলির ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুত হই। প্রথমে শবদেহ গুলো ধারাবাহিক ভাবে সামনে রাখি।
. (ক) কতেক আলেম ওলমাকে বলতে শুনা যায়; আইনায়ে বারী ভাষান্তরিত হলে সাধারণ মানুষ পথভ্রষ্ট হবে।
(খ) আবার অনেক আলেম-ওলমা বলেন, গ্রন্থটির মর্মার্থ বুঝা দুঃসাধ্য। সুতরাং অনুবাদ করতে গেলে ভুল-্রান্তির সম্ভাবনাই বেশী, তাই অনুবাদ না করাই উচিৎ। (গ) এটি আলেমদের জন্য আওয়ামদের জন্য নয়।
(ক) প্রথম লাশটি যাদের আড়াইশ" গ্রাম জিহ্বার আঘাতে দুই ঠোটের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বের হয়ে আমাদের কর্ণে অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের বলছি; জনাব বেশ সুন্দর কথাইতো বলেছেন। “আইনায়ে বারী ভাষান্তরিত হলে সাধারণ মানুষ পথভ্রষ্ট হবে।” এরার বলুন তো দেখি কুরআন কি সকলের জন্য হেদায়ত? নিশ্চয় নয়। এ বিষয়ে আমার সাথে সকলই একমত হবেন বলে আশা রাখি। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, ১১৪..81131 4১ 4.১১1০3 1১১৫4 544১91১৯১১৫ 4১০১১ “এর দ্বারা তিনি অনেককেই বিভ্রান্ত করেন আবার বহু লোককে সপথে পরিচালিত করেন। বস্তুতঃ তিনি ফাসেক ভিন্ন অন্যদের বিভ্রান্ত করেন না।” সূরা বাকারাহ ২৬ নং আয়াত শেষাংশ। অন্য আয়াতে ঘোষিত হয়েছে, 4০95) (53৯৩ ০1১11015215 ১৯৪ | | “এটা মানব জাতির জন্য স্পষ্ট বর্ণনা এবং মুত্তাকীদের জন্য দিশারী ও উপদেশ।” সূরা আলে ইমরান ১৩৮নং আয়াত । অপর আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন ঘোষণা দেন, ৯১১২৩ 71এ| 4৭১০ ৮ ০০ 4] 45 ৩৪ ১৪:০১ 1১2 এ 6423 ১3৭1 91 ৩541 ০৪ “এটা দ্বারা আল্লাহ তার সন্তুষ্টিকামীদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং নিজ অনুমতিক্রমে অন্ধকার হতে আলোকে বের করে আনেন এবং তাদেরকে সিরাতে মুস্তাকীমে পরিচালিত করেন।” সূরা মায়িদা ১৬নং আয়াত। অন্য আয়াতে বিবৃত হয়েছে, |-০১1 1০13 1১1) 0৮5 ১৬৪] 411 05198৫ 919 ১423১3 ০০৪ ১4১ 01441411292 শ্যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে জেনে রাখুন যে, কোন কোন পাপের জন্য আল্লাহ তাদেরকে শান্তি দিতে চান এবং মানুষের মধ্যে অনেকেইতো সত্যত্যাগী।”” সুরা মায়িদা ৪৯নং আয়াত শেষাংশ। অন্য আয়াতে রয়েছে, ₹৫ণ্৯ ২৪ 4-১111$105 -০৯৮১$৭] ৯৯০৩ ৬৬৩ ১১৬০৭ ৪1৭ এ৩ ১০০ ০০৭০৬ টহে মানব সম্প্রদায়! তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭
এবং তোমাদের অন্তরে যা আছে তার প্রতিকার এবং ম্মিনদের জন্য হেদায়ত ও রহমত।” সুরা ইউনূস ৫ ৭নং আয়াত। অন্য আয়াতে বিবৃত হয়েছে, 41০11) ১৯০৩২1১৪1১১ ৪৩৯১-১১1৯৯/০৯। 1643031 ৮1 “আমিতো আপনার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি যারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাদের সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য এবং মুমিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়া স্বরূপ।” সূরা নাহল ৬৪নং আয়াত। অন্য আয়াতে বিবৃত হয়েছে, এ১/০। 1) ০১০০ 5১১০3 ২৯০3 ৪৩৬3 ৩৪,৫11 ৯4৫11 “আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি কিতাব যা প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং পথনিদের্শ, দয়া ও. সুসংবাদ আত্মসমর্পণকারীদের জন্য।” সূরা নাহল ৮৯নং আয়াত শেষাংশ। অন্য আয়াতে বিবৃত হয়েছে 3১ ০২, $41 7৯১3০৬৩৩১1০ 018 ০ ০1১৯১৬ |)... 1 ১১|| ২১) “আমি এ কুরআনে এটাই অবতীর্ণ করি, যা মুমিনদের জন্য আরগ্য ও রহমত কিন্তু ওটা জালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।”সূরা বাণী ইস্রাঈল ৮ইনং আয়াত। এ বিষয়ে আরো অনেক গুলো আয়াত উপস্থাপন করা যায় কিন্ত বিবেকবানদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। |
উক্ত আলোচনা হতে প্রতীয়মান হয় যে, এ কুরআন মুত্তাবীদের জন্য হেদায়ত, রহমত, আরোগ্য ও সুসংবাদ আর ফাসেকদের তরে পথভ্রষ্টতা ও রোগ বৃদ্ধিকারক। প্রিয় পাঠক! তাকওয়া ও ফিস্ক, মুত্তাকী ও ফাসিকের পরিচয় বর্ণনা করতে গেলে আলাদা একটি গ্রন্থের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্যও তা নয়, তাই সেদিকে না গিয়ে মূল বিষয়ে ফিরে আসছি।
যে সকল আলেম-ওলামা বলে বেড়ান, “আইনায়ে বারী ভাষান্তরিত হলে সাধারণ মানুষ পথভ্রষ্ট হবে।' তারা যদি সাধারণ মানুষ বলতে ফাসেকদের বুঝান তবে তাদের সাথে আমাদের কোন মতানৈক্য নেই। আর যদি মূলগ্রহ্থের ভাষা বুঝেন না এমন জন্য হেদায়ত? আত্মাহঙ্কারে অন্ধ বধির ভাষাজ্ঞানী না হলে নিশ্চয় নেতিবাচক উত্তরই দিবেন। অহস্কারীদের শুধু একথাই বলবো, ১২৪ 017৯০ 4৫ ২১৯১ ৭11| 01 অর্থ “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক উদ্ধত অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।” সুরা লোকমান ১৭ নং আয়াত শেষাংশ। তাদের নিকট কুরআনের আহবান কি ভাবে পৌছানো সম্ভব? নিশ্চয় অকপটে বলবেন, তাদেরই ভাষায়। যুগে যুগে আলেমে রব্বানীগণ মাতৃভাষায় কুরআন চর্চার
প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন বিধায়তো অসংখ্য ভাষায় কুরআনের অনুবাদ গ্রন্থ
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮ দেখতে পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীগণ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভের সুযোগ পেয়েছে। 'বিদআত' জুরে আক্রান্ত হয়ে অনুবাদ করা বিদআত ফতওয়া দিলেতো দ্বীনের দাওয়াত সে বিদআত দৈত্যগ্রস্থ উম্মাদ পর্যন্তও পৌছতোনা। এ বিষয়ে সকলে কম-বেশী অবগত যে, বিদআতেরও প্রকার আছে এবং সর্বপ্রকার বিদআত গোমরাহী নয়।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, দ্বীনে ইসলামের ব্যাপক প্রচারের জন্য বিভিন্ন ভাষায়
কুরআনের অনুবাদ যেমন প্রয়োজনীয়, অনুরূপ সূক্ষ্মতত্ব বিশ্লেষক কর্তৃক লেখিত বিভিন্ন গ্রস্থাবলীও সুফীবাদের মূলধারাকে নির্ভেজাল রাখার জন্য ভাষান্তরিত হওয়া বাঞ্থনীয়। “আইনায়ে বারী" গ্রন্থখানাও তাসাউফের নিখাঁদ বিশ্লেষণ। তাই এটি বিভিন্ন ভাষায় ভাষান্তরিত হওয়া জরুরী।
(খ) যে সমস্ত আলেম-ওলমার কথা, “আইনায়ে বারীর মর্মার্থ বুঝা দুঃসাধ্য। সুতরাং অনুবাদ করতে গেলে ভূল-ভ্রান্তির সম্ভাবনাই বেশী; তাই অনুবাদ না করাই উচিৎ।” কতইনা সুন্দর উপদেশ। “পিছলে পড়ার ভয়ে হাটতে মানা।” শিশু যখন হাটা শিখতে শুরু করে তখন পিছলে পড়ে পা মচকে যাওয়ার আশঙ্কা অবশ্যই থাকে। কিন্ত সুবিবেচক মা বাবা কি শঙ্কিত হয়ে তাদেরকে বসিয়ে রাখবেন? না কি হাত ধরিয়ে হাঁটা শিখাবেন? মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন অবিবেচক পিতা-মাতা কি একজনও
দেখাতে পারবেন? যিনি “আছাড়ের ভয়ে হাঁটতে মানা।” নীতির অনুসরণে নিজের
সন্তানদের বিকলাঙ্গ বানাবার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাতার শিখতে গেলে ডুবে মরার ভয় আছে। কিন্তু বড়দের সহযোগীতা পেলেই শিশু হয়ে উঠে পরিপক্ক সাতারু। বড়রা যদি সাহায্যের পরিবর্তে জুজু দেখায় তবে নৌকা ডুবির দুর্ঘটনায় সাতার নাজানা ব্যক্তিটির কি দশাই না হবে? ভাবতেই সর্বাঙ্গ শিহরে উঠে। সোনা-গয়না দিয়ে (দূর কয়জনই বা দেয় সকলইতো নিচ্ছে সুতরাং "দ" বর্ণের স্থলে 'ন'ও পড়তে পারবেন।) নতুন বিবি ঘরে তুললে ঘর ডাকাতির আশঙ্কা চলমান সময়ে ৯৯% নিশ্চিত। তাই বলে বিয়ে করাই বন্ধ করে দিলে শত বছরের ভিতর মানব নামক প্রাণীটি পৃথিবী হতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এ ধরনের দৃষ্টান্ত হাজারো রয়েছে। এক কথায় কোন না কোন ধরনের ঝুঁকি . সর্বদা মানব জীবনকে তাড়া করে চলছেই। সড়ক দুর্ঘটনা, সন্ত্রাসীর বুলেট কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের হামলায় আহত বা! নিহিত হবার আশঙ্কায় শঙ্কিত মানুষ জীবিকার সন্ধানে প্রত্যহ ঘর থেকে বের হচ্ছে কর্মস্থানের উদ্দেশ্যে। ছাত্র-ছাত্রীরা ছুটছে শিক্ষা নিকেতনে। বেলা শেষে কেউবা সফল কেউবা বিফল, কেউবা সুস্থ কেউবা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্তারী- ৯
পঙ্গু, কেউবা জীবিত আবার কেউবা লাশ হয়ে ফিরছে। তবুও কেউতো ঘরের কোণে বসে থাকে না। কেননা ঘরের কোণেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। অন্যান্য ঝুঁকি বাদ দিলেও এখানে অনাহারে ধুকে মরার 1715 অবশ্য রয়েছে।
_ মহানবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা"র মাদানী জীবনের দ্বিতীয় সনে জিহাদের বিধান সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ হলে দুর্বল চিত্তের কিছু সংখ্যক মুসলমান মৃত্যু ভয়ে ভীত হয়ে এ ফরিয়াদ করেছিল; 005911-1-5 ৩১৫1৮501505 ০১৪ 4৯1 11--১১৯13৬ “তারা বল্ল, "হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর যুদ্ধ কেন আবশ্যক করে দিলে? আমাদেরকে আরো কিছুদিন বাঁচতে দিতে।” সুরা নেসা ৭৭নং আয়াতাংশ। তাদের প্রত্যুত্তরে আল্লাহ বলেন, ৬৫ 0 ০০)! ১৬৮১০ (৩১১ ও ৫৬1৩ ০৬৭ ১৫৫১ “তোমরা যেখানে থাক না কেন? মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই, এমনকি সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান করলেও।' সুরা নিসা ৭৮নং আয়াত সংক্ষেপিত।
মোটকথা জিহাদে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকলেও এর বিনিময়ে রয়েছে অসীম সাওয়াব। কলম সৈনিকরাও মসি চলাতে গিয়ে স্থলিত হয়ে ভরম করতে পারে: কিন্তু এর বিনিময়ে রয়েছে পুণ্য। মুজতাহিদ যদি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হন তবে তার জন্য রয়েছে দশটি বর্ণনান্তরে দুইটি পৃণ্য। আর যদি ভুল করে তাহলেও তার জন্য একটি পৃণ্য। হাদীসের বাণী,
২০০১ এ!১ ০1৮| 01৩ ৩০০০৯ ১৪০ এ ৩০১০] 01১9. ৭৮৪0] -1531৯1 ৯4১ ০৪৯। ০৯] এ৯৯ ১৯৭ ৬৪২৯ ৬৪৪৬৯
মহাগ্রহ্থ আলকুরআনের মূলবাণীর সংরক্ষক মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই। আল কুরআনের ঘোষণা, ১৬৯1 11)19১53111:1;) ১৯১1) “নিশ্চয় আমি অবতীর্ণ করেছি এ কুরআন এবং আমি নিজেই এর রক্ষক।" সুরা হিজর ৯নং আয়াত। তাই কুরআনে কোন প্রকার রদ-বদল কিংবা মনগড়া কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটেনি। কিন্তু মহানবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা'র হাদীসের ক্ষেত্রে অনেক গুলো বানোয়াট বাণী নবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা'র হাদীস বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। নবী 'সান্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা"র হায়াতে জিন্দেগীতে যেহেতু হাদীস সংকলন ব্যক্তিগত ও বিচ্ছিন্ন ভাবে সম্পাদিত হয় ফলে কালের দূরতে এগিয়ে আসা বিজ্ঞ সংকলকবৃন্দ আপন আপন সংকলনকে নির্ভেজাল রাখতে পেরেছেন এমনটি বলা যায়
না। অনুরূপ কুরআনে করীমের তাফসীর সমূহও সম্পূর্ণ নির্ভুল এমন দাবা করা চলে না।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১০ তাফসীরকারকগণ নিজস্ব দৃষ্টি ভঙ্গির নিরিখেই কতেক আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, তাইতো তাফসীর গ্রন্থেও মতানৈক্য পরিদৃশ্যত হয়। তবে তা বিকৃতির পর্যায়ে পড়লে অবশ্যই বর্জনীয়, অন্যথায় রহমত। হাদীসের বাণী, এ] ৪১৯ ২.৯) “জ্ঞানীদের মতানৈক্য (সর্বসাধারণের. জন্য) রহমত স্বরূপ। উল্লেখ্য যে, কোন মুফাসসির কিংবা মুহাদ্দিস কিংবা ফকীহ কেউই এ দাবী করতে পারবেন না যে, আমারই ব্যাখ্যা চুড়ান্ত। এর চেয়ে উন্নত কোন ব্যাখ্যা নেই। বরং উপস্থাপন করেছেন মাত্র। খলিফাতুল মুসলেমীন হযরত আবূ বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র শাসনামলে “যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারীদের বিরুদ্ধে খলিফা যুদ্ধ ঘোষণা করলে আপোষহীণ অগ্রিপুরুষটি যার রণ হুঙ্কারে সর্বদা তটস্থ ছিল কাফির, মুশরিক ও মুনাফিক চক্র, সে হযরত ওমর ফারুক 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যুদ্ধের বিরোধিতা করে বলেন, ধা 1১০১ 4 ৪ ০4: 47787 385 4041 41303 ১41 31413191585 ৩০৯ ০০111 4013 01 ০০৭ ২5 _4|]| 915 51০৯ ৭3৯33 4০5৩ ৭০ ৩০5 “আপনি মানুষদের সাথে কিভাবে যুদ্ধ করতে পারেন? অথচ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা বলেছেন; “আল্লাহ ভিন্ন উপাস্য নেই” না বলা পর্যন্ত মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। অতঃপর যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলেছে সে তার জীবন ও সম্পদকে আমার থেকে নিরাপদ করেছে। কিন্তু ইসলামের হকৃ ব্যতীত। (ইসলামী দন্ড বিধি মতে যদি শাস্তিযোগ্য হয় তখন শান্তি আরোপিত হবে।) আর সে ব্যক্তির ভাল-মন্দের হিসাব আল্লাহর হাতে।”? পু ফারুকে আযম “রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র আপত্তির জবাবে হযরত সিদ্দিকে আকবর “রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু' বলেন: ১১1০1 ০৯ ২০১ ০০ ০১২১ 41119 1৯16 3155 9111০ 59514411940 উ৯ ৪৪৫০] ৪৪১১ 1855 ৩15৯6118১০0: 44401 4১59 ভ11765558 “আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তার সাথে যুদ্ধ করবো, যেই "সালাত ও *যাকাত' এর মাঝে পার্থক্য করে। (অর্থ একটি ফরয মনে করে অন্যটিকে করেনা।) কেননা "যাকাত; মালের মাঝে ইসলামের হক তথা ন্যায্য প্রাপ্য। আল্লাহর শপথ। নবী "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা'র প্রতি প্রদান করেছে এমন একটি ছাগলছানা অথব: দড়িও যদি আমাকে প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়, তা না দেয়ার কারণে আমি অবশ্যই তার সাথে যুদ্ধ করবো।?
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১১
হযরত ওমর “রাদিয়াল্লাহু আনহু” 4৪৯, | “কিন্ত ইসলামের হক ব্যতীত।” বাণীর মধ্যে 'যাকাত' কে শামিল মনে করেননি বিধায় যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। হযরত সিদ্দিকে আকবর 'রছিয়াল্লাহু আনহু” .এ| $২ ২১৫১ ০১ “কেননা যাকাত মালের মাঝে ইসলামের হকৃ।” বাণীর মাধ্যমে ইসলামের হকের ব্যাপকতার দিকে ইিত করেছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এ হ্কু আর্থিক ও কায়িক উভয় প্রকারকে শামিলকারী। তায়ালা আনহু'র সিদ্ধান্তের যথার্থতা অনুধাবন করতে পেরে সর্বান্তঃকরণে মেনে নেন। তিনি বলেন, ০১৪ 0105311১৫5 ০21 ১৬ 0১৪,411 91 ০2১3 5৯৮০ 41155 - 3২11 4) “অতঃপর আল্লাহর শপথ! এটা অন্য কিছু নয় কিন্তু আমি যা দেখলাম, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আবূ বকর 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" অন্ত্করণকে জিহাদরে জন্যে প্রশস্থ করে দিয়েছেন। সুতরাং আমি অবগত হলাম যে, তীর সিদ্ধান্তই যথার্থ।”
প্রিয় পাঠক! উক্ত বর্ণনা থেকে আমরা নিন্মোক্ত বিষয়ের ধারণা পাই।
(১) সিদ্দিকে আকবর 'বদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" খলিফাতুল মুসলেমীন হওয়া সত্তেও হযরত ফারুকে আযম “রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু” তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা
করেছেন, অথচ তার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। আর আজকের দিনে সাধারণ একজন
সমাজপতির ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও টু শব্দটি করার জো নেই। (২) ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা স্বীকৃত বলেই ফারদকে আযম 'রদ্িয়াল্লাহু তায়ালা আনহু"র প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দিকে আকবর “রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনু" আপন সিদ্ধান্তের যথার্থতা ব্যাখ্যা করেছন। বর্তমান যুগের রাজা-বাদশাহরা কিন্তু এটাকে মোটেই আমলে নেয় না।
(৩) ফারুকে আযম “রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু"কে বিরোধী দলীয় প্রধানের এবং
_ সিদ্দিকে আকবর 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'কে সরকার প্রধানের হলে ভাবলে এমন
সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আজকের দিনে কি কল্পনা করা যা্চঃ আজকের সরকার প্রধানরা চায় শুধু গদি টিকিয়ে রাখতে আর বিরোধী দল চায় ধাককা দিয়ে ফেলে নিজে বসতে। না আছে আলোচনার সুযোগ, না আছে সঠিক সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মানসিকতা, আছে শুধু স্বেচ্ছাচারিতা আর বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা।
(8) ফারুকে আযম 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" মাযহারে নৃতকিল হক ও মাস্বায়ে
আইশিসাসিদক হওয়া সত্বেও সিদ্দীকে আকবর 'রদিয়াল্লুহু তায়ালা আনহু'র সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণিত হবার পর নির্দিধায় তা মেনে নিয়েছেন। অথচ আজ আমরা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ১২
অকাট্য প্রমাণ উপেক্ষা করে নিজের মতের যথার্থতা প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টায় গর্বিত। মসিতে পেরে না উঠলে অসি হস্তে তুলে নিই নিঃশঙ্ক চিত্তে। লেখার জবাবে বুলেট কিংবা বোমা ছুঁড়তে মোটেও কুষ্ঠিত নই। কিন্তু একবারও ভেবে দেখিনি যে, লেখককে হত্যা করলেও তার লেখা বেঁচে থাকবে। |
সম্মানিত পাঠক আমরা মুল প্রসঙ্গ হতে অনেক দূরে চলে এসেছি। আসুন আবার পূর্বের বিষয়ে ফিরে যাই। আল্লাহর কিতাব ব্যতীত অন্য কোন গ্রহের কের সম্পূর্ণ নির্ভুল এ দাহী করা চলে না। ইমাম শাফেয়ী 'রদযাল্লাু তায়ালা আনহু রচিত হু ..১ || 'আর রিছালত' গরহ্থধানা মাযনী তার সামনে আশি বার পড়েছেন। ইমাম শাফেছী প্রতিবারই ওটার কোন না কোন ভুল সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছেন। পরিশেষে ইমাম শাফেয়ী বলেন, এবার ক্ষান্ত দাও। আল্লাহ একথার স্বীকৃতি দেন না যে, তার কিতাব ব্যতীত অন্য কোন গ্রন্থ পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ হবে" (রুদ্দুল মুহতার ১মখন্ড ২৬৪ এসতাম্থুল ১৩২৭ হিঃ)
এক কথায় সম্পূর্ণ নির্ভুল ও বিশুদ্ধ হওয়াটা কিতাবুল্লাহর শান। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 41১ ০০3১১২০১১০৭ 4৮1৮ 4১023 এ কিতাবে বাতিল না সম্মুখ থেকে আসতে পারে না পিছন থেকে।” সূরা হা-মীম আসসাজদাহ ৪২নং আয়াত। আর মানব রচিত গ্রন্থে ভূল-ত্রান্তির সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, 4১314331411 ১৮ ১১০ ০০ 04৯43 -1১861১১৩। “যদি এ কুরআন আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো পক্ষ থেকে হতো তাহলে তারা তাতে অনেক মতানৈক্য পেতো।” সূরা আননিসা ৮২নং আয়াত।
একজন দার্শনিক বা চিন্তাবিদ কিংবা গবেষক হুট করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত
হবেন এমনটি ভাবার অবকাশ নেই। অবশ্যই চেষ্টা-প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকলে ক্রমানুয়ে সে সত্যঙ্ঞান লাভ করবেনই। অর্থ আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সত্যজ্ঞান দান করবেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন. 11১. +6:34811--৯81১4৯ ৩১ 9:28175716-158 এরহা নার প্রচেষ্টা চালায় অবশ্যই আমি তাদেরকে আপন রাস্তা দেখাবো, এবং নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন।”' সুরা আনকাবৃত ৬্নং আয়াত। হাদীসে পাকে এরশাদ হচ্ছে- এ, ১" এ 2৯ 3১৮ ১২৪১৮ ৪৭৫৩/1০৬৯ ০:7২৮৯০১ থে বাজ বিদ্যার্জনের জন্য কোন গন্থা অবলম্বন করেছে, আল্লাহ তায়ালা ত দ্বারা তাকে বেহেশতের পথ সমূহ হতে একটি পথে পৌছে দেন।"" মেশকাত শরীফা।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১৩
ভুলের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও গবেষণার প্রতি উৎসাহিত করে আলকুরআনে ঘোষিত হয়েছে, ১৮331 91911313১+71-3 “অতঃপর দৃষ্টান্ত গ্রহণ করো, হে দৃষ্টি সম্পন্নগণ।”' হযরত মুয়ায “রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" কর্তৃক গবেষণার মাধ্যমে ফয়সালা প্রদানের প্রতিশ্রুতির উপর মহানবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” “আলহামদু লিল্লাহ” বলে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, গবেষণার ফলাফল ভুল হোক বা বিশুদ্ধ হোক উভয় অবস্থায় প্রশংসনীয়। তাই বলবো ভুল-ভ্রান্তির ঝুঁকি উপেক্ষা করে “আইনায়ে বারী" ভাষান্তরিত হওয়াই উচিত। কেননা ভ্রান্তির ভয়ে চেতনালোকের ছার রুদ্ধ করে দিলে শুদ্ধ ও সত্যের প্রবেশটাও আপনা-আপনিই রুদ্ধ হয়ে যাবে। কবির ভাষায়,
উল্লেখ্য যে, ভুল-্রান্তির সম্ভাবনা মুক্ত নয় বলে একটি গ্রন্থকে যেমনিভাবে পূর্ণ বিশুদ্ধ কিংবা অভ্রান্ত বলা চলে না। অনুরূপ আংশিক ভুলের জন্য পুরো গ্রন্টিই ভ্রান্ত বলাও অনুচিৎ। আজকের সমাজে অনেক লেখক, গবেষক দেখা যায়, যারা মতানৈক্যের কারণে সর্বজন মান্য মহান ব্যক্তিদের গ্রন্থকে বস্তাপচা” বলতেও কুষ্ঠিত হয় না। আবার নির্লজ্জের ন্যায় তাদের গ্রন্থ হতে উদ্কৃতিও গ্রহণ করে।
শতাব্দী বা সহস্রাব্দ ধরে যাদের গ্রন্থাবলী বেচে আছে মুসলমানদের প্রেরণায়, নিজন্ব দৃষ্টি ভঙ্গিতে তাদের ভ্রান্ত বলে আর্তচিৎকার রত বুদ্ধিজীবিরা কি একবারও বিবেচনা করেছেন? তীদের বিস্তৃত জ্ঞানের তুলনায় নিজেদের জ্ঞানের পরিসর যে, খুবই সংকীর্ণ। নিজেদের যুক্তির মানদন্ডে সর্ববরেণ্য মহান ব্যক্তিবর্গকে ভ্রান্ত আখ্যায়িতকারীগণ নিজেদেরকে অন্রান্ত জ্ঞান করা সহ. প্রশংসিত হতে প্রলুব্ধ। খোদপছন্দীর এ চর্চা যতদিন অন্তরের ত্রিসীমানা হতে অপসারিত করা যাবেনা, ততদিন সত্যের আলোক রূশ্নি হৃদয়ে করবেনা প্রবেশ। তিমিরাচ্ছন্ন পেঁচক শ্রেণীর রথি-মহারখীগণ সত্য ও সততার আলোতে প্রদীপ্ত মহামনীধীদের অবদান গোপন
রাখার প্রয়াসে যতই সচেষ্ট হোকনা কেন? সফল হতে পারবেনা কভুও। সত্য উদ্ভাসিত
হবেই। “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।” দ্বিতীয় লাশটির শেষকৃত্যের পর চলুন আবার মড়িঘরে; তৃতীয় লাশটির ময়না তদন্তের জন্য। এতক্ষণে সেটি অবশ্যই পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মর্গে প্রবেশের পূর্বে নাকে
_ রুমাল দিন, রুমালে আতর মিশিয়ে নিতে যেন ভুল না হয়। গন্ধ নাকে প্রবেশ করে
যদি কেউ বমি করেন অথবা বেহুশ হয়ে পড়েন তবে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেনা। সম্পূর্ণ
: প্রস্তুত! এক. দুই.. তিন... ঝটপট চোখ খুলুন।"
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভাভারী- ১৪
(গে) “এটি আলেমদের জন্য, আওয়ামদের জন্য নয়।” দেখতে পাচ্ছেনতো, উদ্ধৃতি চিহ্নের মাঝখানে নিয়রেখায় চিহিত লাশটি। এ শবদেহের জনক নিশ্চয় _ অহঙ্কারী আর এটি পরিপূর্ণ অহঙ্কার বৈ কিছুই নয়।
প্রিয় পাঠক! উৎ্কট দুর্গন্ধে আপনাদের মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে! আমারতো অনেক দিন আগ থেকেই বিগড়ে আছে। মেজাজ ফুরফুরে করে নেয়ার জন্য একটি কাহিনী শুনুন। অবশ্যই এতেও প্রকৃত দায়ী চেনার তথ্যও তত্ব রয়েছে। একজন মৌলবী আপন বাড়ীর নিকটেই ওয়াজের নিমন্ত্রণ পেলেন। তিনি দানের গুরুত্ব, ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেয়ার অনিষ্ট ও খুশী করার পৃণ্যের ব্যাপারে নসিহত করছেন। মাইকের কল্যাণে 'মওলানার পদনিশীন বিবিও ওয়াজ শুনতে পেলেন। যদিও বিজ্ঞানের এ আবিষ্কারকে বিগত শতাব্দীর গোড়ার দিকেও কতেক আলেম-ওলমা “বিদআত? ফতওয়া দিয়েছিলেন। আজও অনেক মৌলবীকে বলতে শুনা যায় নূরের আযান কিংবা নূরানী নসিহত “নার” তথা আগুন সদৃশ বিদ্যুতের তার দিয়ে চললে জলে যায়। হায় আফসোস! নূরের তেজক্রিয়তা কিভাবে যে এত দুর্বল হয়ে গেল। ভাবতেই অবাক লাগে। মওলানা ওয়াজ শেষে প্রাপ্ত ফি নিয়ে সোজা ব্যাংকে চলে গেলেন জমা করার জন্যে। টাকা-পয়সা হাতে থাকলেতো বিবি বাচ্চার আবদার মেটাতে শেষ হয়ে যাবে।
'দুপুরে বাড়ী ফিরে স্ান সেরে স্ত্রীকে বললেন, “ভাত নিয়ে আস) স্ত্রী জানাল, তিনজন ছেলে মেয়েসহ এক বিধবা ভিখারিনী এসেছে। সে স্বামীর মৃত্যুর পর ইয়াতীম ছেলে মেয়েদের নিয়ে তিন বেলা অভুক্ত থাকিয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানাল। তার কান্নায় আমার হৃদয় বেদনায় ভরে যায়। তদুপরি আপনার ওয়াজ শুনার পর থেকেই আমি এমন একটি সুবর্ণ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমরাতো প্রত্যহ পেট পুরে খাচ্ছি, হয়তো আজ নাইবা খেলাম। আর আপনি আসলেতো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই হবেই। কিন্তু সাওয়াব লাভের এ মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া হলেতো পাওয়াই যাবে না। তাই তাদেরকে আহার করিয়ে দিলাম।
স্ত্রীর কথায় মওলানা তেলে বেগুনে জুলে উঠে বললেন, “ওয়াজতো করেছি আওয়ামদেরকে, তুমি কেন তা শুনতে গেলে? খবরদার! দ্বিতীয়বার যেন এমনটি না ঘটে।” মাইকের বিরুদ্ধে মাওলানাদের ফতওয়াও মনে হয়, বিবি ওয়াজ শুনতে পাবার ভয়ে। না হয় বিজ্ঞানের অন্যান্য সেবা গ্রহণ করে মাইকের বিপক্ষেই কেন শুধু শুধু ফত্ওয়াবাজী।
সম্মানিত পাঠক! বুঝতেইতো পারছেন, এরা আলেম আর আওয়ামের ভেদাভেদ প্রাচীর তৈরীতে কেন উৎসুক? এক শ্রেণীর আলেম আইনায়ে বারীকে নিজেদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে চান, আবার উক্ত কাহিনীর নায়ক মওলানা দান-সদকার নসিহত
_ কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১৫ ৃ শুধু আওয়ামের জন্যই, নিজেদের জন্য নয় বলে মত ব্যক্ত করেন। বাক্য দুইটির একটি ইতিবাচক অপরটি নেতিবাচক হলেও উদ্দেশ্য কিন্ত অভিন্ন আর তা হচ্ছে সর্বনাশা অর্থই। .
প্রত্যেক শিক্ষিত যে আলেম বা জ্ঞানী নয়, আবার প্রত্যেক অশিক্ষিত যে জাহেল বা অজ্ঞ নয়; এটাই পরম সত্য। এই অপ্রিয় সত্যটি পুঁথিগত বিদ্যাদারীগণ পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারেননি বলেই আলেম ও আওয়ামের মাঝে ভেদাভেদের ধুমরজাল সৃষ্টি করে বর্ধিত সম্মানের মোহে সত্যের অপালাপ করে বেড়াচ্ছেন। আল. কুরআনের ভাষ্য মতে যদি আলেমের পরিচিতি বিবৃত হয় তবে উক্ত বিষয়টি স্পষ্ট হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, 1$15|| ১১/:০ ০ || (০১২ 211 “আল্লাহ কে তীর বান্দাদের মাঝে জ্ঞানীরাই ভয় করে।” সূরা ফাতির ২৮নং আয়াত সংক্ষেপিত। আয়াতের মর্মমতে বুঝা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্পর্কে বেশী জ্ঞাত সে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর ভীতিও বেশী। মহানবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা” এরশাদ করেন, [01 411১ €--1-21$ 4-$ 01 নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী ও আল্লাহ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আমিই।” (বুখারী শরীফ কিতাবুল ঈমান ৭ পৃষ্ঠা।) বর্ণিত হাদীসে মহানবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা” আপন কঠোর ইবাদত, বন্দেগী প্রসঙ্গে নিজের জ্ঞানের প্রসারতাকে হেতু সাব্যস্ত করেছেন। আবার এমনও বলা যায়, যেই ব্যক্তি আল্লাহকে যত বেশী ভয় করে সেই ততবড় আলেম বা জ্ঞানী। হাদীসে পাকে বর্ণিত আছে, ২৫৯. 111৯3-10]3 1০14-1৫-8১ 4-35 অর্থাৎ মহানবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা'কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন ব্যক্তি অধিক জ্ঞানী? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যেই আল্লপহকে অধিক ভয় করে।” (এহইয়াউ উলুমুদ্দীন ১ম খন্ড ৭৬পৃষ্ঠা। দারুল মারেফত, বৈরুত-লেবানন, ১৪০৩হিঃ১৯৮২ স্বীঃ)
উক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যার অন্তরে-যত বেশী আল্লাহর ভীতি রয়েছে সেই তত বড় আলেম। খোদাভীতির তুলাদন্ডে যদি আমাদের নিকট যারা আলেম ও আওয়াম রূপে পরিচিত তাদের কর্মকে পরিমাপ করা হয় তবে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। অর্থাৎ আলেমদেরকে আওয়ামের সারিতে আর আওয়ামদেরকে আলেমের কাতারেই দেখতে পাবো। যেমন দরুন, যাকাত ফরয হয়েছে এমন একজন আলেম বিভিন্ন কলা-কৌশল ও বাহানা করে ফাঁকি দিচ্ছে। অপর পক্ষে একজন আওয়াম হিসাব করে কানা কড়িটি পর্যন্ত আদায় করে দিচ্ছে। এবার আপনারই বিবেচনা করুন কাদের অন্তরে খোদাভীতি বেশী এবং আলেম অভিধাটি কাদেরকে শোভা পায়?
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- -১৬
বুখারী শরীফের বক্ষ বিদীর্ণ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্বর্ণের চালান আনতে গিয়ে ধরা পড়া মুহতামিমের চেহরাও আমরা দেখেছি, কিন্তু একজন আওয়াম হাদীস গ্রন্থের এমন অবমাননার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। সম্মানিত পাঠক! আসুন আমরা আবার মুল বিষয়ে ফিরে আসি।
“আইনায়ে বারী আলেমদের জন্য” এটা আমরাও স্বীকার করি। কিন্তু 'আওয়ামদের জন্য নয়” এটা মানতে পারি না। সমুদ্র তৃষ্কার্তের তৃষ্কা যেমন মিটায় তেমনিভাবে ডুবুরীকে মুক্তা যোগায়। এখন বলুনতো সমুদ্র কার? ত্ষ্লার্তের নাকি ডুবুরীর? দুইজনের যে কোন একজনের ভাগে দিলে আপনি নিশ্চিত একটি দাঙ্গার আয়োজক হলেন। আমরা এসব দাঙ্গা-হাঙ্গামাতে নেই, তাইতো বলি সমুদ্র সবার। এতে সকলের অধিকার স্বীকৃত। প্রত্যেকে আপন আপন প্রয়োজন মেটাতে পাররে। নিছক স্বার্থপর না হলে সার্বজনীন সম্পত্তির একক দাবীদার কেউ হতে পারে না। আইনায়ে বারীও ইলমে তাসাউফের মহাসাগর; এতে আলেম-আওয়াম নির্বিশেষে সকলের জন্য নির্ধারিত হিসসা রয়েছে। প্রত্যেকে আপন আপন যোগ্যতানুসারে নিজের অংশ নিতে পারবে। তাতে অপর পক্ষের-কোন প্রকার ক্ষতি নেই। তাই একার দাবী অনর্থক।
হ্যাঁ প্রশ্ন করতে পারেন, যারা এ গ্রন্থের ভাষা বুঝেন না তারা কিভাবে এটা থেকে অংশ পাবে? প্রত্যুত্তরে বলবো, এজন্যইতো অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
মোটকথা উপরোক্ত অমূলক আশঙ্কা সমূহের জুজু দেখিয়ে যারা “আইনায়ে বারী" অনুবাদের বিরোধীতা করেন, তীরাই কিন্তু বিভিন্ন সভা সমাবেশে উদ্ধৃতি ব্যতীত উক্ত কিতাব হতে বিভিন্ন মাসআলা বর্ণনা করেন। হায়রে আফসোস! আত্মপ্রচারের কি যে হীন অভিলাষ? উক্ত মাসআলা সমূহ বয়ান করে সূফীগিরী করেন। আসল কথা হচ্ছে গ্রন্থটি ভাষান্তরিত হলে তীদের মওলানাগিরি ফটকানোর সুযোগটাই মাঠে মারা যাবে। এক নিমিষে তাদের বাবায়ও দেখেনি এমন অসংখ্য কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর পন্থা রুদ্ধ হবে।
প্রিয় পাঠক! এটা আমার কল্পনা নয়, বরং নির্মম বাস্তবতা। সম্প্রতি এক নীমে মন্লা রচিত 'তাজিমী সিজদার বিধান" নামক একটি কিতাব আমার হস্তগত হয়। বইটি সম্পূর্ণ পড়ার মতো ধৈর্য আমার ছিলনা বলে পড়ে শেষ করিনি। তবে যতটুকু পড়েছি তাতে এ বিষয়টি প্রতিভাত হয়েছে যে, এটি গাউছে যমান মুফতীয়ে আযম আল্লামা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১৭ ফরহাদাবাদী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) রচিত “তাওজিহাতুল বহিয়্যাহ" গ্রান্থের সহজবোধ্য অংশের অনুবাদ বিশেষ। কিন্ত সম্মানিত গ্রন্থকার উদ্ধৃতি হিসাবে উক্ত গ্রন্থের নাম ভুলেও লেখেননি। বরং আল্লামা ফরহাদাবাদী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) যে সকল গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, তাঁর বাপ-দাদা চৌদ্দ খান্দানে না দেখলেও তিনিও এ সকল গ্রন্থের উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন।
বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, আজ সর্বত্র চলছে আত্মপ্রচারের হিড়িক। কর্মের স্বীকৃতি দেয়ার মতো মানসিকতার বড়ই অকাল। সিনিয়র মাদ্রাসার স্বনামধন্য আরবী প্রভাষক আমার এক বন্ধু "তান্কিদী” একটা গ্রহ রচনা করেন। বেচারা অর্থ সঙ্কটে ছাপাতে না পেরে ধনাঢ্য এক মাযহাবী ভাইয়ের স্মরণাপন্ন হন। উক্ত বড় ভাই চট করেই বললেন, “বইটি আমার নামে প্রকাশ হলে তোমার আপত্তি আছে কি? বড় ভাইয়ের আবদার স্বতঃপূর্ত ভাবে মানতে না পারলেও হিয়ার খুনে রঞ্জিত “নেই” শব্দটি তাকে উচ্চারণ করতেই হলো। বড়ভাই যে, একজন নবীন লেখককে হত্যা করলেন তা মোটেও ভেবে দেখেননি। পত্রিকায়, হাসপাতাল হতে সন্তান চুরির ঘটনা দেখে যতটুকু না অবাক হই বন্ধুর মুখে উক্ত ঘটনাটি শুনে এর চেয়ে সহত্রগুণ বেশী অবাক হয়েছি।
“কর্মের স্বীকৃতি না থাকলে কর্মী জন্মায় না।' এই নীতি বাক্য বই পুস্তকের' গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবতা কিন্তু ভিন্নরূপ। অপরের মেধা বিকিয়ে নিজের খ্যাতি কুড়ানোর প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছি আয়রা( ভাইভো বিশ্ব এগিয়ে চললেও আমরা: যাচ্ছি পশ্চাতে।
চুতুর্দিকে কাজ না করে নাম কুড়ানোর পড়েছে ধুম, কর্মতরীর মাঝি-মল্লা হাল ছাড়িয়ে দিয়েছে ঘুম।
কাজ না করে প্রশংসিত হবার বাসনা যারা লালন করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা নিয়ে আলকুরআনে অবতারিত হয়েছে,১৬৯১৪ ১৬ ০১৮ এ ০৭৪১১6০৯০১1 3১০৯ 0 ৩৬৯৯৪০৬০ট _- ০1৬০1৫19 “যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ কঁরে এবং যা নিজেরা করেনি এমন কার্ষের জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি
পাবে এমন ধারণা করবেন না। তাদের জন্য মর্মুদ শাস্তি রয়েছে।" সুরা আলে ইমরান-১৮৮নং আয়াত।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১৮ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত যুক্তি প্রমাণের দৃঢ় বাধনে উপস্থাপন করেছি মাত্র। কারো কারো ভাল লাগতে পারে, আবার কারো কারো নাও লাগতে পারে। কার কেমন লেগেছে? পাঠকের অনুভূতি জানালে ধন্য হবো। সুরণযোগ্য যে, সকলের মন রক্ষা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সবার মন রক্ষা করতে গেলে ঘটতে পারে চরম বিপদ। এ প্রসঙ্গে একটি কাহিনী শুনাতে চাই, আপনাদেরকে । সাবধান! ধৈর্য চ্যুত হবেন না। একদা বাপ-বেটা দু'জন ঘোড়া সাওয়ার হয়ে বাজারে যেতে বের হলেন। কতদূর যাওয়ার পর কতেক ব্যক্তি তারা দুইজনকে একসাথে ঘোড়ার পিঠে দেখে বললেন, বাপরে! কি বেয়াক্কেল লোক? দুইজনই এক সাথে সাওয়ার হয়ে আছে, ঘোড়াটির বারটা বাজতেছে। এ কথা শুনে পিতা পুত্রকে বল্ল, তুমি ঘোড়ার পিঠে বসো, আমি লাগাম ধরে টানি। কতটুকু যাওয়ার পর এক কিশোরকে ঘোড়সওয়ার এবং বৃদ্ধকে লাগাম ধরে হাটতে দেখে কয়েকজন লোক বলে উঠলেন, কি যে, বেয়াদব ছেমড়া? পিতাকে লাগাম টানতে দ্রিয়ে নিজে ঘোড়ার পিঠে বসে দিব্যি আরাম করছে। এ কথা শুনে ছেলে নেমে লাগাম ধরল, পিতা সাওয়ার হল। এভাবে আরো কতটুকু যাওয়ার পর এক বৃদ্ধকে ঘোড়সাওয়ার আর ছোট্ট একটি ছেলেকে লাগাম টানতে দেখে অন্য কয়েকজন লোক বলে উঠল, কি পাষাণ পিতা? ভরদুপুরে ছাতা মাথায় ঘোড়ার পিঠে বসে আছে আয়েশে, আর ছোট্ট ছেলেটার কিনা দশা হচ্ছে? পিতা অবতরণ করে একটি গাছের ছায়ায় বসে পুত্রের সাথে পরামর্শ করতে লাগল; এখন কি করা যায়? দুইজন এক সাথে সাওয়ার হলে হতে হয় বেয়াকেল, তোমাকে ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে আমি লাগাম টানলে তোমাকে বলে বেয়াদব, আর যদি আমি বসি তুমি টান তবে আমাকে বলে পাষাণ। সুতরাং এক কাজ করি, ঘোড়ার পা বেঁধে কীধাকীধি করে নিয়ে যাই। যেই কথা সেই কাজ। পিতা পুত্র উভয়ে ঘোড়াটি কীধে নিয়ে রাওনা দিল। তারা সাকোর উপর, দিয়ে নদী পার হচ্ছিল। এমনি মুহূর্তে | ঘোড়া পা ঝাঁকি দিলে ধড়াস করে তিনটি প্রাণীই পানিতে পড়ে গেল। পিতা-পুত্র সীতরায়ে তীরে উঠে প্রাণ রক্ষা করলেও পা বাধা ঘোড়াটি ডুবে মরল। সম্মানিত পাঠক! নিশ্চয় আমার উপর বিস্তর ক্ষেপেছেন। একেতো আপনাদের শুনা গল্প, তদুপরি ভুলেভরা উপস্থাপনা। আসলে গল্পটি পড়েছি অনেক দিন আগে তাই নির্ভুলভাবে লিখতে পারলামনা । আপনাদেরকে আর বিরক্ত“না করে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাই শান্তি ও স্বস্তিতে থাকুন। খোদা হাফেজ। |
৮৯৩
করতে গাউসুল আম সাইজতাাী
নায়ে বারী প্রণেতার সংক্ষিপ্ত ' রঃ তি নামঃ আল্লামা রদ আবৃল বরকাত মুহাম্মদ আবদুল গণি কাঞ্চনপুরী, কবিত্পূর্ণ নাম আচ্ছাফী, আল মকবুল রহমতুল্লাহি আলাইহি।
জন্মঃ তাঁর জন্ম সন সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়না। তবে আনুমানিক যে তথ্য দেন তদমতে তাঁর জন্ম সন যথাক্রমে ১৮৬৪, ১৮৬৫, ১৮৬৬, ১৮৬৭ ও ১৮৬৮ শ্রীষ্টাব্দের যে কোন একটি বলে ধরে নেয়া যায়। অধিকাংশের ধারণা মতে ১২৭৯ হিজরী, ১২৭১ বাংলা, ১৮৬৪ শ্রষ্টাব্দ। তিনি উট্গ্রামহ ফটিকছড়ির ধুরুং ইউনিয়নের সুপ্রসিদ্ধ ছৈয়দ ও মওলানা পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
85585585541 শত পা হবে মওলা আল ওহ হাহ অলাইহি। নসবনামা নিম্মরূপঃ (৬১১৯৫) 4৯৭ ০৮০ ৯১০০০ ০-৫ এএএ ২০৮১৪1। ১১০ ৮4৬০ 9৪৮৯1 এ] ০৯ ৫০৮৯] 411 ২৯০ 4৮০ ১৬৬০।৫। ০১১1 ১০৯০ ০৫০] 29505 03] 01৯২ ৬০৯ 01৯ ৩১৬০৭] এ ০৪৮ -০১৯114515 411 ৯১ ১৮০ ৩৪১৭1 এ ০৪ 02 সৈয়্যদ আবুল বরাকাত মুহাম্মদ আব্দুল গণি আচ্ছফী আল্ মকবুল কাঞ্চনপুরী তদপিতা সৈয়্যদ হাফেজ মাওলানা আব্দুল ওহাব তদপিতা সৈয়্যদ সুফী মাওলানা 5485585590 সূফী সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন। . ও বাল্যকাল ও প্রাথমিক শিক্ষাঃ হযরত মওলানা ছৈয়্যদ সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশ সফর করে পূর্ব বাংলার চট্রগ্রাম জেলার ফটিকছড়িস্থ ধুরুং ইউনিয়নে বসতি স্থাপন করেন। তাঁরই বংশধর কাঞ্চনপুরী “রহমতুল্লাহি আলাইহি"র পিতা হাফেজ মওলানা ছৈয়্যদ আব্দুল ওহাব “রহমতুল্লাহি আলাইহি" বোচা উকিল প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনপুর জামে মসজিদের ইমাম নিয়োজিত হলে তথায় স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন। এখানেই কাঞ্চনপুরীর শৈশব অতিবাহিত হয়। তিনি আপন পিতার তন্্াবধানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করেন।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২০
সফর ও উচ্চ শিক্ষাঃ তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য কলিকাতা সফর করেন। কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করে কুরআন, হাদীস, তাফসীর, ফেকাহ, উসূল, নাহু, ছরফ, মান্তেক, ইলমে কালাম, আদব, বালাগাত ও ফালসাফা ইত্যাদি বিষয়ে বুৎপত্তি অর্জন পূর্বক সফলতার সাথে শিক্ষা সমাপনান্তে হাদীস, ফেকাহ ও তাফসীরের সনদ লাভ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতার দরূন তিনি সমসাময়িক. ওলামাদের নিকট বাহরুল উলুম বা জ্ঞান সমুদ্র বলে পরিচিতি লাভ করেন।
তুরিকতের দীক্ষা_ও অধ্যাত্বিক জ্ঞানঃ জনশ্রুতি আছে, তিনি প্রথম জীবনে মাইজভান্ডার দরবারের বিরোধী ছিলেন। তাঁর ভাই মওলানা মাব্দুল হাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর মুরিদ ও খলিফা। উভয়জনের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রায় সময় তর্ক-বিতর্ক হতো। তাই তিনি ঘরের উঠানে ৮ হাত লম্বা বেড়া দেন, যাতে হাদী সাহেব কেবলার মুখ না দেখেন। ঘটনাক্রমে একদা রাত্রে আল্লামা হাদী সাহেব কেবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি বেহালা বাজিয়ে মাইজভান্ডারী গান গাইতেছিলেন। গানের সুর আল্লামা মকবূল “রহমতুল্লাহি আলাইহি*কে চুম্বকের ন্যায় আকর্ষণ করল। তিনি বেড়া ডিঙ্গিয়ে হাদী “রহমতুল্লাহি আলাইহি*র ঘরের দরজায় উপস্থিত হয়ে দরজা খুলতে বললে হাদী “রহমতুল্লাহি আলাইহি; প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে অত্যধিক মিনতির কারণে দরজা খুলে দেন। তিনি গুলিবিদ্ধ পাখীর ন্যায় ছটফটাতে ছটফটাতে প্রবেশ করে বলেন, “আমার কোন গতি কর। তোমার গানের আকর্ষণে আমার হৃদয় তন্ত্রীতে প্রেমের বিদ্যুৎ প্রবাহ খেলছে, এতে সর্বাঙ্গ জুলছে। এ জ্বালা কিসে নিবারণ করব উপায় বাতলিয়ে, দাও।” আল্লামা হাদী “রহমতুল্লাহি আলাইহি" বলেন, “আমিও আপনার মত একই রোগের রোগী, আমি আপনার চিকিৎসা করতে পারবো না। আপনার সাথে আমার তফাৎ হচ্ছে আমার চিকিৎসক আছে আপনার নেই: সুতারাং আপনি ইস্তেখারা করুন।” আল্লাহর অপার মহিমায় তাঁর ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেল। উক্ত রাতেই তিনি স্বপ্নে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর দর্শন লাভ করেন এবং দরবারে যেতে আকুল হয়ে পড়েন। *পরদিন প্রাতে তাঁর ভাই হাদী 'রহমতুল্লাহি আলাইহি'র সাথে দরবারে পাকে গিয়ে গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্বিয়াননুল্লাহুল বারী*র শিষ্যত্ গ্রহণে ধন্য হন। অতঃপর নিয়মিত আপন মুর্শিদে কামেলে মুকাম্মেলের দরবারে আসা-যাওয়া করতে াকেন। গাউদ্ভুল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্বিয়ানহুল্লাহুল বারী" তাঁকে খেলাফত প্রদান করেন এবং স্নেহ করে মকবুল বলে ডাকতেন। তৃরিকতে দাখিল হওয়ার পর সমস্ত জীবন মাইজভান্ডারী তরিকার খেদমতে উৎসর্গ করেন।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২১
কর্মজীবনঃ তিনি কলিকাতা থেকে এসে মিরশ্বরাই লতিফিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। অতঃপর বোচা উকিল প্রতিষ্ঠিত কাঞ্চনপুর জামে মসজিদে ইমামতি করেন। সেখানে মসজিদের মুতাওয়াল্লী আব্দুল গণি চৌধুরী তাঁকে বলল, “আপনি ইমামতি প্রত্যাশী হলে মাইজভান্ডার ছাড়ুন আর মাইজভান্ডারে গেলে ইমামতি ছাড়ুন; দুইটার একটা গ্রহণ করুন, উভয়টি এক সাথে করতে পারবেন না।” প্রত্যুক্তরে তিনি “আমি ইমামতির লালায়িত নই, তোমার এই গরু ঘরে পেশাব (প্রস্রাব) করে দিলাম।” বলে মাইজভান্ডার বিরোধী লোকের সমাগমে সোজা মসজিদ থেকে বের হয়ে খড়ম পায়ে পানির উপর দিয়ে হেটে পুকুরের পূর্ব পাড়ে চলে যান। অতঃপর উক্ত বোচা উকিল বাড়ীর কিছুদূর পূর্বে এসে বসতি স্থাপন করেন। সেখানে অলির মার জামে মসজিদে ইমাম নিযুক্ত হন এবং প্রায় ২৪/২৫বছর ইমামতি করেন।
চরিত্র ও মর্যাদাঃ তিনি নম্র-ভদ্র, উদার প্রকৃতির সাদা-সিদে জীবন যাপনে অভ্যস্থ, সুন্নাতে মুস্তফার মূর্ত প্রতীক ছিলেন। তাঁর মত উদার ব্যক্তি বিরল। কথিত আছে যে, যেই আবদুল গণি চৌধুরী তাঁকে মসজিদ থেকে বের করেছে, সমাজ জীবনে আরো বনু কষ্ট দিয়েছে সেই আবদুল গণি চৌধুরী মারা গেলে তিনি জানাযার ইমামতি করেন এবং একথা বলেন যে, “সেই আমার বড়ই বন্ধু ছিল। যদি আমি পুলসিরাত পার হতে পারি তাহলে তাকেও পার করাব।" শক্রকে এমন নিঃস্বার্থ ক্ষমা করতে পারে এমন লোক সংখ্যায় খুবই নগণ্য। তিনি ০১3111$ 4১১২|| 0১১1৩) ১১১০০৯০২৯৪৭] 11 ১০ আয়াতের বাস্তব নমুনা ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে অছিয়ে গাউছুল আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি বেলায়তে মোতলাকা গ্রন্থে লিখেন, “তিনি একজন তত্রুজ্ঞানী আলেমে কামেল অলি উল্ল্যাহ ছিলেন। তাঁহার সমসাময়িক লোকেরা তাঁহাকে (বাহরুল উলুম বা জ্ঞান সাগর বলিয়া অভিহিত করিতেন। তিনি আযম মাইজভান্ডারী “রদ্িয়ানহুল্লাহুল বারী"র ফয়েজ প্রাপ্ত খলিফাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন!” বেলায়তে মোতলাক৷ ৪৩নং পৃষ্ঠা।
রচনাবলীঃ তিনি ইসলামী ধর্মদর্শন ও মাইজভান্ডারী তরিকা সম্বন্ধে আরবী, ফার্সী, উর্দূ, হিন্দি ও বাংলায় বহু অমূল্য গ্রন্থ রচনা করেন। নিন্মে তাঁর রচিত ০০
(১) আইনায়ে বারী ফি তারজুমাতে গাউছিল্লাহিল আযম মাইজভান্ডারী 'রদ্ধিয়ানহুল্লাহুল রি 1 রচিত।
তাঁর সুযোগ্য সন্তান মওলানা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ ফজলুল বারী "রহমতুল্লাহি আলাইহি'র
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২২ অনুমতিব্রমে মওলানা ছৈয়্যদ দেলাওর হোছাইন মাইজভান্ডারী “রহমতুল্লাহি আলাইহি” কর্তৃক বিংশ শতাব্দীর পঞ্চম দশকে ইসলামীয়া ইমপ্রিন্টিং প্রেস চন্দনপুরা চট্টগ্রাম থেকে গ্রন্থটি মুদ্রিত হয়। অধমের নিকট সংরক্ষিত কপিটিতে মুদ্রণ সনের উল্লেখ নেই। তবে লেখক ১৪ জমাদিউচ্ছানী ১৩৩০হিজরী বুধবার আসরের নামাজের সময় লিখে শেষ করেন বলে কিতাবের শেষ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন।
(২) প্রেম দর্পণ (৩) গুলশানে উশশাক প্রথম মুদ্রণ ১৩২৮বাংলা, দ্বিতীয় মুদ্রণ ১৪০২ বাংল, ২ ও ৩নং পুস্তকদ্বয় অধ্যা চেতনায় স্থীয় মুর্শিদের নিবেদনে রচিত। (8) আত্মপাঠ, (৫) আত্ম পরিচয়, ৪ ও ৫নং এ দু”টি পয়ারী ছন্দে ততৃমূলক পুস্তক। (৬) মুশাহেদায়ে মকবুলিয়া মিন ফয়ূজাতে গাউছিয়াতিল আহমদীয়া, (৭) পন্দনামা, (৮) মজাকে ইশ্ক (দিওয়ানে ছফী), (৯) দিওয়ানে মকবুল (১০) জ্ঞান দর্পণ, (১১) শরহুল মুনাব্বেহাত (১২) তনকীহুল মফহুম (১৩) শরহে কুল্লিয়াতে খাকানী ও (১৪) জলওয়ায়ে নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইত্যাদি। ৬নং-১৪নং পর্যন্ত ৯টি গ্রন্থ অপ্রকাশিত।
ইন্তেকালঃ এ মহান ব্যক্তিত্ব মতান্তরে ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২ ও ৬৩ বছর বয়সে ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ৬ কার্তিক, ১৯২৭ শ্রীষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর ২৬ রবিউস্সানী ১৩৪৫ হিজরী শনিবার আপন মাহবুবে হাকীকির মিলনে পরলোক গমন করেন। তাঁর পীর ভাই গাউছুল ওয়াক্ত মুফতিয়ে আজম আল্লামা সৈয়দ আমিনুল হক ফরহাদাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি জানাযার নামাজের ইমামতি করেন। তাঁকে নিজ বাসভবনের আঙ্গিনায় সমাধি করা হয়। প্রতি বছর ৬ কার্তিক রওজা প্রাঙ্গণে তাঁর ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহ! প্রত্যেককে এ মহামনীষীর বদৌলতে উভয় জগতে সফলতা দান করুন। আমিন, বেহুরমতে ছৈয়্যদিল মুরছালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ'লা আলিহি ওয়া সাল্লামা।
আইনের মর ৃঁ 118 তি.
রানি জধরামাহজভাভারী নল বারি তা বাহরুল উলুম আল্লামা ছৈয়্যদ আবুল বরাকাত মুহাম্মদ আবদুল গণি আচ্ছাফী আল, মকবুল কাঞ্চনপুরী “রহমতুল্লাহি আলাইহি” রচিত আইনায়ে বারী গ্রহ্খানা সৃক্ষ্ তত্বের ভান্ডার। যদিওবা এটি হযরত গাউদ্ছুল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্িয়াননুল্লাহুল বারী”র চরিত আখ্যান, তথাপিও ওটা প্রভুর রূপ দর্শনের আলোকিত দর্পণ। গ্রন্থকার প্রদত্ত আইনায়ে বারী বা প্রভু দর্পণ নামটিই এ দাবীর জলন্ত স্বাক্ষী। এটি কুরআন, হাদীস, এজমা ও কিয়াসের নির্যাস; শরীয়ত, তরিকত, মা'রফত ও হাকীকতের সারতত। অপূর্ব রচনা শৈলী, শব্দের গাঁথুনী, অনুপম গ্রহ্ণা, ভাষার লালিত্য, ছন্দের যথার্থতা, গদ্য ও পদ্যের সমন্বয়ে এক অতুল্য সাহিত্য। এটাকে একই সাথে গজ্জালীর এহইয়াউ উলুমুদ্দীন ও কিমিয়ায়ে সাস্দাত, দাতা গঞ্জে বখশ লাহুরীর কাশফুল মাহযূব, হুযূর সৈয়্যদুনা গাউছুল আযম জিলানীর ফতহুল গায়ব ও গনিয়তুতত্বালেবীন, রুমীর মসনবী, মহী উদ্দীন ইবনুল আরবীর ফছুছুল হেকম ও ফতৃহাতে মককিয়া, খসরূ ও হাফেজ সিরাজীর দিওয়ান ইত্যাদির প্রতিচ্ছবি বলা চলে।
গ্রন্থটি সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোচনার মানসে দুরুদুরু বুকে কলম হাতে তুলে নিই। বিজ্ঞ আলেম-ওলমাও গ্রন্থটির ভাব বুঝতে অক্ষম বলে অকপটে স্বীকার করেন যেথা, সেথা কি আমার মত আনাড়ীর শোভা পায় গ্রহ সমালোচনা? তবুও কি করা? সাধারণ মানুষতো নয় সিংহভাগ ওলমাও জানেন না এ নামের যে একটি গ্রন্থ আছে। স্বয়ং মাইজভান্ডারীগণও অনেকে জানেন না ঘরের এ মহামূল্যমান রত্ের খবর!!
আলোচনা পূর্বে অধম আল্লাহর দরবারে শক্তি, নবীজির কৃপাদৃষ্টি, হযরত গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর অনুকরুণা ও আউলিয়ায়ে কামেলীনদের শুভ দৃষ্টি বিশেষতঃ মুর্শিদে করীম ও গ্রন্থকারের দোয়া ও দয়া ভিক্ষা করছি।
গ্রহের পূর্বাভাষে স্বয়ং গ্রন্থকার লিখেছেন গ্রন্থটি সুলতানুল কামেলীন কুদওয়াতুল মাশুকীন খলিফায়ে রাসূলে আকরম হযরত মওলানা শাহ গোলামুর রহমান ছাহেব কেবলা “রহমতুল্লাহি আলাইহি”র মধ্যস্থতায় হযরত সুলতানুস. সালাতীন ওয়াল আরেফীন, রূহুল মুকাররবীন, খলিফাতুল্লাহিল আকরম জিলুল্লাহি ফিল আলম গাউছুললাহিল আযম আহমদ উল্যাহ মাইজভান্ডারী 'বদ্ধিয়ানহুল্লাহুল বারী"র অনুমতিক্রমে লেখিত। ৭২০ পৃষ্ঠা সম্বলিত গ্রহনটিতে চারটি অধ্যায় এবং প্রতি অধ্যায়ে সাতটি করে পরিচ্ছেদ রয়েছে। এটি চার অধ্যায়ে আটাশ পরিচ্ছেদে সুবিন্যস্ত। নামকরণ ও বিন্যাস প্রসঙ্গে লেখক বলেন, এটি মূলতঃ মেশকাত-এ-গাউছিয়া বা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২৪ গাউছিয়তের দীপদানের পরতও বা নূরের কিরণ/রূশ্নি। এজন্য আইনায়ে বারী ফি তরজুমাতে গাউছিল্লাহিল আযম মাইজভান্ডারী (রছ্বিয়ানহুল্লাহুল বারী) নাম রাখা হয়। এটি এক | বা বিদ্যুৎ চমক/কিরণ, দুইটি ৪৯৮ বা দ্যুতি/দীন্তি ও একটি 3 বা বিজলী ঝলক-এ বিন্যস্ত। ূ |
4 বা চকম ০] বা চমকঃ ভূমিকা প্রসঙ্গে, এতে সাতটি 4 বা রশ্মি রয়েছে।
প্রথম ৫ বা রূশিঃ বেলায়তের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ ও আউলিয়াদের মাদারাজ বা স্তর ইত্যাদির বর্ণনা। দ্বিতীয় %/ বা রূশিঃ আউলিয়াদের পরিচয় এবং তাঁদের সাথে পার্থিব ভোগ-বিলাসমত্ত সুলদর্শী দুনিয়াদারদের শত্রুতার কারণ সংক্রান্ত বর্ণনা। তৃতীয়ঃ/ বা রূশিঃ প্রতি যুগে জগৎ স্থিতিশীলতার প্রতীক একজন অলি ধরা পৃষ্ঠে বিদ্যমান থাকা আবশ্যক, এ বিষয়ে আলোচনা। চতুর্থ %: বা রূশিঃ ইলমের প্রকারভেদ ও আলেমের নিদর্শন সমূহের বর্ণনা। পঞ্চম ৫ বা রূশ্িঃ কোন স্তরের মানব নবী “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা*র প্রতিনিধি ও ওয়ারাছাতুল আস্বিয়া; এ বিষয়ে আলোচনা। ষষ্ঠ 5৫ বা রূশিঃ প্রতিনিধিতেের মিথ্যা দাবীতে শয়তানের প্রতিনিধিই হয়; এ সংক্রান্ত আলোচনা। সপ্তম $: বা রূশিঃ দুনিয়াদারদের ত্রষ্টতার হেতুর বর্ণনা।
652 বা প্রথম দীপ্তি (51652 বা প্রথম দীপ্তিঃ হযরত গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী 'রদ্বিয়ানহুল্লাহুল বারী"র পবিত্র জীবনী আলোচনা; এতে সাত 5 বা রূশ্নি রয়েছে। প্রথম: বা রূশিঃ গাউছে পাক রাদিয়াল্লাহু আনহুর আবির্ভাব পূর্বে তাঁর মহত্মা পিতার রহস্যপূর্ণ স্বপ্ন ও এর ব্যাখ্যা। দ্বিতীয় £/ বা রূশ্িঃ গাউছে পাক “রাদিয়াল্লাহু আনহু'র শুভ জন্মের বর্ণনা। তৃতীয়ঠ/ বা রূশিঃ নাম রাখার অনুষ্ঠান,নামের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও দুগ্ধ পানের বর্ণনা। চতুর্থ %/ বা রূশিঃ জাহেরী ও বাতেনী শিক্ষা-দীক্ষা অর্জন ও রিয়াযতের বিবরণ। পঞ্চম %/ বা রূশ্মিঃ হুলিয়া শরীফ বা আকৃতি-অবয়ব, পোষাক পরিচ্ছেদ ও আচার-আচরণের বর্ণনা। ষ্ঠ %/ বা রশ্রিঃ কাশফ ও কারামাতের বর্ণনা। সপ্তম ৮: বা রশ্িঃ বেছাল শরীফের বয়ান।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২৫
45? ৰা দ্বিতীয় দীপ্তি 5১6৯ বা দ্বিতীয় দীপ্তিঃ সুলৃকের মকামাত বা খোদা পথযাত্রার অবস্থান ক্ষেত্র সমূহের বর্ণনা। এতে সাত % বা রশি রয়েছে। প্রথম.% বা রূশ্রিঃ 2০17 বা ষষ্ঠ অবতরণ স্তর ও তাওহীদের বর্ণনা। দ্বিতীয় ৫ বা রূশ্িঃ মহাত্বন ইশক বা প্রেমের বর্ণনা। . তৃতীয় /৫ বা রূশিঃ ইশ্কের কতেক ০৮৮ বা সম্পর্কিতের বর্ণনা। চতুর্থ % বা রূশিঃ 2//% বা ব্রি-প্রবৃত্তিরবর্ণনা। পঞ্চম 5 বা রশিঃ পীরের প্রয়োজনীয়তা ও পীরে কামেল অন্বেষণ প্রসঙ্গীয় বর্ণনা। ষষ্ঠ % বা রশ্িঃ পীরের সাথে 4, বা সম্বন্ধ ও ০: বা সংযোগের বর্ণনা। সপ্তম /৫বা রশ্িঃ পীর ও মুরিদের আদবের বর্ণনা।
»3/ বা ঝলক -১/% বা ঝলকঃ গ্রন্থের সমান্তি প্রসঙ্গীয় আলোচনা, এতে সাত %: বা রশি রয়েছে। প্রথম 5 বা রশিঃ ৮, বা অভিবাদনের সাজদার বর্ণনা; এতে নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ ও যুত্তির নিরিখে সাজদায়ে তাহিয়্যাহর বৈধতা প্রমাণ এবং বিরুদ্ধবাদীদের খন্ডন করেছেন। দ্বিতীয় বা রূশিঃ & / বা উদ্দেশীর তিন অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা। তৃতীয় ৫ বা রশিঃ সুলৃকের সপ্ত মকাম প্রসঙ্গে আলোচনা। চতুর্থ বা রূশ্রিঃ নিসবত সংক্রান্ত আলোচনা; সূফিদের পরিভাষায় নিসবত হচ্ছে আত্তিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে প্রভুর সাথে সংযোগ স্থাপন করা। পঞ্চম বা রূশিিঃ চতুর্দশ দরবেশ পরস্পরার বর্ণনা; এতে হযরত গীরানে পীর আবদুল কাদের জিলানী “রাদিয়াল্লাহু আনহু"র আবির্ভাব পূর্ব চৌদ্দটি সিলসিলা বা তুরিকার বর্ণনা, অতঃপর কাদেরীয়া তৃুরিকাসহ আরো বহু তরিকার নাম, পরিচিতি বর্ণনা পূর্বক দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে তৃরিকা অসংখ্য বলে মত প্রকাশ করেন। ষষ্ঠ / বা রূশ্িঃ শরীয়ত ও তরিকত সন্বন্ধীয় আলোচনা। সপ্তম+ বা রূশ্বিঃ শজরায়ে আলীয়া ও পুস্তকের সমাপ্তি; এতে গাউদ্থুল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্রিয়ানহুল্লাহুল বারী”র শেখ পরস্পরা, গাউছুল আযম থেকে শুরু করে নবীকুল সত্রাট মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামা পর্যন্ত আরবী ও উর্দূ ভাষায় মুনাজাতসহ গদ্য ও পদ্যে বিবৃত।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২৬
লেখক ৭২০ পৃষ্ঠা সম্কলিত গ্রন্থটি ১৪ জমাদিউচ্ছানী ১৩৩০হিজরী বুধবার আসরের নামাজের সময় লিখে সমাপ্ত করেন। গ্রন্থটি তাঁর সুযোগ্য সন্তান তত্ৃজ্ঞান অছিয়ে গাউছুল আযম ছোয়্যাদ দেলাওর হোছাইন “রহমতুল্লাহি আলাইহি” কর্তৃক ইমপ্রিন্টিং প্রেস চন্দনপুরা থেকে বিংশ শতাব্দীর পঞ্চম দশকে মুদ্রিত হয়। আজ পঞ্চযুগাধিক কাল অতিক্রান্ত হতে চলেছে কিন্তু এটির দ্বিতীয় মুদ্রণ হয়নি; গ্রহথটির পুনঃ মুদ্রণ অত্যন্ত জরুরী। ও
আরবী, ফার্সী, উর্দু ও হিন্দি ভাষার সমনয়ে এক অনন্য গ্রহ আইনায়ে বারী ইসলাম ধর্মদর্শনের নিখাদ দর্শন কলমের আঁচড়ে যুক্তিপপ্রমাণের দৃঢ় বাধনে দীপ্তি ছড়িয়েছে প্রতি মূহুর্তে চমকের দোলায় চমকে উঠে পাঠক। উম্মোচিত হয় বিবেকের রুদ্ধদ্ার, উদ্বেলিত হয় অনন্ত প্রেমাবেগ। অপসারিত হয় দ্বিত্বের পর্দা। গ্রহটি প্রত্যেক খোদা অন্বেষীর জন্য অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার যোগ্য গাইড লাইন। মুরিদ বা উদ্দেশীর জন্য মুরাদ বা উদ্দেশিত। রস্রান্তরের চিকিৎসায় একই সাথে উষধণ ব্যবস্থাপত্র ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
সুফী দর্শন আজ কিছু সংখ্যক মতলববাজের খপ্পরে পড়ে নিজস্ব রূপ-যৌবন তথা স্বকীয়তা হারাতে বসেছে। সূফি বেশধারী ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় ফেসে দ্বীনদুনিয়া উভয় কুলহারা মানুষ এ পবিত্র দর্শনকে ঘৃণার থুথু ছিটিয়ে দিচ্ছে গাদায় গাদায়। বিশেষতঃ নিরেট সূফি দর্শনের যুগোপযোগী সংস্করণ মাইজভাভারী ত্বরিকা সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে নিপতিত মানুষ নিজেদের অজ্ঞাতে মন্দ বলছে মাইজভান্ডারীদেরকে। এহেন পরিস্থিতিতে সূফি দর্শন ও মাইজভান্ডারী ত্বরিকার নির্ভেজাল দর্শন বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সমীপে তুলে ধরার নিমিত্তে উক্ত গ্রন্থটি বিভিন্ন ভাষায় ভাষান্তরিত হওয়া বাঞ্চনীয়।
বারী” বা প্রভু দর্পণ" গ্রন্থটি সৃষ্ষ্ জ্ঞানের অতল সমুদ্র। সিন্দু তলের মুক্তা আহরণ ডুবরীর পক্ষেই সম্ভব, তাই পুনঃরায় অক্ষমতা স্বীকার করে আলোচনার ইতি টানতে
বাধ্য হলাম।
প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর নেই। সুতরাং যদি স্বভাবগত বা যুক্তিগত ভাবে কোন অসম্ভব কিছু কারো থেকে প্রকাশ পায় তবে তার কয়েকটি দিক হতে পারে। হয়তো তা ঈমান-ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত হবে, হয়তো হবেনা। দ্বিতীয়টি ইসতেদরাজ। যেমন ফেরাউনের আদেশে নীল নদের প্রবাহ চালু হওয়া; ইস্তেদ্রাজ। প্রথমটি যদি কোন নবী থেকে প্রকাশ পায় তবে তা মুজিযা আর যদি অলি থেকে প্রকাশ পায় তা হলে কারামত বলে অভিহিত হবে। বস্তুতঃ অলিদের কারামত নবীদের মুজিযাই, যেমন ফতনহুল গায়ব শরীফের বর্ণনা মতে প্রমাণিত হয় যে, যখন খোদা পথযাত্রী ব্রিবিধি বিনাশ তথা সৃষ্টি, প্রবৃত্তি ও ইচ্ছা স্তর অতিক্রম করে তখন প্রত্যেক নবীর প্রতিনিধি ও হুলাভিষিক্ত হয়ে যায়। অতঃপর এ অবস্থায় কামালাতে নবৃয়তে যা অবশিষ্ট রয়েছে তা পূর্ণ অনুসরণের ভিত্তিতে উত্তরাধিকার স্বরূপ এঁ ছালেকের অস্তিতে কেন্দ্রিভূত হয়। এর উপর ঈমান আনয়ন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয বা অপরিহার্ষ। যে ব্যক্তি আউলিয়াদের কারামত অস্বীকার করে সে মূলতঃ নবীগণের মুসজিযাই অস্বীকারকারী। যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা এরশাদ ফরমায়েছেনঃ ৩৮1 ১৫ ০১০ (১০ 16০1৯৯০১৫০1 ১৪৪ 6০1১4901০০৪ ৭১০১। ৩1১৯৮০ ০৭ এ ৭৩৭ “যে আউলিয়াদের কারামাতের উপর ঈমান এনেছে সে অবশ্যই নবীদের মুসজিযার উপর ঈমান এনেছে, আর যে তাদের কারামাত অস্বীকার করেছে সে তাদের (নবীদের) মুজিযাই অস্বীকার করেছে।” নাউযুবিল্লাহি মিন যালিকা।
মু'জিযা ও কারামাতের মধ্যে পার্থক্য এ টুকু যে, মুজিযা প্রকাশ ও প্রচার করা নবীগণের উপর পরিপূর্ণ রূপে ফরয, আর কারামত গোপন ও চুপিয়ে রাখা আউলিয়াদের উপর অত্যাবশ্যক। কেননা নবীগণ নবুয়ত প্রমাণের ক্ষেত্রে মুসজিযা প্রকাশের পূর্ণ প্রয়োজনীয়তার সম্মুখীন, এর বিপরীতে আউলিয়াদের এটা প্রয়োজন পড়ে না। কেননা বেলায়ত সর্বসাধারণের সমীপে উপস্থাপন আবশ্যক নয়। আলেমে রব্বানীগণের দাওয়াত আপন নবীর ধর্মের প্রতি হয়ে থাকে। তাই এই দাওয়াতী মিশনে আপন নবী 'দাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা*র মুজিযাই যথেষ্ট। ওলমাগণ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বিধি-বিধানে জাহেরী শরীয়তের প্রতিই আহবান করে থাকেন। আর আউলিয়াগন জাহেরী শরীয়তের সাথে সাথে বাতেনী শরীয়তের দাওয়াতের ব্যবস্থাপনাও করে থাকেন এবং আল্লাহর স্মরণে সময় ব্যয়ের শিক্ষা দেন। এ দাওয়াতে কারামত প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই। এছাড়াও সৎপথগামী মুরিদ ও অকপট তালেব বা খোদা অন্বেষণকারী মিলন পথের স্তর সমূহ অতিক্রম কালে এক
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ২৮ স্তর হতে অন্য স্তরে উন্নতিতে অবস্থার পরিবর্তনে সদা-সর্বদা আপন মুর্শিদে কামেলে মুকাম্মেলের কারামত স্বীয় সত্তবায় অবলোকন করে। তার জন্য শেখে কামেলে মুকাম্মেলের তাসার্রূপ বা প্রভাব বিস্তার ক্ষমতাই মৌলিক কারামাত। অন্যান্য কারামতের তার কিবা প্রয়োজন? মৃত শরীরে প্রাণ সর করতঃ মৃত জীবিত করা সর্বসাধারণের দষ্টিতে উৎকৃষ্ট কাজ। আর মৃত অন্তরাত্মাকে জীবিত করা বিশেষ মহলে পূর্ণরূপে সমাদৃত।
আউলিয়াগণ স্বেচ্ছায় কারামাত প্রকাশ করা হারাম মনে করেন এবং খতুবর্তী
রমণীদের খতুকালীন নেকড়ার মত তা গোপন রাখেন। বরং মিলন পথযাত্রীগণ কারামাত প্রকাশকে গন্তব্যে পৌঁছার প্রতিবন্ধক মনে করেন। হযরত শেখে আকবর ্ মুহীউদ্দিন ইবনুল আরবী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন যে, কতেক আউলিয়া যাঁদের থেকে অধিক কারামাত প্রকাশ পেয়েছে তাঁরা আপন আপন জীবন সায়াহ্ছে অনুশোচনা করেছেন যে, হায় আফসোস! আমাদের থেকে এত অধিক কারামত কেন প্রকাশ পেল? লিপিবদ্ধ করেছেন যে,আল্লাহর সৃষ্টি জগতে কোন সৃষ্টির ক্ষেত্রে ১১৫ ০১৪ বা সৃজন ক্ষমতা প্রদত্ত হওয়া দলীল দারা সাব্যস্ত নয়। কিন্তু সম্মানিত ইন্সান বা মানবের মাঝে এই শক্তি গচ্ছিত রাখা হয়েছে। কিন্তু পার্থিব জীবনে এঁ শক্তির কোন অংশ তাদের ভাগ্যে জুটেনা। হ্টা কোন কোন আল্লাহ্র বান্দা ইহকালে সেই শক্তি অর্জন করেন এবং এ শক্তি বলে মৃত জীবিত করা সহ অন্যান্য যা কিছু ইচ্ছা করেন করে ফেলেন। যেমন তাবুক যুদ্ধে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়াসাল্লামা)র যুগে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি একজন সাহাবীকে সম্বোধন করে বললেন, ১১11 ০৫ “আবু যর হয়ে যাও।” তখন সঙ্গে সঙ্গেই আবূ যর. হয়ে গেলেন। অনেক মর্দে খোদা এ শক্তি অর্জন করা সত্তেও আল্লাহর দরবারের আদব রক্ষা করে চলেন এবং প্রয়োজন মুহুর্তে আল্লাহর নামকে মাধ্যম করে কোন কাজ করেন; স্বীয় শক্তি সামর্থ থেকে সম্পূর্ণ বের হয়ে যান। অবশ্যই বেহেস্তে অতি নিম্ম স্তরের বেহেস্তীও এ কাজ করতে সক্ষম হবে। আমাদের দেশীয় মৃত ভক্ষক দুনিয়াদার আলেমগণ ও চতুষ্পদ জন্ত সদৃশ সাধারণ লোক কাশফ ও কারামাত প্রকাশ পাওয়া বড় গুরুত্পূর্ণ কাজ মনে করে এবং আহলে এরফান ও হাকীকতের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখেনা। বরং অন্তরে এ ধারণা রাখে যে, যদি এ ব্যক্তি আল্লাহওয়ালা হন তবে অবশ্যই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞান রাখতেন। যখন তিনি এ সামান্য খবরও রাখেন না তাহলে আল্লাহর রহস্যাবলী সম্পর্কে কিবা জানবেন? পূর্ববর্তী যুগের মুনাফিকরা নবী করীম "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র
সি চি পাপার্টি
কারামাতে গাউসুল-আযম মাইজভান্ডারী- ২৯
শানে আযমতে এ ধরনের উক্তি করতো। আর এ যুগের মূর্খ লোকেরাও এ ভ্রান্ত
ধারণার বশীভূত হয়ে আল্লাহর প্রিয়ভাজনদের ফয়য ও বরকত থেকে বঞ্চিত থাকছে। অথচ এই বিষয়ে অবহিত নয় যে,আল্লাহ আপন বন্ধুদের ব্যাপারে সুন্ক্রম্দাবোধ রাখেন এবং তাঁদেরকে তিনি ভিন্ন অন্যের সাথে জড়িত হওয়া থেকে মুক্তান্তর
রাখেন। (৪১,১০1 «19 “এবং আল্লাহ আমার থেকে অধিক মর্যাদাবোধ সম্পন্ন” .
এটারই প্রতি ইঙ্গিতবহ। ৮০1/5-৮9%/৮5, রর ৮০/১৯/1825, “যা চাও তা কর বন্ধু, তবে তাঁর প্রেমে থেকো সাবধান,
প্রেমাম্পদ নিক্তি ভঙ্গুরতা তুলিতে পূর্ণ সাবধান।? ০5৮
0৮7-2৮/১-। » 9৮০৮৩5৫১৯৫০ )/7৫-2/৮৭% গ ০০1০1505501 “যত দিন বেঁচে রব জগতে তুমি থাকবে মোর প্রাণের প্রাণ, হে গাউছুল্লাহিল আযম, অন্য কিছু তুমি জান। দুঃখ বেদনা সাঙ্গ সদা অন্য কিছু তুমি জান।”
গায়েবের অবস্থা প্রকাশ, রিয়াযতের ফল স্বরূপ। অলৌকিকতা ও কারামাত '
বেলায়তের আবশ্যকীয় বিষয় কিংবা শর্তভূক্ত নয়। অধিক অলৌকিকতা ও কারামাত প্রকাশ ফযিলত ও মর্যাদার কারণও নয়। অনেক মর্দে খোদা, আউলিয়াল্লাহ্ ও প্রভু নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা থেকে অলৌকিকতা ও কারামাত মোটেই প্রকাশ পায়নি। মহানবী “সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা'র অনেক উঁচু স্তরের সাহাবী “রাদ্দিয়াল্লাহু আনহুম
হতে অলৌলিকতা বা কারামাত প্রকাশের ঘটনা বর্ণিত নেই। বস্তুতঃ নিয়ন্তরের সাহাবাগণ “রাদিয়াল্লাহু আনহুম”ও অন্যান্য আউলিয়াল্লাহ “রহমতুল্লাহি আলাইহিম' হতে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হওয়া সর্বজন স্বীকৃত এবং এর উপর উম্মতের এজমা প্রতিষ্ঠিত। গোপনে প্রান্তিক সাবধানতা অবলম্বন করতেন। এতদ সত্ত্বেও এত অধিক কারামাত বিনা ইচ্ছায় প্রাকাশিত হয়েছে যে, গণনা ও বর্ণনার বাইরে। তন্মধ্যে কয়েকটি সহজবোধ্য ক রামাত সুরণের নিমিত্তে সৃতিস্মারক রূপে উল্লেখ করছি।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩০
হযরত গাউছে পাকের জ্যোতিতে মুরাকাবায় এক ব্যক্তি জলে ভসু __ হয়ে ফানা হবার বর্ণনা
কারামাতের ঠিকানা বেলায়তের যোগাযোগস্থল, মওলানা শাহ আমিনুল হক ওয়াদদীন, কদ্দাসা সিররাহু রাব্বুল আলামীন যিনি হযরত গাউছে পাক 'রদিযাল্লাহ আনহু"র আপন ভ্রাতুষ্পুত্র ও বিশুদ্ধভাষী এবং অনুপম বাকপটু ছিলেন। তিনি তেজন্বী বর্ণনাকে এ হৃদয়গ্রাহ্য ময়দানে মনোহর ভাষায় এ ভাবেই উপস্থাপন করেন যে, আমাদের হযরত, গাউছিয়তের ধারক ও কুত্বিয়তের বাহক প্রায় চল্লিশ বছর যাবৎ সম্পূর্ণ রূপে একতৃবাদের মদে আত্মহারা ছিলেন। সদা আল্লাহর সুন্দ্য পর্যবেক্ষণ সাগরে বাস্তব প্রত্যক্ষকারী রূপে এমন ভাবে নিমজ্জিত থাকতেন যে" গাইরল্লাহর দিকে চক্ষু তুলে দেখতেন না। সর্বদা %। ১১১৮৮] €1১- “এবং দৃষ্টি টলেওনি আর অগ্রসরও হয়নি।” (সুরা ওয়ান্নাজমে ১৭নং আয়াত।) এর নীতিতে বিদ্যমান ছিলেন এবং (5১১11 ০১০৬৪ 13 01431553৬১১ “নিকটবর্তী হল অতঃপর দুই তীর ধনুকের পরিমাণ অথবা আরো নিকটবর্তী হল।” (সূরা ওয়ান্নাজমে ৯-১০নং আয়াত।) এর মর্মমতে নৈকট্যের উচ্চাসনে সর্বদা সমাসীন থেকে আল্লাহর নূরী তজল্লিয়াতের প্রত্যক্ষদর্শী থাকতেন।
ক
০৮3 64105 £:02/৯1/% 69০ 54০1// সর %১/৫1)৮৮/৮-/৮ **সে নূরে জমালী হতে কভু বেখবর না হবো, প্রিয়ার গলী ছেড়ে দূরে কোথাও নাহি যাবো। স্থির দৃষ্টির সুরমা হতে সুরমাকর্ষণকারী থাকবো, তজল্লীর চমক থেকে কু দৃষ্টি নাহি ফিরাবো।” গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্ধিয়ানহুল্লাহুল বারা'র উচ্চ কামালাত ও মহান মর্যাদার প্রসিদ্ধি শুনে দূর-দূরান্ত থেকে খোদাপথ তালাশকারী, হেদায়তের শরাব খানার তৃষ্তার্ত, অন্ষণাদ্িতে ভস্মহদয় ও প্রেম-প্রেরণার মদে পূর্ণমন্তগণ মহান আল্লাহর এই প্রজ্জলিত দীপ্তির উপর পতঙ্গপালের ন্যায় জীবন দিতে শুরু করল। রহমতে পর্ণ এ গুলবাণিচ। থেকে বাতেনী ভাবে আশা-আকাংখার পুম্পরাজি বিহান রিন্ত ফেরাতো অসম্ভব, কিন্তু দৃশ্যত মনোযোগ না পাওয়ার কারণে জাহেরী তালেবগণের অন্তরে অত্যন্ত বিষন্নতা ছিল।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ৩১
০5425 451৫০7৮৫8৩৮ বং ১৪০৮৮৫৮৯৮০৮
+৯০০৮০১৫14%৫ এ ৩১/০০০০৯%১৯/০৮১০৫
“মোদের প্রেমিক প্রবরের মুখোজ্যোতি, যবে প্রতিঘরে দীপ্ত হল;
জগতের প্রেমিক সবের প্রাণ, সে শিখার যে পতঙ্গ হল। দয়ার স্বভাব এ উদ্যানে, পাতল যে ভিক্ষার দু"হাত;
রিক্ত ফিরবেনা কভু সে, ভিখারী হয়ো নাকো আশা হত।”
একদা পাঞ্জাব বংশোদ্ভূত, উদ্দেশিত তালাশকারী,জানবাজ আশেক,সকাতর
নিবেদিত.বিরহাগ্মিতে দ্রবীভূত,বিদগ্ধ রহস্যঙ্ঞানী,বন্ধুর প্রেমে পাগলপারা,মিলন শরাবের তৃষ্গর্ত শেখ আহমদ নামক এক ব্যক্তি বন-জঙ্গল ঘুরে,জল-স্থল অতিক্রম করে পাগল ও পতঙ্গের ন্যায় অত্যুৎসাহে গাউছিয়তের ভাক্কর হযরতে আকদছের দরবারে এসে উপস্থিত হল।
৩ ১৯/৮০/৫০১৫ চিত ৮ 1,624 ১. 2৮৯৮৮ ০ রি রা হ & £ু /1৮40১০06) * ৮৮০৫৩০:০৪ ///65:০87৮26,৮12-4/ ৫ £ 1 ২ ১ পি 12699055400 ৮ 14-4৫-১০১৬ ,৮4/028দর্ত। বলতিটি9০৯া ৮০ 1) লরি ৮৮, [1 ৯3 4০৮৮৬ ০ শট 46 ন্ 6১০৮৮৫৮৮৫১৯ 1/4:1১৮/৫ টের +0১15544- র্ হি /৮০৮9১০-,258 5 চ209১০0-1-1 ,05-225510 ২/৯৯2৮4-৮০৮ পড়ল কেমনে হৃদয় দর্পণে কঠিন সে পাথর, হল যে সে ক্ষণে চূর্ণ-বিচূর্ণ আমার অন্তর। বন. অরণ্যে শহরে-প্রান্তরে খুজেছি সবখানে, অন্ষিয়ে পাইনি কোথাও হারা মন যে আমার।
খগ্জরে আবরুতে করিয়ে যবেহ মারিল প্রাণে, যায়না আর সহা হৃদয়ের আনচান আমার। লাগল যবে অন্তরে মোর প্রেমের সে আগুন, অণুর বরণ উড়িল জলে ভগ মন আমার।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩২ দিল হল অগ্নিকুন্ড প্রিয়ার প্রেমানলে, সোনার অঙ্গ হল যে ছাই জ্বলিয়ে এবার। তপন তুল্য প্রিয়ার আনন দেখিলাম যবে, লুকিয়ে গেল তারা যেমন হারামন আমার। . প্রিয়ার প্রেমে পাগল করিল মম অন্তর, থাকিতে নাহি চায় কাঞ্চন নগরে দিল আমার। পাগল মন চল এবে যাই মাইজভান্ডারে, দেখা হবে সেথায় তব প্রাণপ্রিয়ার। মকবুলের এবে নাওহে খবর সে ভগ্নান্তর, এনেছি তা দেখাতে তোমায় খোল রুদ্ধদ্বার।”
পূর্ণ এক সপ্তাহ আবেদনের ললাট ফয়েজপূর্ণ আস্তানার চিত্তসুদ্ধকারক দরজায় ঘর্ষণ করতেছিল,কিন্তু গাউছিয়তের দয়ার সাগর তরঙ্গিত হয়নি। পরিশেষে এক সপ্তাহ পর হযরত গাউছে পাক ভক্ত-অনুরক্ত সমেত দায়রা শরীফে তাশরীফ আনয়ন করছেন। এমনি মুহুর্তে উক্ত শেখ আহমদ পতংগের ন্যায় গাউছে পাকের পৃণেজ্ভিল আলোতে মনোপ্রাণ উৎস্বর্গিত হয়ে চরণ যুগল আঁকড়ে ধরল এবং অতি অনুনয়-বিনয়, কাতরতা ও আকুলতায় বাঞ্চিত মিলন পেয়ালার প্রত্যক্ষদর্শী হল। পরিপূর্ণ উৎসাহ- উদ্দীপনা ও প্রান্তিক কাতরতায় সুমহান দরবারে এভাবে আরয গুযার হলেন।
৩
-৪৫%৩1/8০১১5৩৮ £ ৪৫2০৮৯৩৫০০০ ৫৮/৯5/০৮০০ /-//৮/5 7// ৪০১:৪-৮০//৭৮ £ &7%-2৮12 ৫৮45৩ ৩৫৩৫-9% £ ৬৯১৯৮০1০০০৭ ৫৮১5 //051040:০%০-০/৮৯০৯5175/ ৫9/551/১৮০৫০৮: 5/44৮৫০৫4-৮1 8৫৯551-54/% ! 4০4০৪ ০০৮৮ ৫১,9০৮ : 626,561 /820 ৪৮9১০: [০ র্ উরি নি প্রাণ প্রিয়ার নামের আদ্যাক্ষর ছদকায়, মনোপ্রাণ, দ্বীন ফেদা পরে সে শক্তি সাগর। মুর্শিদ আমার আকা" মওলা মুখতার, সদা এই ভিখারী তব দয়া-কৃপাক্ষণার। যুলায়খা বরন তোমার প্রেমের বাজার. এসেছি নিকলে শীঘ্ব উঠাও আড়াল লঙ্জার।
দিলী মকছুদের কেবলা-কাবা আস্তনা, তোমার,.তাওয়াফ করবোনা কভু হরমে কাবার। বাগে জান্নাত থেকে উত্তম গলী যে তোমার.বাসনা নেই অন্তরে মোর জান্নাতে যাবার!
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩৩ অহরহ মনে জাগে বাসনা আমার, প্রেমে হই লীন নূরী কদমে তোমার। শাহদতের কামনা নিয়ে এলাম জগৎ মাঝার, সম্মানের খঞ্জরে সেই ইমাম শাহার। রাঙ্গাপুষ্পের মত চিহ্ন নিয়ে যাবো কবর, যাবৎ না কুরবান হই নুরী কদম উপর। খেদমতে মাথা নত বেদিলের হোক মকবুল,আপনার কদম তলে সে পদচিহ্ণ আপনার। (একশিয়োমেটিক টুথ) স্বতগ্রসিদ্ধ সত্য যে প্রেমাম্পদেরা হৃদয়গ্রাহী প্রেম ছলনা কভু ছাড়েন না এবং দিল দাতা প্রেমিকদের সকাতর প্রার্থনা কখনো দমিত হয়না। এদিক থেকে সর্বদা জীবন বাজি অপর দিক থেকে সদা বেনিয়াধী, একদিক থেকে প্রতি মুহুর্তে ১-১)1 ১) “প্রভু হে! আমাকে দর্শন দাও।” অপরদিক থেকে সর্বদা ১-| ৬১1১7 “তুমি কভু আমাকে দেখবেনা।” এর তারানা। ্ ০৮ ও 24৮/৬০6৪0972: /)1৮07/৮0%৩। 45০৪07৮8১৮৭ :₹/৮৮0%০272৬এ 560: 25475৩6%09957 4১-74-0581 ! 2700) /৮164-5-51 4/8১৮1৮4/০/০/৮1 £ 2৮48 90155015581 €//94-১8১১৮/০১০ 1 558১৮৮29551 -/৮9৫৯৮:-১/৪৫ : 4-6/7৮1/5%-1 রত ০ /51 01১4১ ১৩/৬/১৯/১১০১১০7/৮। এ 4১৮55527051 চি ৪1৮5044-/81 *এ দুইটি কতই উত্তপ্ত প্রেমের বাজার? তোমার হুসন ও ইশকের শরাবে সবই আত্মহার। কত উচ্চ তব সুন্দর্ধ্য ও প্রেমের রাজ দরবার, যেদিক দেখিবে তব হুসন ও এশকের দরলার। ঘৃঘুকোকিল ও তুতী সবের এ আযকার, পুষ্পডালে বুলবুলদের কণ্ঠে এ ঘোষণ। বারবার। একদিকে সকাতর প্রার্থনা অন্যদিকে প্রেমছলনা, একদিকেতে শহীদ আর অপর দিকে তলোয়ার। একদিকে লনতরানী লনতরানীরই ঠমক, অপরদিকে রব্বে আরনী তালেবে দিদার। একদিকে ভক্ত, প্রণত, তসবীহ আর ছেঁড়া পোষাক, অপরদিকে মদে মত্ত প্রেম শরাবী বেকরার। একদিকে মসজিদ, মেহরাব, মিম্বর শেখ যে, অপরদিকে প্রেমালয়ে প্রেমজ্ঞানী পৈতাদার।
একদিকে বৈদ্য, উষধ, চিকিৎসা আরগ্য, অপরদিকে প্রেমতাড়নায় দূরারগ্য বিমার। একদিকে বেদিল মকবূলের অসহায়ত্ত, অপরদিকে শাহী ঠমকে গাউছে মাইজভানার।"
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ৩৪
আলকিস্সা, নাষ ও নিয়াষের পর হযরত গাউছুল আযম "রাদিয়াল্লাহু আনহু" ভক্ত কর্তৃক হাদিয়া স্বরূপ দরবারে আনীত গুড় থেকে কিছু পরিমাণ নিয়ে অতি চিত্তমুগ্ধ ও কমনীয় ভঙ্গিতে এবং মাহবুবানা কারিশমায় উক্ত শেখ আহমদকে দিয়ে বললেন যে, “আজ রাত আপনি আমাদের মসজিদে আরাম ফরমাবেন।" শেখ সাহেব অলজ্বনীয় আদেশ মোতাবেক মসজিদে অবস্থান নিলেন। রাত্রে যখন শেখ সাহেব গাউছুল সমস্ত শরীরে আগুন লেগে গেল এবইতার সমস্ত শরীর জলে ভঙস্ স্ত্ুপে পরিণত হল।
১/-পংক্তি (5৮-14-8১6৮ 50577 8775 “গাউছের প্রেমের বদৌলতে যে আগুন লেগেছে, সব ভস্ম হয়ে উড়ে গেল ফানার আকাশে ।” অতঃপর উক্ত ভস্ম পানিতে পরিণত হয়ে তাঁর বসার স্থানে বরফের মত স্তুপ হয়ে জমে রইল। +/-পংক্তি 4৬ ৩৬৪ « %25০০৪৫ ৮িিশ৪) কালনাগিনী ধুংসিতে কলিজায়, হয়ে গেল জুল কসম বেদিলীর।”
ভোর রাতে যখন হযরত গাউছুল আযম 'রাছিয়াল্লাহু আনহু"'র মেঝ ভাই জনাব মওলানা আব্দুল হামিদ সাহেব নামায পড়তে মসজিদে গেলেন, তখন উক্ত শেখ সাহেবের এ ভীতিপ্রদ অবস্থা দেখে ভীত সন্ত্রহ অবস্থায় গাউছুল আযমের খেদমতে উপস্থিত হয়ে অবস্থা জানালেন। এরশাদ ফরমালেন, "আপনি সেথায় ফিরে যান যেখানে উক্ত শেখ সাহেবের শরীরে আল্লাহর প্রেমাগ্সি লেগে প্রথমে জুলে ভস্ম এবং পরে আল্লাহর অনুগ্রহে পানিতে পরিণত হয়েছে। এ স্থানকে আতর গোলাব দ্বারা সুবাসিত ও সুগন্ষিত করুন এবং উক্ত জমা পানি একটি সংরক্ষিত গ্রানে দাফন করে
7 5 দিশা থলরুলারা এ জাপার উকি আবগিত করাবেন নাত অতঞল “মীলভা সংঙহল
গাউসুল আযমের নিদেশি মাতে সকল কার্য তাড়াতাড়ি সমাধা করে গাউছুল আযম 'রাঘিযাল্লাহু আনন্ু'কে খবর পৌছালে গাউদ্ুল আযম “রাদিয়াল্লাহু আনহু" বললেন,
অলি (১২ || ৭ 5 তথা বিলীনতার প্রান্ত সীমায় উপনীত হন, তিনি পুনঃরায় টি জগতে ফিরে আসা সম্ব নয়। ইস অল বাতীত কেউ এ মকাম থেকে ইহজগতে
লহ সনমপুল আছ ফি:
এ বর হারের হারার রর্রা ররর পরার (হি আসিল একুভীন হাল হুহাকত সুলভানুল আড;
মাহববে সুবহানী শেখ আবু খুহাম্মদ আবদুল কাদের জিলানী "রাদিয়াল্লাহু অনহ্থর ভাগিনা ছৈয়াদ আহমদ কবির ইবনে ররেফায়ী 'রহমভুলহি আলাইহিমা"; অনা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩৫
একজন পূর্ব যুগের অলির বেলায়ও এমনটি ঘটছে। ভাগ্যমান শেখ আহমদ “রহমতুল্লাহি আলাইহি'র পরম সৌভাগ্য যে, প্রাণেশ্বরের মিলন মুহুর্তে প্রাণপাখী প্রাণের প্রাণের.উপর উৎসগীতি হল।' সুবহানাল্লাহ! কোন দিলঘায়েলের দিলের এমন সামর্থ? সে প্রেমাকাশের তপনের তাপ সইতে পারে? কতই প্রিয় বাঞ্ছিত? কতই হৃদয় পাগল করা কাংখিত? যে সর্বজনাবের প্রেম-মুহববতের তাপদাহে সর্বদা সূর্যের বক্ষ কবাব এবং আশেককুলের প্রাণ পূর্ণাসক্ত, চমকিত ও বিদীর্ণ।
০) ৮৮9৩, 1/1558১ £ তির চি /)) এ29০6১৮56 ! :০:০915৮2/4১৩8
তোমার প্রেমে যে অনল জলিল, দেখ এবে মম দিল ও জিগর কাবাব হল অন্তরের ব্যাকুলতা বলিব কি প্রিয়া? নমুনা কিছু চাইলে দেখ তা বিদীর্ণ
৩ ৮6 5868589 পর ৮6 4 এ ৮১1৮0155- ১৮৮ 5 ৫ এ ছও রসি ১ ০পজত/র্রিতি ৬০5 ৮০১ ৫:৯/458 , টানা ৮ ১০৩ ব৯৪ ০ %৬5 ৮9-৮৮% এ ৮, 05221 ৬৫৩৮ চরহ 16৪০১2
থি
দিম? ও রাযি | ১ প9 এ ও ১2512 - ৯৪1 ৩৬৬৮০ ৪৬১
১৪ 01855) ৩ 21 ১০৫০৩,৪ ৮5১ 5155/%/18 ০ 224 সতভান,০2০4৯ এ সঃ ৮০1৮৮০৮, ও ৮৫5হ। রি ১৮ এ দেও 0০৫0 152০১0-55 ১৪ 28
এ তিএ ৮৫%হ-। ভাত 1৯: 5 নি রহ
নর
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩৬
যে সদা তব কদম দেখে, দিল ও নয়ন সদা জ্যোতিময় দেখে।
গাউছে আযমের চরণ চুমে যে, সদা সে আপন সৌভাগ্য দেখে।
গাউছের চরণ কিবরিতে আহমর, যার কপালে লেগেছে কিমিয়া দেখে। পাদুকা মোবারকের ধুলি যে সুরমা, নয়ন জ্যোতিময় হয় যে লাগিয়ে দেখে। কেউ কি জানিবে গাউছের মরতবা, দেখেছে যে তাঁরে সে খোদা দেখে।
যে *য়াছেল ও কামেল হল তার প্রেমে, নিজেকে -স খোদার সাথে মিলিত দেখে। খোদা প্রেমে হল সে ফানাফিল্লাহ, যে নিজেকে তাঁর পরে মিটায়ে দেখে। তাঁর সাথে যে, বাঁধে প্রেমের ডুরী, সে আপন সম্পর্ক খোদার সনে যুক্ত দেখে। নিমিষে সে খোদার নিকট পৌছে, যাঁকে তিনি বারেক নয়ন তুলে দেখে।
হল যে তাঁর নিকট সদা গৃহীত, সে গাইরুল্লাহ হতে নিজেকে মুক্ত যে দেখে। যে প্রতিপলে তাঁর পরে হল ফানা, সে লয়ের মাঝে অলয় নিজেকে দেখে। মকবুল যখন থেকে হল তব কদমচুমী, নিজেকে সে তব পরে লীন দেখে।
ই পথ আঘুবৃদধি
জাভেদ
মুক্তি পেয়ে কারামাত ভাস্বর দরবারের পদচুম্বী হবার বর্ণনা এইরূপ। বর্ণক অফুরন্ত
ফয়েজরাশির ধারক দরবার এ গাউছিয়ায় ললাট স্থাপনকারী সুলতানুল আরেফীন হযরত আবু ইয়াষিদ বুস্তামী কুদ্দাসা সিররূহুসসামী এর আস্তানা শরীফের প্রবীণ খাদেম জনাব মৌলভী শাহ মুনিরুল্লাহ্ সাহেব নাছিরাবাদী চাটগামী এ মুনোমুগ্ধকর ঘটনাটি এ ভাবেই খোশ বয়ান করেন। আমাদের প্রতিবেশী পৃণ্যাত্্ী আবদুল কাদের নামক এক ব্যক্তির সাথে আমার ছ্বীনি প্রেম-ভালবাসা ছিল। তকদীরের ফায়সালায় একদা এ নেককার অতিশয় রুগ্ন হয়ে গেল। প্রাজ্ঞ ডাক্তার যতই সে দুরারোগ্য অসুখের চিকিৎসা করতে লাগল দিন দিন পাল্লা দিয়ে অসুস্থতা ততই বেড়ে চলল এবং অবিরাম ভাবে আল্লহর ফয়সালা জালালিয়তের দ্যুতি ৬১৯০1 _| * 12 4 13 “আল্লাহ আপন কর্মে বিজয়ী” এর ঠমক দেখাতে লাগল।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩৭
৬৮
1/1১91১4 র /৮৮৮০/০-
54 ,9/2০2091/« ১21৮১৯1০৯
০০,705 « £178/20105)
৬১৮102)। « 55/৫4/4821
এ 1,2১০ ক /১/4০-৮১/
-7012-454 € ১/৫১০-95%
খোদার হুকুমে ডাক্তর আহম্মক হল, সে প্রভুর হুকুম প্রতিহতের সাহস দেখাল।
প্রভুর হুকুমে ছিকার্জিবীন পিত্ত বাড়াল, আল্লাহর ফয়সালায় তৈলে খুশকী দূর না হল।
হলীলা খেল কোষ্ট কাঠিন্য বিদূরীতে, কোষ্ট পরিষ্কার হয়ে বাহ্য হলনা তাতে।
কাযায়ে হক রুখতে হল অপারগ ও নৈরাশ, আযল ছাড়বেনা না পৌছিয়ে গোরে লাশ। মকবুল যদি না হয় খোদার ফয়সালা, শরীরে অস্ত্র প্রচারে কি ফল হবে?
অবশেষে যুগশ্রেষ্ঠ ডাক্তারগণ এ দৃরারোগ্য ব্যাধি সরাতে ব্যর্থ হল এবং শহরের সকল চিকিৎসক তার চিকিৎসা হতে হাত গুটিয়ে নিল। প্রতি মুহুর্তে মৃত্যু সংবাদ বাহক প্রভু লেখিত ভাগ্যলিপি পৌঁছাতে লাগল। ক্ষণিকের ধারকরা জীবন থেকে নৈরাশ্যের মুহুর্ত সমাগত। মৃত্যু যাতনা শুরু হল: প্রতি মুহুর্তে জোরে জোরে হিচকি নিতে লাগল।
৪ ৬৯
৬
১০55748714০ /০079/15)0
/82/১৫০ ৮১516 84 ০ 46145125982
*সুখ-স্বাচ্ছন্দে প্রভূকে ভুলে ছিল, মুখ তার সুরণে বিরত ছিল। যবে সকল চেষ্টা বিফলে গেল, প্রভুর দিকে তখন প্রত্যাবর্তন করল।""
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩৮
এর আলোকে হাকিমে হাকিকী প্রকৃত বিজ্ঞডাক্তার আল্লাহর প্রতি দাবিত হল। কেননা, ০২১15 1১০১ ৩০ ০১৩ ১৯1৩ ২৯৯1 ০০ ৯৪ ৯৩773 ৩) $]19এবং অবশ্য আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের সামান্য ঘাটতি ছ্বারা পরীক্ষা করবো।” বাণীর তাৎপর্য মতে প্রজ্ঞাময় প্রভু হেকমতের চাহিদানুষায়ী খন আপন কোন বান্দাকে কঠিন মুসিবত দ্বারা পরীক্ষা করেন। তখন সে বান্দা,৫.১০1)15129১৯১১| 4০০1১115৬1৯ 31 ০1০58] 01 (2১, ১১৯ "নিশ্চয় মানুষকে বড়ই অধৈর্য করে সৃষ্টি করা হয়েছে, যখন তার কোন অমঙ্গল ঘটে তথন খুব অস্থির, আর যখন মঙ্গল হয় তখন কার্পণ্যকারী।”" (সুরা মাআরিজ- ১৯-২১নং আয়াত) এর মর্মমতে প্রথমে আল্লাহ প্রদ্ত বালা-মুসিবত ও
_ ফয়সালাকে নিজ প্রচেষ্টায় প্রতিহত করতে চায়। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজ সামর্থ মুকাবিলা
করতে সক্ষম ততক্ষণ অপরের দ্বারস্থ হয়না। যখন নিজ তদ্ধিরে “বলায়ে এলাহী"র মুকাবিলায় অপারগ হয় তখন অপরের সুরণাপন্ন হয় এবং সাহায্য চায়। যদি সে সমস্যাটি পার্থিব মু'আমালার হয় তবে প্রতাপশালী ও সম্পদশালী ব্যক্তিবর্গের দ্বারস্থ হয়। আর যদি শারীরিক রুগ্নতা, অসুস্থতা হয় তাহলে বিজ্ঞ হাকিম, ডাক্তার, বৈদ্য ও কবিরাজের সুরণাপন্ন হয়। যদি তাদের চেষ্টা প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধান না হয় এবং মুক্তির পন্থা খুঁজে না পায় তখন প্রয়োজনের তাগিদে প্রকৃত বাদশাহ আল্লাহর দরবারে অশান্ত মনে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে সকাতরতায় ফরিয়াদের হস্ত উত্তোলিত করে। আর আল্লাহর প্রশংসা কীর্তনে ঠেটি সঞ্চালিত করে। মোটকথা মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজ প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম ততক্ষণ অপরের সাহায্যপ্রার্থী হয় না। আর যতক্ষন পর্যন্ত সুষ্টির দ্বারা সমস্যার জট খুলে ততক্ষণ পর্যন্ত জুষ্টার দ্বারস্থ হয়না। পরিশেষে যখন সকল চেষ্টা-তদ্বির বিফলে যায়, উদ্দেশ্য সাধনে যাবতীয় কৌশল বার্থতায় পর্যবসিত হয় তখন অমুখাপেক্সার দরবারের মুখাপেক্ষী হয় এবং
হেরি 5 চিন টি ৩ ৯৫ ্ হী বনহ-শউভাক সাথে কান্নাকাটি করে আশা ও ভয়-ভাতির সাথে দয়াপ্রাথা হয়।
এমতাবস্থায় অমুখাপেক্ষা প্রভু আপন স্বাহান শান দেখান এবং অনুনয়-বিনয়, কান্না-কাটি ও অস্থিরতায় অক্ষম করে তৃুলেন। তার প্রার্থনা কবুল করেন না, যাবৎনা সে সকল হেতু ও তদ্বির হতে বিরত হয়ে যায় এবং নিজেকে সর্বশক্তিমান প্রভুর ভাগালিপির উপর ছেড়ে দেয়। তার স্বচ্ছ অন্তর থেকে চেষ্টা-প্রচেষ্টার উপর ভরসা কেংবা তদ্ধিরে তক্দার ফিরে এমন আকিদা-বিশ্বাস বিদূরীত হয়। সে সবান্তঃকরণে তকদীরে এলাহীর উপর ঈমান স্থাপন করে এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণান্থাশীল হয়ে যায়।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৩৯
এমতাবস্থায় আল্লাহর ফয়সালা ও বিধাতার ভাগ্যলিপি এ বান্দার উপর জারী হয়ে যায়। বান্দা সর্বপ্রকার হেতু ও চেষ্টা-তদ্বির হতে সম্পূর্ণ বিলীনতা অর্জন করে, অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়। মানবীয় পঙ্কিলতা ও প্রবৃত্তির দাসত মুক্ত হয়ে নিরেট রূহানী শক্তিতে উজ্জীবিত হয়। আকৃতিতে মানব এবং প্রকৃতিতে ফেরেন্তাগুণজ হয়ে যায়। সর্বদা আল্লাহর সুরণে রসাস্বাদন করে, ইন্দ্ীয়ানুভূতি শৃণ্য হয়ে আল্লাহর সুরণ ও জিকরের মকামে শান্তি-স্বস্তি লাভ করে। তার রূহানিয়াত আলমে আরওয়াহে মলআয়ে আ'লা এর ফেরেস্তাদের সাথে পরিভ্রমণ করে। যখন অন্তরের পবিত্রতা এবং কলবের আলোকুজ্জলতা অর্জিত হয় এবং রহস্যাদির গুঢৃতত তার উপর প্রকাশিত হয়, তখন বিনা ইচ্ছায় একতৃবাদে নিশ্চিত বিশ্বাসী, ইলমুল ইয়াকীন ও আইনুল ইয়াকীনের অধিকারী একতৃবাদীতে পরিণত হয়। প্রকৃত কার্যনির্বাহক ও প্রভাব বিস্তারকারী আল্লাহ ভিন্ন অন্যকে দেখেনা। সে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করে নেয় যে, জগতের সচলতা ও স্বিরতা তথা ভাল-মন্দ, উপকার-অপকার, দান-বঞ্চিত করণ, সংকীর্ণতা-প্রশস্থতা, হায়াত-মাউত, সম্মান-অপমান, দারিদ্র ও ধনাঢ্যতা ইত্যাদি আল্লাহর কর্ম ও কুদরত। এমনি অবস্থায় সে বান্দা দুগ্ধপোষ্য শিশুর ন্যায় হয়ে যায়, সে আপন মায়াময়ী ধাত্রী ভিন্ন অন্য কারো সাথে সম্পর্ক রাখেনা। অথবা গোসলদাতার হস্তে নিজ ইচ্ছা থেকে সম্পূর্ণ হতাশ্বাস মৃতের ন্যায় হয়ে যায়। কিংবা তীরান্দাজ বা গোলাবারম্দ নিক্ষেপকারীর নিকট তীর বা গুলি যেমন স্বাধীন ইচ্ছা শক্তিহান অনুরূপ ত্রষ্টার কর্মে ৃষ্টিও জ্ঞান ও ইচ্ছার যোগ্যতাহীন, তীরান্দাজের ইচ্ছামত যেদিক-সেদিক নিক্ষিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় বান্দা আত্মহারা ও মুনিবের কর্মে বিলীন হয়ে যায়। মণ্ডলা ও মওলার কর্ম ভিন্ন অনা কিছু তার তন্তমগ্ন পৃষ্টিতে দর্শিত হয়না। সে তখন প্রকৃত অর্থে 47711 ৪5 *আল্লাহ। এবং তিনি ভিন্ন কিছু নেই” এর হাকীকত লাভ করে, যাকে আরেফীনাদের পরিভাষায় 91531 ১১৯ ব কর্মসম্পুন্ত একঠবাদ বলে অতঃপর
সে সব কিছুতে প্রভু দোখে, সব সবাকেল উগাহ আষ্টাহের কলাম শুনাতে পা
লং
জুন লাভের মাধো আল্লাহর পরিচিতি পঙ়্, তাই দে দেখে, গুনে ও জানে এটি ৮১২ 515) বা নফল ইবাদতের নৈেকটা এবং ৩০২৬০] ০২ বা গুণাবলাতে বিলীনতার মকাম বা স্তর; এটাকে ৪১৬৫৯ ১১৯9) বা উপস্থিত কিংবা তত্মগ্ন একতৃবাদ (অথা্থি
সর্মলে এককের বিকাশ দর্শন অব সব কিছুতেই প্রভু দবনি) বালে উপ্তজ্ঞানযদের
মাতে হুচ্ভৎ বিন মনসুর হাল্লাজের আল লি হবন বুলি এ স্তর থেকেই নির্গত এ শ্তারের বান্দা খোদার নেয়ামতে ৯৪25 বা নাধ-নেয়ামাতে দিন যাপনকারী সঙ্থির এব; ঘর
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪১
মিম্বরেতে ওয়ায়েজ তসবীহ হাতে শেখ.মন্দিরে রাম কাবায় কৃষ্তযুলফি ঠমক তুমি কে? মাহফিলে দীপ হয়ে জল, প্রেমে প্রাণ উদাসী,পতঙ্গ হয়ে জবললে পরে মর্ম জ্বালায় তুমি কে? বাগানেতে বৃক্ষ আর খনিতে হলে সোনা, সিন্দু তলে মুক্তা সবখানে ব্যক্ত তুমি কে?
আদম হাওয়ার রূপ নিয়ে জান্নাতে স্থান নিলে, প্রতারণা ফাঁদ ফের “বুলজাঁন' হয়ে তুমি কে? নূহ, খলিল বাছফা, মুসা কলীম বা নাওয়া, ঈসা মসীহ তুমিই আলী মকাম তুমি কে? আহমদে আলীশান ও খতমে পয়গম্বর যে হও, দুই কুলের সুলতান জগৎপ্রাণ তুমি কে? শুরু থেকে শেষতক যা করে এলে একে এক, তোমার বিকাশের ঝলক তব এ শান তুমি কে? হে দিলপিয়ারা চন্দ্রমুখা গাউছে মাইজভান্ডার, যায়না আর সহা বিচ্ছেদ বেদনা তুমি কে? মকবুল তব অন্বেষণে ভগ্রান্তর হই দ্বারে দ্বারে, জগতময় ঘুর-ফের হে মনোপ্রাণ তুমি কে? ওহে ব্যক্ত ওহে গুপ্ত হে বেনিশাঁ ও বানিশাঁ, ঠিক নিশানা দাওগো বলে হে বেনিশাঁ তুমি কে?
আল্কিস্সাঃ এ ক্ষত-বিক্ষত অন্তর নিরুপায় ও সাময়িক জিন্দেগী হতে নৈরাশ রোগী গাউছুল আযমের দরবারে ললাট ঘর্ষণকারী এ অধমকে ডেকে ক্রন্দনাবস্থায় সজল নয়নে আরয করল যে, “ভাইজান! মৃত্যুর ঘোষক উচ্চ আওয়াজে এ - (৯ এ।_ ১৩ || যাওয়ার জন্য আস" শব্দটি সর্বদা আমার অনুভূতির কর্ণে গর্জিয়ে চলছে। - তার আহবানে সাড়া না দিয়ে একজন মানুষ কিবা করতে পারে? এমনি ক্ষণে তার পাঞ্জা থেকে মুক্তি পাবার কিবা উপায় আছে? এ জোর আক্রমণকারী বাঘের আক্রমণ থেকে জগতে কেবা রক্ষা পেয়েছে? শেষতক সে সকলকেই দলিত-মথিত করে মেরেছে। আমাকেও অবশ্যই তার পাঞ্জার শিকার হতে হবে এবং স্বেচ্চায় হোক বা অনিচ্ছায় এ ঘাট অতিক্রম করতেই হবে। এ ধবংসশীল জীবনের মায়াবী স্বপ্ন ছেড়ে স্বীয় খোদাওয়ন্দে হাকীকি ও আকায়ে তাহকীকির সাথে মিলতে হবে। কিন্তু স্বীয় কৃষ্ণকর্ম (পাপ) এর কারণে লজ্জিত, এখনতো সম্পূর্ণ অসহায় ও নির-পায়, আত্মসংশোধনের সময়তো শেষ। জানিনা প্রকৃত মালিক মুনিবকে কি উত্তর দেব? এ কালো মুখটি তার সমীপে কেমন করে দেখাবো? এমনি অসহায়তে আমাকে সাহায্য করুন; যদি পরকালে মুক্তির কোন পন্থা আপনার জানা থাকে তবে বলুন।”"
(৮
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪০ নৈকট্যের অলংকারে সুসজ্জিত হয়ে যায়। তার প্রতিশ্রতিতে আনন্দ ও স্বস্তি, তারই সুরণে অন্তরের প্রশান্তি লাভ করে। তারই সাথে প্রেম-ভালবাসা গড়ে তুলে এবং তিনি ভিন্ন অন্যান্য সকল কিছুর প্রতি বিরাগ ভাজন হয়। তারই প্রতি আকর্ষিত ও তারই সুরণে নিয়োজিত হয়। তারই সাথে দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ ও পূর্ণ ভরসাকারী হয়ে যায়। তারই প্রদত্ত জ্ঞান দ্বারা পঙ্থানির্দেশ পায় এবং তারই অভ্ভুত জ্ঞান ও কুদরতের নিগৃঢ় রহস্যাদি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়।
৩ 589902০০4-৩৫০চপ৬ * 4৩৯০৮০১০০০৫ :49%9995১89৩:-৫ ৫৪ ১%92৩274-, 49১90১৯2৮৮5 « ৮9৫ ১6৫13/০5/5০/ এ 0%59907588-6882 41828০2৮৮৮৩ এ ০/9০৮০৯০১০/০/০:৫০৭৮6০%৭-০৯/4: ৮৪৮ 4-0৮967৮৮2%4-%58 4০৮০৫০৯৮০০৮ ক ০%90/1502-54-6 92 « 9574০216185 4-৬%7/4-/%/১৮4 ০ ০৮৮4৯০৮৮০34 এ ০/776255556 ৬৫ 51915৮৮৮5০289 4596৮96১৬৮০ %/%৩৮৫৮৪ এ 9৩182০2৮852 ্ ০৮05 860-৮% 5595//2৮ত৮ ০ ১৬৯18%৯।
রা নি ২15 41 গর 05 3214৮5 ৮০৬-7ন৮% »://৮/25৫/৯/ 8805 2 ৬৪০ ঠ রা ক
2/99৮5-০10৮৮5৮৮ * 9৪০1০৮%-1০48714৮4। জগৎপ্রাণ প্রেমপতি গুপ্ত-ব্যক্ত তুমি কে? ব্যক্ত মূলে বেনিশান হও যে গুপ্ত তুমি কে? দিলাসনের বাদশাহ আর সুজন মোহর মনি, জগতাড়ালে গোপনে আবৃত দীপ্তি, তুমি কে? রবি শশী পরে বিশ্বিত হয়ে জগত কুলে, উজ্ভ্রল করে লুকিলে বিচ্ছুরিত নূর তুমি কে? কাননেতে ফুল আর শরাবখানায় সুরা, ডালে পুষ্প বুলবুল গানে বিভোর তুমি কে?
+68/5৮5১.53%142 ৮৮ ০ ০1৬৯০০৫০০১৮
1৮৮৬ (৫৮৫2 ০ ৮18216০৫-5
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪২ 262 ৮৪৮, ন্ 22১৬1৯৮১১০7/ হুডি তল /15300+06৩2 উ/৫-21৮ ৩ এউ ৪০৮৬০৬৯। 18 ১৮০-/০৮-৯৮৮ রর ১/৮728৯
পাপের পরে হই লজ্জিত অতি, সংশোধনের এখন নাই যে গতি। খোদাকে আমি দেব কি জাওয়াব?, কর্ম মোর হায়! সবই তো খারাব। বন্ধু হে মোর! কর করুণা, মুক্তির পন্থা করিয়ে বর্ণনা,
ডুবন্ত আমি দাওগো সাহারা, রক্ষা কর এবে ওগো পিয়ারা।
হে গাউছে খোদা! পাপীর জামিনদার, তুমি বিনে মোর নেইকো কান্ডার, হে গাউছে খোদা! তব মকবুলে, কৃপা দৃষ্টিতে রেখ সর্বকালে।
তখন আমি (বর্ণনাকারী) বললাম, “হে ভাই! ক্ষতিপূরণের সময়তো শেষ। এখন আর কিবা প্রতিকার করবে? এত সংকীর্ণ সময়ে আখেরাতের পাথেয় যোগাড় কি সম্ভব? এ ছাড়া আমার বিবেচনায় অন্য কোন তদবীর আসতেছেনা যে* তুমি ভাল নিয়তে প্রশান্ত চিত্তে স্বচ্ছ বিশ্বাসে অশ্রুসিক্ত নয়নে হুযুর পুরনূর, ফয়যে গঞ্জুর, জনাবে আর্শে রেকাব, সুলতানুল মুকাররবীন, মুখখুল আরেফীন, ছৈয়্যদুল কাউনাইন, আনহু'র ফয়য প্রস্রবণ দরবারের প্রতি আন্তরিক মনোনিবেশ" কর এবং এ খোদায়ী ফয়যের উৎস দরবারে সকাতরে সাহায্য প্রার্থনা কর।”
্ ৯০
রপ্ত রি ৯ শো ১ / 1২ 28175 814চ-ত " 2 ৮৮9548ঠভঠ ঃ
-অলিদের এমন শক্তি আল্লাহ প্রদত্ত, পন্থ হতে ফেরাতে পারে তীর নিক্ষিপ্ত"
বিশেষত? যিনি কৃতবুল আলম গাউছুল আযম হবেন তিনি কিবা করতে পারেন না? তিনি লাওহে মাহফৃযে লিখিত বিষয় মুছে দিতে এবং নিয়তির ফয়সালা রহিত কুরে পারেন। তিনি আল্লাহর গুপ্তব্যক্ত রহসাির খনি। তকদার লেখনীর বাকা কালী তাঁর কৃদরতের ভাষ্যকার যবানের অন্তরালে গুপ্ত!
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪৩ ৬% ৯1552৩6৮৪০০ ১০০০ +০।৮০১৩৮০। ০ 44৮০০০৮০৭৯০ +৮1০/0/10৮0810+5 ৭ ৩৮০১১০৯৮০০৭ ৮ //1 74741200 « ৪৫ ১১৮/০৮১6০ ৫1০8১09৬৮৭2, 51৮/৩৮৪৪৩ (৮09৮4 5৩, ১৮৯৬১1১5০74 (৮) (194455১8৮৫ র্ ১৪./,/৮)০৮৮,/ দিল হে সদা কর যাপন নামে গাউদ্ভুল আযম, প্রাণ উৎসর্গক ও প্রেমিক হও কদমে গাউছুল আযম। মন হে তার নাম মুখে যদি গো আসে বারেক, সিদকে দিলে, পাবে এনামে গাউছুল আযম। পাক নামের বরকতে থাকবে ফুল্প মনোপ্রাণ, ইয়াকীনের স্বাদ পাবে জপে নাম গাউছুল আযম। দুঃখ-দুর্দশার ঘুর্ণাবর্তে হবে নাকো সহায়হারা, | পেলে যদি টুকু দয়ার দান হতে গাউছুল আযম। নিয়তির লিখন খন্ডিবে ইজিত হলে তার, তকদীর পাল্টাবার ক্ষমতা রাখে গাউছুল আযম। মিলিবে প্রভুর দিদার করলে দয়া গাউদ্ভুল আযম। প্রশংসা খোদার, মকবুল দিল ঈমানে, পদ নীচে পাদুকা হল, কদমে গাউছুল আযম।
পরিশেষে সে দুর্বল শক্তিহীন মৃত্যু পথযাত্রী এ প্রভাব বিস্তারকারী সৌভাগ্যের কথা অনুভূতির কর্ণে শুনে খুশীতে ফুসে উঠল। ফরিয়াদস্থল অন্তর থেকে সকল দুঃখ-দুর্দশা বিদূরিত হল। অতি পবিত্র অন্তরে নিরেট বিশ্বাসে গাউছুল আযমের দরবারে আন্গান মনে অশ্রু ভেজা নয়নে সকাতর নিবেদন করতে লাগল। এদিকে সে
বিনয় ও ন্অতার সাথে কায়োমন বাক্যে ফরিয়াদ করতে ছিল, অপরদিকে আল্লাহর
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী 8৪.
হুকুমে তার আকস্মাৎ সংজ্ঞাহীনতা ও অনুভূতিহীনতা প্রকাশ পেতে লাগল। পরিশেষে সংজ্ঞাহীন হয়ে গেল এবং শ্বাস ধরে রাখতে অক্ষম হল। তার আত্মীয়-স্বজনরা কান্না-কাটি শুরু করল, উপস্থিতির মাঝে হৈ চৈ পড়ে গেল। পূর্ণ এক ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে এল এবং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করতে লাগল। আমি (বর্ণনাকারী) জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই কি হলঃ? তুমি কিসের শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে এত শোরগোল করতেছ?' সে বলল, “হে প্রিয় বন্ধু! যখন গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী “রাছিয়াল্লাহু আনহু"র পাক নাম মনোপ্রাণে স্বরণ ও মুখে উচ্চারণ করা অবস্থায় অজ্ঞান হই তখন বেহুশ অবস্থায় দেখতে পেলাম মহাত্মা মৃত্যুদূত এমন এক তীক্ষ্ম খড়গ হাতে, যার চমক-ধমক দেখলেই প্রাণপাখী দেহ পিঞ্জর থেকে বিনা ইচ্ছায় উড়ে যায়। কিতাবে বর্নিত ভয়ানক আকৃতিতে আমার বক্ষে চড়ে বসল। অতঃপর আমাকে জবাই করার মানসে গলে তরবারী চলাতে লাগল। এমনি মুহুর্তে হযরত গাউছে পাক “রাদিয়াল্লাহু আনহু” তাশরীফ আনলেন এবং হযরত আজ্রাঈল আলাইহিস সালামকে আমাকে হত্যা করতে বাঁধা দিলেন।” তিনি তরবাররী হাতল ধরে বললেন, “যে আমার নামের সাহারা নিয়েছে এবং আমার দরবারে নিরাপত্তাপ্রার্থী হয়েছে, তোমার কি দুঃসাহস
তাকে হত্যা রবেঃ আমি আপন রাজদরবার হতে তাকে আরো ষাট বছর হায়াত দান
করলাম। তুমি ফিরে যাও!” মৃত্যুদূত গাউছুল আ্যিমের ফরমান শুনে সবিনয় আরয করল যে, হজরত! আমি আল্লাহ জল্লা শানুহুর নির্দেশে সকল জীবের প্রাণ সংহার করি সুতরাং আহকামুল হাকেমীনের নির্দেশ ছাড়া ফিরে যেতে পারবোনা ।” ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে গাউছুল আযম রাদিয়াল্লাহু আনহু” ও আজ্বাঈলের মধ্যে বেশ কয়েকবার তর্ক হল, কিন্তু মালাকুল মউত ফিরে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন গতি করতে না পেরে পরিশেষে প্রস্থান করল। অতঃপর গাউছুল আজম “রাদিয়াল্লাহু আনহু" আমাকে বললেন, “তুমি পূর্ণসুস্থ হবার পর আমার বরকতময় খেদমতে উপস্থিত হবে। তোমার জন্য যিয়াফতের খাদ্য রাখা হয়েছে।”' সে সাথে এ কথাও বললেন যে, 'এক সপ্তাহ পর অমুক তারিখে তোমার পিতা এ ধবংসশীল জগত হতে অবিনশ্বর জগতের পথে গমন করবেন।” এতটুকু বলে হযরত গাউদ্ছুল আযম “রাদ্দিয়াল্লাহু আনহু" আমার
দৃষ্টি হতে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমারও সংজ্ঞা ফিরে এল। মোটকথা, গোরের পথে যাত্রা থেকে প্রত্যাগমনকারী সে মুসাফিরের পূর্ণসংজ্ঞা ফিরে এল এবং মৃত্যু শয্যা
থেকে উঠে বসল। অতঃপর দিন দিন সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। এক সপ্তাহ পর তার
পিতা যিনি পূর্ণসুস্থ ছিলেন হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে ভূমিতে পড়ে গেলেন এবং এক কিংবা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪৫
আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর প্রতিই প্রত্যাবর্তনকারী"। সুরা বাকারাহ। এক মাস পর এ মৃত্যু পথযাত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল এবং গাউছুল আযম “রাদিয়াল্লাহু আনহু'র আস্তানা শরীফের সেবকদের দলে তথা তৃরিকায় অন্তু হযে উভয় জগতের নিয়ামত ও দৌলত লাভে ধন্য হল।
৩
৫৪৫০ ০০43০226/ ৫০০৪৯০৯ ০৮০০:০৯ « ৫2০1০৮০2০৬৯ /৮4০৭4-১০-৫০590 4 ৮৪০৮০৮০:০৫০৬৪ (15170425550 € 4১১৪১০১৫2০৮ //66৯/2৯-৩/568/৭ ০০০780১00৮৮ /4%১0100584/0 € ১৪১1০০৪১০৬৮ -১৮/০০৮৯০৭০৪4৮৩০এ « ০৮০/৮৮৮৯০$ ৫৮৫০৫৫:/৪/৩ ৬৫5 ৮৫৪৮৩৮৩৫৩৫৯ ৫১-৫৭-৮০৩৪ ্ 4৯১০০৪৯4801 6/5:015555210% « ০:০১১১:১৯56/% ৫1০১০71১530 -262 ০ 8/5৫58529)
6০০ 17:75)-0252% ৮ 3953251808৬ 6/12১-০১১-/০ 84 « ৮৪%-০৪%2৬ ৬/+৮72
গাউছুল আযম হন খলিফা, কাদের মুখতারের,
করে দেখাতে পারেন, কৃদরত রাখেন সব কাজের। গাউছুল আযম হন, উকিলে খাস এ জববারের,
গাউছুল আযম হন, নায়েব আহমদ মুখতারের। গাউছুল আযম হন, জগতে খাস ছায়া খোদার,
হন যে তিনি মালিক, খোদার সকল সরকারের।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪৬ গাউছুল আযম হন, ছ্বীন-দুনিয়ার রওশন চেরাগ, হন যে তিনি মহান খনি, মহামহীম খোদার নূরের। গাউছে আযম অনুপম পুষ্প, হন যে, পূর্ণতা বাগের, হন যে তিনি ফুটিত ফুল, সুন্দর্ষের শোভিত বাগানের। গাউসুল আযম হন যে, গুপ্ত মণি অস্তিত সাগরের, বুঝিবে বল কে, মর্যাদা সে মহান শাহেন শাহের। . গাউছুল আযম হন, আল্লাহর গুপ্ত রহস্য জ্ঞাতা, হন তিনি জগত মাঝে, একক খনি খোদা রহস্যের। গাউছুল আযম হন জগতে, রক্ষক ও মুশকিলকুশা, হয় আসান এক নজরে, মুশকিল সকল কাজের। সে দ্বারের গোলাম যে, সে মূলতঃ বাদশা, নিশ্চয়ই হল সে বাঘ, হয়েছে যে কুকুর সে দ্বারের। খঞ্জরে আবরূর কর্তিত, হও হে অন্তর দুই জগতে, অকসির হাকীকত হয়, কর্তিত যে, সে তলোয়ারের। | মর্ধাদাকাশের যে তারকা, ধুলি বালি সে দ্বারের। নিলে কেউ পাকনাম তার, মনোপ্রাণে দিল ইয়াকীনে, | ফের হাশরে কিসের ভয়, কঠিন আযাব জাহান্নামের? হই শুধু দ্বারে ভিখারী, তব দিদার দৌলতের।
গাউছুল আযমের নামের গুণে দুষ্ট জীনের কবল থেকে রক্ষা
হযরত গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী "রাদিয়াল্লাহু আনহু'র ভ্রাতুষ্পুত্র জনাব আবুল
হাশেম সাহেব (দামা.) বলেন, একদা আমি জুরের প্রকোপে অতিশয় দুর্বল হয়ে
গিয়েছিলাম। আমার বড় ভাই জনাব শাহ গোলাম সুবহান সাহেব (দা.ফা.) গরুর জন্য ঘাস কেটে এক স্থানে জমা করে রেখেছেন। অন্য লোকের গরু এসে এ গুলো খেয়ে
চলে গেল। এতে তিনি আমাকে সধমকে আচ্ছা বকা বকলেন। বকা শুনে আমার রাগ আসল আমা?দের বাড়ীর পশ্চিমে বিনাজুরি ছড়ির নিকটে বিলের মধো সতেজ ও লঙ্থ ঘাস ছিল প্রচুর: বেলা ঠিক দ্িপ্রহরে একটি বড় চুপড়ি ও কাঁচি নিয়ে ঘাস' কেটে নিয়ে আসার জন্য এদিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় হযরত গাউছুল আযম "রাদিয়াল্লাহু
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪৭ আনহু" হুজরা শরীফ থেকে দায়রা শরীফে তাশরীফ আনতেই আমাকে সম্মুখে দেখে ডাকলেন। আমি শীঘই পদচুম্বন পূর্বক খেদমতে মশগুল হয়ে গেলাম এবং পাখা ঘুরাতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর হযরত গাউছে পাক 'রাদ্দিয়াল্লাহু আনহু' আমাকে তামাক সাজাতে বললে আমি পাখা অন্যজনকে দিয়ে হুজরা শরীফ থেকে তামাক সাজায়ে নিয়ে এলাম। হযরত “রাদিয়াল্লাহু আনহু' হুক্কাতে তামাক সেবনে রত হলেন। আমি পাখাকারী ব্যক্তিটিকে সতর্ক করে বললাম, খবরদার! আমি না আসা পর্যন্ত তুমি পাখা ঘুরাতে থাকবে। একথা বলে সাজদায়ে তাহিয়্যাহ আদায় পূর্বক ঘাস কাটার জন্য বিলের দিকে চলে গেলাম। বিলে গিয়ে ঘাস কাটায় লেগে গেলাম। তখন দেখতে পেলাম আমি ঘাস কেটে টুকরিতে যতই জমা করি কিন্তু ঘাস কমতেই আছে। এভাবে কয়েক বার.হলে ব্যাপারটি বুঝে আমি সতর্ক হলাম। এখানে এক দুষ্ট জীন সদা থাকে এবং মানুষকে কষ্ট দেয়। আমার কর্তিত ঘাসের হ্রাস যে, সে জ্বীনের তিলিসমাতি, তা অনুধাবন করে বললাম, হে দুষ্ট তুমি গাউছুল্লাহিল আযমের সাথেও কি বেয়াদবী শুরু করলে? খবরদার পুনঃরায় যদি এমনটি করো তবে অবশ্যই তোমাকে সাজা পেতে হবে। একথা বলে আমি গাউছিয়তের তরবারী মনের হস্তে নিয়ে পূর্বের মত ঘাস কাটায় মগ্ন হলাম। এমনি মুহুর্তে এ জ্বীন আমার এক প্রতিবেশীর আকৃতিতে দৃশ্যমান হয়ে আমাকে বলল, “তুমি শমশীরে গাউছিয়া তথা গাউছিয়তের তলোয়ার হস্তে ধারণ করেছো: অন্যথায় তোমার সাথে মুকাবেলা করতাম।" আমি তাকে গালমন্দ বলে যতটুকু ঘাস কেটেছি তা নিয়ে সেখান হতে ঘরের দিকে রাওয়ানা হলাম। আমি যে পথে সেথায় গিয়েছিলাম সে পথে তার জোর-জবরদস্তির পূর্ণ সম্ভাবনা ছিল। আর এ ভ্রান আমাকে উক্ত পথ হয়ে আসার পরামর্শ দিল। আমি সে রাস্তা ত্যাগ করে অন্য পথে আমার বাড়ীর পার্শের এক পুকুর পাড় দিয়ে আসতেছিলাম। এক মহিলা আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করল, "আপনার পিছু পিছু শুকর আকৃতির এটা কি আসতেছে?" এ কথা বলে সে মহিলাটি নিষ্ত ঘরে চলে গেল। আমি ঘাসের টুকরি «খানে রেখে যখনই পিছন ফিরে দেখলাম তখন কিছুই দেখতে পেলাম না। অতঃপর যখন ঘাসের টুকরির দিকে দেখলাম তখন দেখতৈ পেলাম, আমি যত ঘাস কেটেছিলাম এবং সে জীন যা চুরি করে রেখেছিল সবই এনে দিল। আমি এ ঘটনা দেখে ঘাসের টুকরি তুলে নিয়ে চলে আসার মনস্থ করলে দেখি, এটা এতই ভারী হয়ে গেল যে, আমি উঠাতে পারছিল ম না। কোনমতে সেখান থেকে নিয়ে এক হ্থানে রোখে পবিত্রতার্জন পূর্বক শীঘই গাউছে পাক 'রাছিয়াল্লাহু আনহু'র খেদমতে উপস্থিত হয়ে
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪৮ দেখতে পেলাম তিনি এখনও আমার সাজিয়ে দেয়া তামাকটুকু সেবন করে চলছেন। আমি যখন কদমবুসি করলাম তখন জিজ্ঞাসা করলেন, “ইনি কি বাঁচা মিঞা?” আমি
বল্লাম, “হ্যাঁ, হুজুর! আমি বাঁচা মিঞ্া।” (হযরত গাউছুল আযম মাইজভান্ডারী .
রাদিয়াল্লাহু আনহু" শাহ মুহাম্মদ হাশেম সাহেবকে বাঁচা মিঞা ডাকতেন।) উত্তর শুনে বললেন, “কোথায় গিয়েছিলে? এত ঘর্ম কেন আসল£”” এ কথা বলে এরশাদ করলেন, “হারামযাদা বৈরাগী আমার ছেলেকে কষ্ট দিতে চায়।?” অতঃপর হযরত গাউছে পাক “রাদিয়াল্লাহু আনহু" হুজরা শরীফে তাশরীফ নিয়ে গেলেন এবং উপস্থিত ভক্ত-অনুরক্তগণও চলে গেলেন।
০০ ০106৮05০2 €-৮/৮74০/+517%% ০10/74-6৮ 4 ০/১১-৪1/০ ৮০৪ 5179৮1০0১2৫ 77017972558 ০10/৮১5৮6 € 7-০৯/৫৮৮% ০106571400৫ ০৮৮৮/%। ০700৮25০/5% র্ 3/:/5৮০৮৪ ০1//৮৮ ৮71/58 (০4১4 50 ০1/৮2/1386 ০৩/৮৮/4০৯৯ দিল-ঈমানে যে আস্তানায় এসেছে, ধবংসকূপ থেকে সে আকাশে উঠেছে। জগতে প্রসিদ্ধ হবে যে স্বচ্ছ অন্তরে, তোমার পাক নাম সদা মুখে রেখেছে। জগতে তার কি যে, আর ভয়-ভীতি?, নিরাপদ দ্বারে তব আশ্রয় যে নিয়েছে £খ-কষ্টে যে নিয়েছে তোমার নাম, তব কৃপাদৃষ্টিতে আনন্দ-ফুল্লুতা পেয়েছে। তোমারই হুকুম আল্লাহর নির্দেশ জগতে, তবরূপ কোন বাদশাহ নাইকো আছে।
শাহা তব দ্বারে করেছে যে আহাজারী, সকল কর্মে সে সফলকাম হয়েছে। মকবুল বেদিল তব হই যে, প্রাণহারা; তব মহান সত্ত্বা প্রাণের প্রাণ হয়েছে।
নি
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৪৯
সাভি বাহবা আনহার প্রতি
ভা রা মরণের পর অগ্নিদাহ না হবার বর্ণনাঃ আমি লেখক (আইনায়ে বারী প্রণেতা) পূর্ণ ততৃ-তালাশের পর নিশ্চিত হলাম যে, কাঞ্চনপুর নিবাসী এক বারই মনোপ্রাণে হযরত গাউছুল্লাহিল আকবর “রাদিয়াল্লাহু আনহু'র দরবারের প্রতি অত্যধিক বিশ্বাসী ছিল। জীবদ্দশায় প্রায়শঃ দরবারে গাউছিয়ায় হাদিয়া-তুহফা পেশ করতো। সর্বজ্ঞাতা ও সর্বশক্তিমানের নির্দেশ মতে হঠাৎ তার মৃত্যুক্ষণ নিকটবর্তা হল এবং মৃত্যুদূত আল্লাহর রাজ দরবারের রাজকীয় পয়গাম পৌছাল। মৃত্যুরোগ শুরু হল; কিছুদিন পর যখন একদা “সকরাত" এর অবস্থা শুরু হল।
৬
৮৫
₹৮চল কি 66 € 6৩ “মৃত্যু থেকে পায়নিকো কেউ রক্ষা, মৃত্যুপাঞ্জা হতে বাঁচার নেইকো উপায়”
তখন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তার মুখ থেকে কলমায়ে শাহদত ও তৌহিদ বের হয়ে গেল। তার আত্ত্ীয়-স্বজনগণ রাম-রাম বলে তাকে ঘর থেকে বের করে দিল। তারা চুপ!চুপা করে এ ঘটনা গোপন করল; কিন্তু সে আদি সৌভাগ্যবান ঈমানের বাণী কভুই ভুলছেনা। সে এ পবিত্র কলেমা শরীফ উচ্চারণ করতে করতেই প্রভুর সন্নিধানে জীবন সোপর্দ করল। পংক্তি ০১৮718615৮6 ৬:৮৮১৮৮ ১১০৮৪ |
চিিটিনিতি রানি 4 টিনুলি ৮০522 4484$4ত শপ 5৬ রি 1৪৮১০
'রোজে আযল প্রভু দিয়েছেন যারে সা'আদত, সেকি কভু ভুলিবে কালিমায়ে শাহাদত? খোদা তায়ালার খাস দান যে সা'আদত, বাহুবলে লভিবেনা হেন মহান দৌলত।””
তার আত্্রীয়-স্বজনরা অকর্মা কাফেরদের রীতি অনুযায়ী তার লাশ অগ্নিদাহ করার
জন্য চিতায় নিয়ে গেল। জুলাবার প্রস্তুতি নিয়ে লাকড়ীর উপর রেখে প্রয়োজনীয় তৈল এ দৃশ্যত হিন্দুরূপী বারই, তনোমনে মুসলমান
ও ঘৃত দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইকজভান্ডারী- ৫০
যেহেশ্র জগতের আশ্রয়স্থল দরবারে গাউছিয়ার দাসত্ব গ্রহণকারী ছিল সেহেতু আগ্তন
তু তার অনান্য অঙ্গের তক স্পর্শ করলেও বক্ষ মোটেই জুলেনি। কাফেরণণ এ অবস্থা
দেখে ঘাবড়ে গেল এবং তৈল ও ঘৃত আরো বাড়িয়ে দিল। এরপরও ১১11 ৮1 ৪ ১১১1১১1 ৪51১)- 915০৯ ঞ১৬৫ "আমি বললাম, হে আগুন! শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইব্রাহীমের উপর। আদেশ মর্মে আগুন কোন প্রকার ক্রিয়া করেনি। পংক্তি 85-12০%15 $2- শভিএততঃ পচ ৯০ 8০1,১46 ত৯% ০৮০6৮৮415৮4 পদচিহ হল যে গাউছে মাইজভান্ডারীর, দু কুলে আছে কি তার ভয় জাহান্নামের? আস্তনায় তার ললাট ঘষে যে সুবহ-শাম, নিশ্চয় সেই প্রিয় হবে আল্লাহর রাজ দরবারের। অকর্মা কাফেরগণ যখন চেষ্টায় বার্থ হল, তখন তার লাশটি আগুন থেকে বের করে হাঙ্গর-কুমির ও মৎসের খাদ্য হবে এ বাসনায় ধুর নদীতে ফেলে দিল। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি আসমান উপর কদমস্থাপনকারী কুঁতবে আফখম গাউছুণ্লাহিল আযম মাইজভান্ডারীর দয়ার দৃষ্টিতে গৃহীত; আগুনের কিবা সাধ্য তাকে জ্বলাবে, আর পানির কি সামর্থ হজম করবে? লাশটি ভাসতে ভাসতে কোন এক যায়গায় নদার পার্শে আটকে রইল। কেউ কেউ বলেন, এ স্থানের লোকেরা গাউদ্ছল আযমের দরবার কর্তৃক স্বপ্নািষ্ট হয়ে লাশটির গোসল, কাফন, জায়নাযার নামায ও দাফনের ব্যবস্থা করল। কেউ কেউ বলেন, পুলিশ এসে লাশটি তুলে নিয়ে দাফন করেন।
দরবারে গাউছিয়ার ভক্ত ও জমালে আহমদীর অনুরক্তদের জন্য শুভসংবাদ যে, এ বারই শুধুমাত্র গাউছুল আযমের মহান শানের প্রতি ভাল ধারণা ও সরল বিশ্বাসের কারণে চিরস্থায়ী দৌলত ঈমান লাভে সৌভাগ্য মন্ডিত এবং স্থায়ী নেয়ামত মাগফের!ত ও নিরাপত্তার জন্য মনোনীত হল। পুর্ণ নিশ্চিত যে, তাঁর প্রকৃত গোলাম এবং সুপ প্রেমিকগণ যারা মনোপ্রাণে পতাঙ্গের ন্যায় তাঁর কামালাতপূর্ণ সৌন্দর্যে জীবন উৎসর্গকারী তাদেরকে অবশ্যই আপন দৌলতে দিদার ও মিলনের নেয়ামত দানে উভয় জগতে সম্মানিত ও সৌভাগ্য মন্ডিত করবেন এবং দ্বীনি ও দুনিয়াবী সমস্যাবলা ও গ্তপ্ত-বাক্ত বালা-মুসিবতে পরিত্রাণ দিবেন।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভাভারী- ৫১ ৫১ ৩%
05 0 ৪ 1:5/:-1৮ » ৮2/77/8০৫5
চি 75/৮৮ 714৫ 4 ০4/৪৮/5৮০৪
ঢা //58584924 4 ৮৮/৬৯/০০৮৪
22 /051285০4-1 ,৪০/৮৮৮১৫১%/%৮০৮ শে //1%৯১8015%57/ | ০4/৮০৯১৮৪4-৬1০০//৩ চাহ 508012685৮8 ১১3৪১4০1১৩০ 2-//1515/5272558 « ৮৫4-৪1৮৮৪০৮-৮ 4৫-47-০৮৯৯ রব 242224০০০৯৮ তা //8১৯০১০৮৪৪% «৫৮০৮০৮০24৬৯ া
গাউছুল আযম কৃপা দৃষ্টি বারেক করে যারে, তাকে সদা খোদা রাসূল পিয়ার যে করে। গাউছুল আযম দৃষ্টির ছায়া দেন যার পরে, আকাশের তারকা তুল্য নূরের উদয়স্থল করে। গাউছে পাকের দরবারে বন্দী হয় যে অন্তরে, হলেও কন্টক বাগিচার সুগন্ধিত পুষ্প করে। হলে কেউ ময়লাবর্জনা হযরতের দরবারের,তাকে তলদেশে ঝর্ণাবাহী পুষ্পোদ্যান করে। তার প্রেম সাগরে ডুবন্ত হয় যে দু'জগতে, হোক সে বিন্দু তাকে মুক্তারাজ যে করে। সত্য মনে হলে অণু সেতো মণি হবে, যদিচ হয় পাথর মুক্তাবর্ষী বাদল করে।
দরবারের গোলাম যে নিশ্চয় বাদশাহ সে, যে অণু হবে তাকে নূরের রুশ্মি বিচ্ছুরক করে। দিল ঈমানে যে মাথা রাখে তাঁর দ্বারে, দয়ার দৃষ্টিতে তাকে তিনি বাদশাহ করে। ০5877787578
5৬7 লি অলির বেলায়ত হারাবার হৃদয় বিষন্ন করা ঘটনা; সত্যের স্মারক, সত্যবাক বর্ণনাকারীগণ এ রূপ বর্ণনা করেন। ফটিকছড়ি থানাস্থ শাহনগর নিবাসী বাহরুল্লাহ নামক একজন: উচ্চ মর্যাদাবান, ছাহেবে মকামাত, আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত প্রিয় অলি ছিলেন। তিনি সমসাময়িক কোন অলিয়াল্লাহকে আপন সমকক্ষ মনে করতেন না।
একদা গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর অনুরন্ত কাঞ্চনপুর নিবাসী এক ব্যক্তি
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫২ বাজারবাছা এক হাড়ি মহিষের দই কিনে হাদিয়া দেবার মানসে দরবারে গাউছিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। -বাহরল্ল্লাহ সাহেব তখন রাস্তার মাথায় বসা ছিলেন। আল্লাহ মা'লুম তার অন্তরে কি খিয়াল এসেছে? সে হাদীয়া সমেত গমনকারীকে দেখে জিজ্ঞাসা করল “তুমি এই দই হাদীয়া- আমার সম্মুখ দিয়ে কোন মহান ও মর্যাদাবান ব্যক্তির জন্য নিয়ে যাচ্ছ?” সে জানাল যে, হুজুর! এই হাদিয়া-নযরানা হযরত কুতবুল্লাহিল আফখম গাউছুল্লাহিল আযম মাইজভান্ডারী “রদ্বিয়াল্লাহু আনহু”র জন্য। আত্মাহমিকায় আঘাতকারী এ সংবাদ শুনামাত্র উক্ত শাহ সাহেব সত্তর আপন বসার স্থান থেকে উঠে জোর পূর্বক এ দইয়ের হাঁড়ি ছিনিয়ে নিল। “এযুগে আমার চেয়ে হাদিয়া খাওয়ার অধিক যোগ্য সে আবার কে? বাল্প গাউছুল আযমের হাদীয়ায় আঙ্গুল ডুবিয়ে উপর থেকে কিছু খেল এবং অবশিষ্টাংশে থুথু দিয়ে হাদিয়া আনয়নকারীকে দিয়ে দিল। সে অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত অন্তরে সজল নয়নে এ বেয়াদবের নালিশ দেয়ার জন্য গাউছুল আযমের আলীশান দরবারে নিরকেদেইয়ের হাঁড়ি নিয়ে উপস্থিত হল। এখনও পর্যন্ত এ
এর জালালিয়তের সমুদ্র জোয়ারে উচ্ছাসিত হয়ে এরশাদ করলেন, “সাবধান! দইয়ের হাঁড়ি আমার দরবার পর্যন্ত পৌছাবে না। হারামযাদা! বাহরুল্লাহকে বলবে, দইয়ের হাঁড়ি গুহ্যদ্বারে দিতে।” হযরতের জালালিয়ত দেখে সম্মুখে গিয়ে ঘটনার বিবরণ দেয়ার সাহস হলোনা আগন্তকের। সে স্বভয়ে সেখান থেকে ফিরে হযরত গাউছে পাকের অবশ্য তামিল যোগ্য নির্দেশ মতে এ দইয়ের হাঁড়ি উক্ত বাহরুল্লাহর সামনে রেখে আপন নিবাসে প্রত্যাগমন করল। সে দিন থেকেই আল্লাহর মহান নেয়ামত বেলায়ত বাহর্ল্লাহ হতে ছিনিত হল এবং আল্লাহর দরবারে যে মান-মর্যাদা ছিল তা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেল। প্রভুর দরবার হতে সম্পূর্ণ রূপে বিতাড়িত হল। ভদ্র-অভ্ুদ্র, অভিজাত-সাধারণ সর্বমহলে ধিক্কৃত হতে লাগল। যত্রতত্র অপমান ও লাঞ্চনার স্বীকার হচ্ছিল। কিছুকাল পর এমন তিরস্কৃত অবস্থায় ভবলীলা সাঙ্গ করে পরলোকগত হয়। ১1931 ৮০ ৮১31 ০$০ ৩৭ 4175 ১৬৮১ আউলিয়াদের সাথে বেয়াদবী থেকে আমরা আল্লহর আশ্রয় নিচ্ছি।”" সত্যই যখন ভাগ্যমন্দতা মুখ দেখায় তখন এই পরিণতিই হয়। «৮১1 91১০৮৯311৭৯ 191 “যখন তাকদীরের ফয়সালা উপস্থিত হয় তখন বিস্তৃত ময়দান সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং ৬০১4৪|| ৭৯131 ১|| “যখন ললাটের লিখন বাস্তবাধিত হতে চলে তখন চক্ষু অন্ধ হয়ে যায়: এর মর্ম মতে যখন কারো দূভগ্যি উপস্থিত হয় তখন সে নিজ অপেক্ষা সম্মানিত ও
শীর্ষস্থানীয়দের সাথে বেয়'দবী করে।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৩ ১৫৮৮ ৮4৫54 ্ ৮৮১4-47152৩209 2-৯১১০৬৮০%৫ হ 4-/৮১১49৭-৮০4- €0244/805 --৮০/৮১০০) 64-40-০04৫ 6-4৩--শগক 4-//59৫০58 ৯ 5:06 ৮০৫63 ও ৮৮ক%০৮10 ৩৮১47 52-০৮০৮%, (৮০025 তব ১৮০০০১(৮/০। ৮০০০০৯৮/৮০৫ € ৮9:3721915 0570%৮৮৮92 -৫৩1০৮০৪১০। 0৮১৯০ /৯ রত ০/১৮-/০৫০৪/৪ ৫ 25:04 /27/2% 4 এ/0৮72-৮ তে $ 7 ক ৮ /1০৩6৮% 43927/8-৮% 585727025 12০৮৩ প্রভু মিলন পথে যে হল বেয়াদব, বঞ্চিত হল সে হতে প্রভু নেয়ামত। বেয়াদব যে সেতো নপুংসক বটে, অশিষ্ট পায়না কভু দরদ ও মুহব্বত। শয়তানের অসম্মান বেয়াদবী হেতু, গুদ্ধত্য ও অপমান এক বৃত্তে শুথিত। পুত জনে পেল উচচতা শিষ্টতার কারণে, বলগাহানতায় জুটে শুধু অধপাত। দেখ আদব হেত্র আকাশ আলো জুলমল, আদবদারই হয় ফুল্লপ, পুলকিত। আল্লাহর বন্ধুসনে করে যে 1 বেয়াদবী, তার থেকে প্রভু নেয়ামত হয় ছিনিত। সে কারণে বলেছেন আল্লামা রুমী, মসনবা খুলে দেখ হতে নিশ্চিত। আদবের শক্তি চাই প্রভুর সকাশে, প্রভু কৃপা হতে বেয়াদব যে বঞ্চিত। আদব হেতু নূরে পূর্ণ এ আকাশ, আদবের কারাণে ফেরেস্তাগণ হল পৃত। তরাকত পহে করে যে জন বেয়াদবী, গেমরাই কপে সে হবে নিক্ষিপ্ত!
আউলিয়' সহিত বেয়াদবা করে যে মরে, তার তরে মন্দ পরিণতি নিশ্চিত।
গাউছে হক মকবুল তব ভূত্য হয়, আদবের তৌফিক দানে করে; আলোকিত?
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৪ ০ 55১8৯১৩৯৬৫৬, ্ ০525145555৮ 525512428৮0 456555195৮৮-০ 2 ্ রে ৯ ্ নি এ3555553635429৩2888 ্ 0/55৫5-১/%16406108 এ55/8/80185588 ৩ ০0০5/84881০1৯5- ১5518555006 ্ ৮/১/-9/6845/5১018 96555550665 5 ০০/১1/৮০৩৮ 985714341৯6 46০৮৫ রর ৫/৮/৮১৬০-4৮৪৮ 5৮০1৮14197১ ৬ এ_5+৫02১65,-43৮2 -56558151542-154০5 ্ ০৫5৩৫ ৩্রট০ ৬ 5555916৫020 0 * ৮৮০32515885 2৮59৮৮৯০2৩১ ্ +-9//5 ৬/১০১ 0, ৯/8১ত িরির্তি ৩৫ 4৮ $01১3১1% গাউছে মাইজভান্ডারীর আস্তানার দূলি হবে যে, কসম আল্লাহর! দুই জগতে সে সোলতান হবে। উচ্চ শান আল্লাহ তাকে এমন করলেন দান, গগণের তপন রূপ দর্শনে পদরাড়ে লুকাবে। লাল তারকার মত তাকে করে দেন নূরানী, খাঁটি অন্তরে যে জন দরবারের অণু হবে। গউছ্বুল্লাহর মকবুল যে আল্লহর অনুগৃহীত. সে দ্বারের বিতাড়িত নিশ্চয় প্রভু নিগৃহীত হবে।
সে দরবারে আলীর প্রতি বেয়াদবী রাখলে মনে, করলে বেয়াদবী তার শানে বেলায়ত হারাবে,
মহ'প্রতাপশালীর প্রতাপে শাস্তি যোগ্য হবে। বেয়াদবা করবে যে, সে যে ঈমান হারাবে,
যথ তথা লাঞ্চিত আর অপমানিত সে হবে।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৫
চরম হতভাগা নিশ্চয় গোসতাখে দরবার যে,
রোজ হাশরে নরকাগ্সির যোগা নিশ্চয় হবে। ইয়াহুদ বা নসরা মূলে সেই ভাগ্যহত,
গাউছে খোদার সাথে যে অন্তরে দ্বেষ রাখবে। হবেনা মুনকের তার, বিনে পাপিষ্ট নরাধম,
সে আদি হতভাগা খোদা কর্তৃক যে হবে। ওয়াল্লাহে দু'জগতের সৌভাগ্যে ধন্য হবে সে,
কদাচ যে অন্তরে গাউছুল আযমের বাধ্য হবে। হীন মকবুল অন্তরে, গাউদ্ুল আযমে কুরবান,
নহে আশ্চর্য যদিচ দীদার নসিব হবে।
এক ব্যক্তি, বরিশাল নাকি ফরিদপুর নিবাসী ছিল অধমের (লেখকের) এ মুহুর্তে সঠিক মনে নেই। সে নিজেই হযরত হুযুর পুর নূরে গাউছিয়ার দপ্তর খানায় বসে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন। এ নগণ্য (লেখক) অন্যান্য সাথীসহ শুনতে ছিলাম। বললেন, "আমি বহুদিন ধরে আস্তানা শরীফ চুম্বন ও ফয়েজপূর্ণ, গাউছিয়তের স্মারক ও ক্ষণস্থায়ী কালের ঘূর্ণিপাকে আস্তানা শরীফে উপস্থিত হতে পারিনি। দীর্ঘ সময় ও কাল পরে দরবারের প্রেম মন্ততায় এত বেশী আকর্ষিত হলাম যে, ক্ষণিকের জন্যও নিজ নিবাসে অবস্থান সম্ভব হলোনা । পরিশেষে মিলন উম্মাদনায় অস্থির হয়ে পতঙ্গের ন্যায় সফরের পথ ধরলাম। আপন সফরের চতুর্থ দিনে আজ গাউদ্ছুল আযমের কৃপা দৃষ্টির বরকতে এখানে এসে পৌছি। আমি আপন ঠিকানা থেকে বের হয়ে ভালবাসার বাহনে চড়ে পথ অতিক্রম করে চললাম। পথিমধ্যে পায়খানার হাজত হল। জঙ্গল
নিকটেই ছিল: একটি ঝাড়ের আড়ালে হাজত সারার জন্য বসে গেলাম। এমতাবস্থায়
একটি বৃইতাকার সব বাঘ আমার উপর হামল; করল। হঠাৎ দেখতে পেলাম একজন সম্মানিত শেখ পকিব্রতার পাত্র (বদনা) পবিত্র হাতে নিয়ে আবির্ভত হলেন: এবং সজোরে বদনাটি বাঘের নাকে নিক্ষেপ করলেন: এতে বাঘটি পালিয়ে গেল। আমিও প্রাণ নিয়ে সত্তর প্রস্থান করলাম। এ বুযুর্ণও অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমি অবগত ছিলাম
৯ ০৫ 2: হিরু না যে. এ বুযুর্গ কে হিলেন? উদ্দেশ পাথে ওখান থেকে শীাহেই যাত্রা দিলাম আজ
গাউদ্থল আযমের সাক্ষাত পাভের মাধমে উভয় জগতের কল্যান ও সৌভাগ্য অজনে রা
ধন্য হলাম: যখনই ভাগ তপতির সৌন্দর্য রবির আলোক শির প্রতিবিহ্থ হুযুর প্র
সন
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৬ নূরের সাক্ষাতে অন্তর চক্ষু আলোকিত হল তখন প্রতীয়মান হল যে, এ বুযুর্গ আমাদের হযরত কুতবুল্লাহিল আফখম গাউছুল্লাহিল আযমই ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! বেলায়তের দীপ শিখার পতঙ্গ ও গাউছিয়তের সৌন্দর্যে প্রাণ উৎসর্গকারীদের জন্য শুভ সংবাদ যে, গাউছিয়তের দয়া-অনুগ্রহের পরিঝেষ্টন যখন তাঁর প্রেম-ভালবাসার বেদনা উদ্যানে ভ্রাম্যমানদেরকে সদা-সর্বদা প্রকাশ্য শক্র ও ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রাণীর থাবা থেকে রক্ষা করে ইহকালে রাজকীয় ছত্র-ছায়ায় সুরক্ষা ও
তাঁর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দুর্পে আশ্রয় দেন, তবে সুদৃঢ় প্রত্যাশা ও নিশ্চিত ভরসা যে,
কিয়ামতের ভীতিপ্রাদ অবস্থায়ও তার বিচ্ছেদ-বেদনায় হয়রান-ফেরেশান ও দরদে মহব্বতের তৃষ্কার্ত আকাংখীদেরকে মঞ্জিল পথের সকল শক্র ও বাঁধা-বিপত্তি থেকে
রক্ষা.করে নূরানী কদম তলে স্থান প্রদান পূর্বক প্রতি মুহুর্তে আপন দীদার দানে শান্ত ও স্থির ফরমাবেন। ১৮
42502/4 শািডসিআর্ঠি৮নর্
-/22৮৯৮৪/৮573 ৫০ 24০৫৮৪০৮৮৮১
2০৪৮ 5০৫61095408 ৮৬1১ 455 এরপর 7
তে ৬০০১৪ 19১5 17
বুশরা 1752283
৩
208192 +%4ত ৬৯ এ_ 8৮ 44৯59 ১৪৯59০৮-৮৯
এ288০8০ ত ডে 5175 ০2৮888৪৮৩৮2
2:48 € 2 2 ১৮0 2192 ৮০১৮৪৮১৮।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৭
8১/৩৮ 5:০৫ (1%% - /
-/221-8৮%54-শ528-৮2
/৬৮৫-4/42844472 25650880282 ০/৮৮০%৪/৬৮১০১/৫
2৮০৬৮৮০৪৮৬০
2394০454581
এ/28৮০৮7১4714১০৮-48
এ 6৮৬৮০2০৮০54
2862882০১৮5
05528 এ/228214 ৮16-8৮৪1
আজব উচ্চতা আজব শক্তি আজব মান সম্মান তোমার,
আজব মর্যাদা আজব মনযিল আজব দরবার তোমার।
আজব শান আজব শওকত আজব রূতবাহ শাহ তোমার,
বাস্তবে ব্রবি-শশী অণু যে তব মহান আস্তানার।
সুন্দর্য্য রাজ্যের তুমি উচচ মর্যাদাবান সে সুলতান,
অন্তরে আর চুক্ষে হল যে, নূরানী আসন তোমার।
দয়া-দানের উৎস তুমি রহমতের খনি তুমি,
_ দান-দাক্ষিণ্য তব সাক্ষী দানশীলতা পারে তোমার।
ফুল্পতার আকাশে তারকা রূপ চমকিবে সদা,
দিল-ঈমানে যে হয়েছে ধুলি-বালি তব রাস্তার।
মুসিবতে আর ফিতনার কালে নিবে যে নাম তোমার,
ফিতনা সকল দূর হবে দয়ার দৃষ্টিতে তোমার।
তব আলীশান দরবারের গোলাম হলে অন্তরে,
প্রজা হবে রাজা দয়া-কৃপার নজরে তোমার।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৮
যদিও হয় বিন্দু পলকে সিল্ক হবে সে,
করুণাপ্রার্থী হবে যদি, রহমতের দ্বারে তোমার। পলকহীন পিঁপড়া তব দ্বারে যদিচ আসে শাহা,
নিশ্বাসে হুমা" হবে হলে দয়া-দৃষ্টি তোমার। দ্বারের গোলাম হয় যদিও অতি গুনাহগার,
কৃষ্তকর্মফর্দ শুভ্র হবে কৃপার নজরে তোমার। দুই কুলের মুসিবতে নেইকো ডর তার শাহা,
সত্য অন্তরে আশ্রয় নিল যে দামান তলে তোমার। হয় যদি খড় তব আস্তানা শরীফের বারান্দার,
লৌহ পাহাড় হবে নিশ্চয় দয়ানুগ্ৰহে যে তোমার। হে গাউছ্ুল্লাহিল আযম হীন মকবুলও তব,
দরবারের গোলাম হই ভরসা দয়া পরে তোমার।
গাউছে পাকের নামের বরকতে বিষধর সাপের আক্রমন থেকে মু
টি লাজ্যা ব্যক্তি বলেন যে, আমি প্রয়োজনীয় কাজে একদা জঙ্গলে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে একটি বিষধর বৃহতাকার সাপ রাগান্বিত হয়ে আমাকে দংশনের জন্য ফণা তুলল। আমার চতৃষ্পার্খে জঙ্গল হওয়ার কারণে পালাবার উপায়ও ছিলনা। সাপটি এক অঙ্গুষ্ঠ দূরতে লেজের উপর খাড়া হয়ে র'ল। আমিও হুশহারা হয়ে রইলাম। পরিশেষে হযরত গাউছুল আযম 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আননহু'র পাক নাম আমার সুরণে আসলে, আমি বললাম. "হে হযরত এ অসহায় অবস্থায় আমাকে প্রাণ নাশক শত্রুর খপ্পর থেকে রক্ষা করুন।" এটা বলামাত্র এ সর্পটি মাথা নত করে জঙ্গলের দিকে চলে গেল; আমিও ওখান থেকে ড্রুত চলে এলাম।
৬ ও ৮০৩১ ১১১০০০১8৮0৬, শা ৮৮, » ১ রর ৬1108 €2১৮)৮০ ছু 2 ১
ঃ এ ৮ ক (৮১৮:১/৮১৬ ৮৮ স্টি « -1০৫৫৩৯ 025 রি ৫.
না পা ্ ২৫ ৮ । ০ এ তাত ১৩১৩ 51 রি ০ তা এটি ৬১ ০৪৬৬৬াত
.:০৮১-1. 211 7 এতশ্ঠি ৩৩৬ 5 28812 £ ১৫৮৪: ১4 ভিত
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৫৯ /৫/৬%৮ ৫৮৫০৫ হু ই 8৬ নি 41 ভা চিত ৫ ৩৫০৫০৯১০৮০৪ ₹ ৫5311 টে ৮০2 4, (/০15-022 এ-/8৮:5১/% ৪ টা এদিন কে ৮৯1৮১7১৮৯৮১ গু ৬০৪৬৩ গাউছুল আযম তব নাম অন্তরে যে নিল, যত বড়ই মস্কিল হোক আসান হল গুপ্ত-ব্যক্ত শত্র তাকে কবে যের করবে? সতান্তরে যে তোমার নাম জপকারী হল। দুই জগতের সমস্যা পলকে আসান হবে, তবরূপ রক্ষক ও মদদগারে যে সুরণ করল। তোমার উচ্চ মর্যাদা সত্য মতে কে বুঝিবে? তবরূপ মর্যাদা আল্লাহ কাউকে নাহি দিল। পলকে ধুংসিবে জগত না হলে দৃষ্টি তব, জগৎ প্রাণ হও তুমি সারা জগৎ তব শরীর তুল। ইহকালে-পরকালে সমস্যা আছে কি তার? সাহায্যকারী যার তোমার মত মক্ষিলকুশা হল। পাপের সাগরে কভু আমলের ডিঙ্গা ডুববে কি? দুই জগতে তবরূপ কান্ডারী যে পেল।
তব দ্বারের মাটি স্বর্ণ থেকে মূল্যবান, কেন হবে না তব দৃষ্টি যে আকসীর করল। গাউছুল আযম তুমি মকবুলের মুখতার, অন্তরে যে তব দ্বারে দাস সে মওলা যে.হল।
ধুরুং নদীর গতি পরিবর্তন
সর্বজনাব শাহ আমিনুল হক ওয়াদদীন ছাহেবুল ইলমে ওয়াল ইয়াকীন কদ্দাসা সিররাহু রাববুলআলামীন এবং অন্যান্য সত্যবাক বর্ণনাকারীগণ এ মনোমুগ্ধকর ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করেন যে, হযরত গাউছুল আযম কুতবুল আফখম সময় সময় মুহাম্মদ দায়েম নাজিরহাটের দিকে ভ্রমণে বের হতেন। এমন সময় দরবারের কতেক খাদেমও সঙ্গে থাকতেন। একদা, হুযুর গাউছে পাক 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পুবেক্তি রীতি অনুসারে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে উক্ত বাজারের দিকে তাশরীফ নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিশ্রাম পূর্বক সহস্র চিত্রমু্ষকর ভঙ্গিমায় চলছেন; প্রতিটি কদম
অশকদের চোখের উপর ফিরছিল এবং রাঙাপদ প্রেমিকদের মহব্বতে পরিপূর্ণ
অগ্তরের বাজ সিংহাসনে রেখে চলছেন
হে বঞ্খু তোমায় কোথা বসাব, মম চক্ষে নাকি প্রাণে?
মন মোহিনী চলন পানে যবে দেখি, তব প্রেমে হই কুরবান মনে গ্রাণে।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬০ .
চলার পথে ধরুং নদী পারাপারের ঘাট পর্যন্ত আসলেন এবং পার হবার সময় হযরত গাউছুল আযমের লুঙ্গি মোবারক ভিজে গেল। এমনি মুহুর্তে হযরত 'রিয়াল্লাহু আনহু'র স্বভাবে অতিশয় জালালিয়ত আসল। নদীর উপকূলে পাদুকা শরীফ ছারা আঘাত করতে করতে বলতে লাগলেন, “হারামযাদী! তুমি এখনও এখান থেকে দূর হওনি? সাবধান! আমি যেন তোমাকে দ্বিতীয়বার এখানে না দেখি।” এটা বলে হযরত সেখান থেকে চলে গেলেন। এ বছরই ধুরুং নদীর গতি পরিবর্তন হয়ে বাঁশঘাট দিয়ে হালদার সাথে মিলিত হল।
৮৮ /:৬৮/৪০৬৮-%/ ৮/৬৮-৪০/৫--০০% সকল কিছু শাহের ফরমান পরে কুরবান।'
এ নদীর গতি পরিবর্তনে বাহ্িকভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হল। তাই তারা বর্তমান প্রবাহ বন্ধ করে পূর্বের ধারায় ফিরানোর প্রান্তিক প্রচেষ্টা করল। এতে অনেক টাকা কড়িও ব্যয় করল। কিন্তু ১১1১3 ১১ )১৫| ১1১১১ ৬০ ৮15 413 “আল্লাহ আপন কর্মে বিজয়ী কিন্তু অধিকাংশ মানুষ অনবগত। এর মর্ম মতে বর্তমান প্রবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি বরং উক্ত প্রবাহই চালু রইল।
৮৫ ৮০৮৪2 0৬১* ৮1/8-৪ ৮%-0/- প্রত্যেকের হয় পৃথক পৃথক চাওয়া, শেষতক তাই হয় যা চান খোদা। ৪ ৮৮015 ৮152545501৮ 42001৯2/-48-5 1৮৮
-আউলিয়াদের এমন কুদরত যা চাহে করতে পারে, জগৎ বাসীর কিবা সাধ্য সে ফরমান রুখবে পরে?
পরিশেষে যখন সকল চেষ্টা বিফলে গেল, গাউছিয়তের স্মারক মহান দরবারে আবেদন জানাল। হযরত গাউছুল আযম 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মনশায়ে ইয়াযদানী ও হেকমতে রব্বানীর চাহিদা মতে ০1৫ ৯০১ ২1311 ৪৯ "যা হবার তা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬১ লিখে কলম শুকিয়ে গিয়েছে।' এর মমনুযায়ী আদেশ-নিষেধ, হ্টা-না কিছুই না বলে পূর্ণ নিরবতা অবলম্বন করলেন। কেননা ফানী ফিয্যাত ও বাকী বিয্যাত আউলিয়াদের তসর্রূফাত খোদা তায়ালার মহান ফরমান মতেই হয়। তাঁদের চলন-বলন ও কার্যাবলী সবকিছু স্বভাব সূলভ চাহিদা ও প্রবৃত্তির কামনা হতে সম্পূর্ণ পবিত্র। তাদের তাসর্রূফাত মূলতঃ খোদা ওয়ান্দ যূল জালালের তসর্রূফাত। তাদের কথা ও কর্ম আল্লাহর প্রজ্ঞাতে পরিপূর্ণ। তাদের তসর্রূফাত ও অবশ্য পাল্য ফরমান প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারো নেই। তাঁদের তসররূফাত এর গোস্ত রহস্য অনুভূতি বহির্ভূত। স্থূল জ্ঞান বুদ্ধি তা অনুধাবনে অক্ষম। যেমন হযরত খিযর আলাইহিসসালাম কর্তৃক কিন্তি ভেঙ্গে দেয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার ফরমান মোতাবেকই ছিল: কিন্তু হযরত মুসা আ'লা নবিয়্যেনা ওয়া আলাইহিসসালাম (উলুল আপ্যম নবী) হওয়া সত্বেও এ রহস্য তার থেকে গোপন ছিল। অনুরূপ আউলিয়ায়ে কেরামগণও মুসাবী ও খিযরবী এ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। মুসাবী তরিকার আউলিয়া কেরামগণ এর চাল-চলন জাহেরী শরীয়তের অনুরূপ হয়ে থাকে। সুতরাং তাদের কথা ও কর্ম সাধারণ মানুষের বোধগম্যের নিকবর্তী। তারা হেকমতে কাযা ও কদরে এলাহীর ক্ষেত্রে স্প অবগত হন। হযরাতে খিয্রবীউত্তুরিকতগণ মৌলিক শরীয়তের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধিত বিধায়; তারা হেকমতে কাযা ওয়া কদরে ইয়াযদানী ও আসারার ওয়া রূমূযাতে সুবহানীর উপর পরিপূর্ণ অবগত ও অন্তৃষ্টি সম্পন্ন হন। হাফেজ শমছুদ্দীন সিরাজী কতইনা সুন্দর বলেছেনঃ 5 / 4৮3৯5০৪0৮০4, € ০-৮৮৩/14/9552985255 পর্দার আড়ালের গুপ্ত রহস্য বিভোর চিত্তদের নিকট ত্যলাশ কর;
যেহেতু এ অবস্থা উচ্চ মকামের সুফীদেরও থাকেনা।"
এ সমস্ত বুযুর্গপণ ব্যক্তে || ৮1১৯ (মন্দ অবস্থা সম্পন্ন) এবং গোস্ডে আল্লাহর রহস্যাবলীর নূরে পরিপূর্ণ হন। অতএব, এ সকল পরম সম্মানিত ব্যক্তিদের অবস্থা প্রসঙ্গে সুকথক আল্লামা মুসলেহ উদ্দীন সা'দী সিরাজী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেনঃ
৬
15882542953 ২ ত07৫০০৮/৫
পবিত্র গৃহ (মুমিনের অন্তর) যবে ভিতরে প্রেমতাপে পূর্ণ, বাইরের প্রাটার মন্দের অভিযোগ থেকে মুক্তি প্রাপ্ত।"
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬২ (অর্থ প্রেমাগ্রিতে জ্ল্তান্তর ব্যক্তিরা জাহেরী শরআর খেলাফ কোন কর্ম করলেও তার জন্য প্রভুর সন্নিধানে পাকড়াও হবেনা বরং “মাস্যুর' ক্ষমার রূপে বিবেচিত হবে।) এ শ্রেণীর আউলিয়াদের কর্মরহস্য পশুতুল্য সাধারণ লোকেরা কিবা বুঝবে? মূুসবী মসলকের উচু স্তরের সৃফীগণের বুঝে আসাও অচিন্তনীয়। মূলতঃ এ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মহৎ ব্যক্তিদের সত্ত্ব আপাদমস্তক মহান আল্লাহর প্রজ্ঞারহস্য। যেমন হযরত মুসা “আলাইহিস. সালাম” দৃঢ় প্রত্যয়ী পয়গাম্বর হওয়া সত্ত্বেও হযরত খিযর “আলাইহিস্ সালাম"র কর্মরহস্য টের পান্নি। অনুরূপ মুসাবীউৎত্বরিকত লোকেরাও খিয্রবীউততুরিকত হযরত-এ কেরামের তাসাররূফাত রহস্য বুঝতে অক্ষম। এ সকল মহত্মা ব্যক্তিবর্গ আল্লাহ ভিন্ন অন্য সকল কিছু থেকে এমনকি আপন প্রবৃত্তির চাহিদা ও স্বভাব সুলভ কামনা থেকে বিলীন এবং আল্লাহর সাথে অলীন হয়ে থাকেন। এ সকল লোকেরাই আল্লাহর খলিফা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম'র প্রতিনিধি। তাদের কর্মলিপ্ততা-বিশ্রাম, পানাহার, উঠা-বসা, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ যা কিছুই আছে বস্তুতঃ সবই আল্লাহর কর্ম ও বাঞ্ুনা। যেমন হযরত খিয্র এর বাণী বর্ণনায় আল্লাহ বলেন, ১০ ০১০ «41 »31-5$ “এবং এটা আমি আপন ইচ্ছায় করিনি।” এ
কথারই সুস্পষ্ট প্রমাণবহ। ড%
৮০৫ 0০4 € 15551536০17
1০০8০1০3০3 € 1৯530 315
১০44 ০৮৫ ক ৬১০০৮১৪০১৮৮
/৪৮/০0 ৮৮৮০ র্ /8৮/১/০৮৮। 7
494 8৮৮-১৪০০৮% 49008-4-৮৯৮82-
০০৮3৯৮০181৭ ০৫৫৪79৬
080৮০2১9417 * 0/৯০৫)45।
/৫-৩০৯2-৮৮৯ /০৮০%/8
০৪০০৪০2০০1৮ ০/৪০৫০-/ াঁ
4 669/4-116 « +89০097/
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬৩ ০৮-৬/৮১৬৮০০ * ০৮৫৬//০৯৯ ১৮-৮৫-5908 /* ৬,৯০০]
2(০০49০2/৮-৫ 2৮61৮-া1৫ত৮ ০472৩.০/১১ €/5/৮৩৫৮24 06০০১৮০ রত ০৮০৮/১৮৮৪ ০15752৮ ০/০৫/৮০৫৪৮৫ 4196১০৫7৯০৫ 2৮৮০৮৬ আউলিয়া হন খোদার সত্ত্বায় লীন, কভু খোদা হতে হয় নাকো ভিন। প্রভুর জাতে আউলিয়া হন যে অলীন, কথা-কর্ম তাদের আল্লাহ্র নিদর্শন। আউলিয়ার হাত খোদারই হাত জান, মানবাকারে খোদার বিকাশ মান। ব্যক্তে সকল কাজ কর্ম তাদের হয়, গৃপ্তে এ সকল খোদারই কর্ম নিশ্চয়। “হস্তপরে তাদের খোদার হাত' আল্লাহর বয়ান, কুরআন মতে এটা উজ্জ্বল দীপ্যমান। ৃ ধনিক্ষেপনি তুমি যবে নিক্ষেপিলে" আল্লাহর বাণী, ঈমান রাখো দিলে ছেড়ে দুঃখ-ফেরেশানী। নবীর বাণী হয় জাহেরী কুরআন, সত্য না জানবে যদি কাফের শয়তান। প্রভুর নির্দেশে জগত করেন পরিচালনা, “হেকমত' রাখেন সাধারনের অজানা। পীর আউলিয়া খোদা রহস্যেরধারক, সাধারণে তা বুঝিতে অপারগ। 'নিজ থেকে করিনি' কুরানের সুবর্ণন, মূসা ও খিয্র কাহিনী মতে সুপ্রমাণ। হে সত্য গুরু ত্রাণকর্তা জগৎ কান্ডার, নিশ্চিৎ তুমিই হও প্রতিনিধি খোদার। তোমার সকল কর্ম খোদারই কাম, কিন্তু জাহেরে শুধু তোমারই নাম। যা বলছি সবই নহে মোর কথন, আমার মুখে তব বাণীর অনুরণ। আমার তনুমন আপাদমস্তক, আমি নই সবই তুমি আল্লাহর শপথ। নিজ গুন নিজে কর বর্ণনা, ব্যক্তে মকবুল মূলে তুমি গুপ্তজনা। কি করিব আমি তব সকাশে প্রার্থনা, গুপ্তে-ব্যক্তে শুধু তুমিই কামনা। মকবুলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সব জ্ঞাত, মনোপ্রাণে সে তোমাতে লীপ্ত।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভাভারী- ৬৪ উক্ত নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় স্থুল দৃষ্টির বিচারে লোকেরা সবা্বক
ক্ষতির স্বীকার হয়েছে, ষ্রভাবে এর পরিনাম ও গোপন প্রজ্ঞা মহিয়ান গরিয়ান আল্লাহ তায়ালাই জ্ঞাত। ০/%
১/৮৬৫০০৫০ভ€ ০/৮৯৪৮৬৯% ৩1/11/৮150: ৮৬১4 ০৫4৬৮০০৮৮৮৬ ০/৮/০601688450 % চ5১০৮০৮৪ ০/৬+৫/০০1955৮ 4৮52-08917981,5 ০/59৮0%5০3১255 € /৪-৮৮০1১০৯৪০:৮১৪ ০/-৯4/স০45৮ 4 ৮5৮০০ (51058144- 42 দ1752৮4 ৩৬০৮৪০০১০০৫ ০///-9% 12৮০৫০দি ০০৪৮৮12৬০1৮ ৩৫/1৯৮৮1৮21055513 * ৩0/45/4০29 ০/৮৯০৪-৫৪৮76৯১৫ 4৯1০3৮৮৫৫4৮ ০57257708 124 ৩০১23389৮18 ০০০৮৩/4:৪৮৮০৪এ ৮৯০42 ০05 ১4০৪7৮০8০৬5 5 858০15 গাউছুল আযম আউলিয়া কুলের প্রধান ও সরদার, গাউদ্থুল আযম মালেক.কুল রাজ্যে খোদার। গাউছুল আযম খোদার নায়েব সবার পরে মুখতার, গাউছুল আযম খোদা রহস্যের গোপন ভান্তার।
গাউছুল আযম বাদশাহ,ছায়া প্রভু সত্তার. সকল কর্ম তার নিশ্চয় আল্লাহর কারবার!
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ভারী- ৬৫ রক্ষক সকলের জগৎ পরে আজি সে মুখতার।
পূর্ণ বিলীন তিনি যাত ও সিফাতে খোদার, নূরের খনি তিনি নূর যে বারী তায়ালার।
“তাদের হাতে আল্লাহর হাত পবিত্র হস্ত সুন্দর, “মা-রমায়তা' রহস্যজলধি বিলায় সাকী অকাতর। .
নিশ্চয় প্রভুর নির্দেশ আলীশান ফরমান আপনার, যদিও ব্যক্তে হুকুম মিষ্ঠ মুখে বান্দার।
তোমার সব কথা-কর্ম রহস্যভেদ খোদার,
সাধ্য কি জগৎবাসী বুঝে মর্ম আপনার। প্রতি যুগে প্রভৃত্ব বিকাশের হয় কারণ,
তব মহান সত্ত্া,কারণ কর্ম হলো এবার। বুঝিবে কে মর্যদা ও মকাম আপনার,
দুই জগৎ এক ঝলক মুখের যে আপনার।
কমালাতের রবি, অণু যে তব আস্তানার,
বাস্তুবে বাঘ, হলে কুকুর দ্বারে আপনার। পুষ্প উদরতায় বুলবুল প্রকৃতি মম গানে ভোর,
নইলে সাধ্য কি তাঁর এই গান গাহিবার। গাউদ্ছুল আযম তুমিই প্রশংসা গীতির গীতিকার,
ব্যাকুল মকবুলের মুখে কথা যে আপনার।
প্রয়োজন মুহূর্তে হাদিয়া উপস্থিত হবার বিবরণ, বারাটা আলির লদিনন এহাহিনী বাসের কহ ঘটনার দৃশ্যপট বর্ণনা প্রসাধনে এ ভাবেই সঙ্জিত করেছেন যে, কোন এক সময় মহাত্বা হযরত ১৯ ১৪ ৪]| “দরিদ্রতা আমার গৌরব।” এর প্রত্যক্ষ সুন্দর্য্যের দর্পণ ছিলেন। কখনো কখনো (১১১1 ০৩-০বা শুভ্র মৃত্যুর দ্যুতির পরিপূর্ণ বিকাশ রূপে মূর্ত থাকতেন। একদা হযরত হুযুর ফয়জে মা'মূরের মহিষী আম্মার (যুগের অদ্ভিতীয়া
পুণ্যবতী) প্রচেষ্টায় চারজন লোক ঘরের ছাউনি দেয়ার কাজে নিয়োজিত হল। এমন সময় প্রাচুর্ষের গৃহ হযরত গাউছ্থুল আযমের ঘর মেহমানদারীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী
1
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬৬ ৰ (মোরগতরকারী ও অন্যান্য জিনিষপত্র) শূন্য ছিল। কামলারা কাজ করতে করতে দ্বি-প্রহর হয়ে এল এবং খাওয়ার সময় উপস্থিত হল । এমন সময় তাঁর মহিষী আম্মাজান বললেন, বাবা কামলাগণ দরবারের ছাউনির কাজে রত; সুতরাং তাদের সহাস্যে বললেন “ঠিক আছে আম্মু এ কথা বলে আবারও সুন্দর্য্ের ধ্যান জগতে অনুপম হাকীকি রূপের প্রত্যক্ষ দর্শনে পার্থিব জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন ও খোদার সাথে বিজড়িত হয়ে গেলেন।
(৫
৮৮৪৪০৮০২৮৩৭ ৮৪০: ১1,৯৫০ অন্তর সুত্র যার বন্ধুর সনে গাঁথা, এই এ সমস্যার ফাঁদে নহে সে ফীসা।”
হযরতের স্রেহময়ী জননী কয়েকবার তাগাদা দিলেন। তিনি পূর্ববৎ উত্তর দিয়ে আল্লাহ যূলজালালের সৌন্দর্য্যের তামাশা অবলোকনে রত হন। যখন দ্বি-প্রহর হল এবং কর্মচারীগন ছাউনির কাজ হতে অবসর হয়ে ছাদ থেকে অবতরণ করল, তখন হযরত “রাদিয়াল্লাহু আনহু, আপন আম্মাজান কে বললেন, আম্মা মেহমানদের জন্য বিছানা বিছানো এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এদিকে বিছানা বিছানো হচ্ছিল; এমনি মুহুর্তে হঠাৎ আল্লাহর কৃদরতে এক ব্যক্তি মোটা তাজা একটি ছাগল যবেহ করে কোরমা-পোলাও পাকিয়ে চার টুকুরী সাজিয়ে দুইজন ভারবাহীর কাঁধে করে দরবারে
তৃপ্ত করে আহার করিয়ে বাকী খাদ্য মহল্লাবাসীদের মাঝে বন্টন'করে দেন।
| ৩
511125/24142 19১94 4551941954-4215
21868704060 ক 29:+2501% 1 15138৬
45154 ৩ / ১6-৮১ 10 এ 827255705
41414৪1,9 গু ৬4752ি ৪৯০
19470 0558855) « ৪৮44০2৫১৮৯৮
45152 ৮4০15201১58 (082০ 5417 2 ৪02
41540 9/4 20152 ্ 00৮ ৮১6৯9৯
কারামাতে. গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬৭ হন খোদা তার জন্যে যে হয় খোদার তরে, খোদা তব প্রেমে মগ্ন তুমি যে খোদার তরে। মম মনোপ্রাণ উৎসর্গিত সে জগৎপতি পরে, যিনি হন চোখের মণি মোরা ভূত্যের তরে। অহর্নিশ ললাট ঘষিবেনা কেন সৃষ্টি জগৎ তোমারই দ্বার যে কিবলা সকল বাসনার তরে। তব ছ্বারের মাটি তুর তজল্লীর সুরমা, একসিরে হাকীকত যে পরশ পাথর তরে। বক্ষ সদৃশ তনের ছায়ায় নিল যে আশ্রয়, সে করেনা ইন্তেজার হুমার ছায়ার তরে। তব চরণের ধ্যান যথেষ্ট জানি দিল ঈমানে, আহলে দিলের হৃদয় আয়না স্বচ্ছতার তরে। রাত্র-দিন সুবহ-শাম অপেক্ষমান হে গাউছ, নগণ্য মকবুল তব বারেক মিলনের তরে
গাউছে পাকের দয়ায় বাঘের পাঞ্জা থেকে এক ব্যক্তির মুক্তি লাভ একদা এ গুণাহগার (লেখক) আরশতুল্য দরবারে কপাল স্থাপনের জন্য আন্তানায়ে আলী শানে উপস্থিত ছিলাম। একদিন গাউছিয়তের আশ্রয়স্থল হযরত দিপ্রহরের সময় পুকুর পাড়ে তশরীফ এনে জালালী হালতে অযু করতে ছিলেন। মণি-মুক্তা পরিপূর্ণ দরবারের গোলামগণ দীপ্তমান চন্দ্রের চতুস্পার্শে বেষ্িত পরিমন্ডলের ন্যায় চতুর্দিকে পরিব্যপ্ত ছিল। এমন সময় হযরত গাউছুল আযম 'দিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" অতি জালালী অবস্থায়, 'হারামযাদা! তুমি এখনও এখান থেকে পালাওনি?' বলে কেরামত সমেত হস্তে অযুর বদনা পুকুরে নিক্ষেপ করলেন। তখনও হযরত হুযুর পুর নূরের অযু শেষ হয়নি; ডান পা মোবারক ধোয়ে ছিলেন কিন্তু বাম পা মোবারক ধোয়া বাকী ছিল। আস্তানা শরীফের ভূত্য-অনুচরগণ শীঘ্ই অন্য একটি বদনা খেদমতে উপস্থিত করলেন। হযরত গাউছে পাক “রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" অযু শেষে পবিত্রতা অর্জন পূর্বক দায়রা শরীফে তাশরীফ এনে মায়ারাজ্য আস্তানা শরীফের সভায় আসন অলংকৃত করলেন। হাজতমন্দদের অনুযোগ-আবেদন শুনার কাজে মনোনিবেশ করলেন।
১ 4$১০26৬শ৩ রঙ ৪৮ ৮৫০১৮%
28942 64৮ র্ ৮1৮-/৫৪৬০১০১৪-%৫ 2:227০8০৮-8, 12১০৬৮1০৫৮6 ৪০৯৪৮
০ পাশা পপ ক
৪2৩৮ পিজি বু ০০০৪০০৫৮০৯৩
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভাভারী- ৬৮ -£-৪/০৬/০৮৮৮% ৮ 1.8 ৭,০৮২) 287198545 (৫4/01/৮225 4৪৮2৮৮৮৮৭ -5%-০৯৮০৮৮৬। ৪৫/2০/5244 -7৩বর্৮৮৪৮৮ প্রেমাম্পদ হবার সর্বশর্ত তোমাতে পূর্ণতা পেল, সকল প্রেমিক আশ্চর্যান্বিত প্রিয় তব পলোপরে। প্রভুর প্রভুতে প্রেমিকত্ের দাবীদার যত আজ, সকলে নত শির হে প্রিয়া তব কদম পরে। জগতে আছে যত সৃজন হে দ্বিজগৎ সুলতান, ৃ ্ সকলের সমস্যার সমাধান তব দয়ার পরে। খোদা প্রেমে মত্ত আজি জগতে আছে যারা, ৃ সকলের মত্ততা বাঁধা সাকী তব সূরা পরে। কুতবে খোদা গাউছে খোদা তুমিই তুমি, সকলের ভরসা আজি তব দয়া-কৃপা পরে। মুর্শিদ তুমি, মওলা তুমি,তুমি মম আকা, শোকর হবে কেমনে যে দয়া আছে মোদের পরে। নগণ্য ভূত্য মকবুল তোমার আস্তানার, ছায়ার মত চুমিতে তব পদ চিহ্ পরে। যেমন মর্জি হোক দয়া-কৃপা আমার পরে, আশা আমার শুধুই তোমার ফযল ও করম পরে।
এদিকে ফয়েয রাশির ভান্ডার দরবার শরীফের খাদেমগণ গাউছুল আযম 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র পবিব্রতার পাত্র প্রাণপণে তালাশ করেছেন কিন্তু পুকুরের কোথাও তার চিহ্ন মাত্র পাওয়া গেলনা। এ নগণ্য মহাপাতকী দুই দিন পর আস্তানা চুম্বন পূর্বক অনুমতি ক্রমে আপন নিবাসে প্রত্যাগমন করি। অতঃপর বিশ কিংবা বাইশ
দিন পর পদচুম্বনের জন্য যখন গাউছিয়তের স্মারক ফয়েজ পূর্ণ দরবারে উপস্থিত
হলাম তখন উক্ত লোটাটি গাউছুল আযমের সমীপে দেখতে পেলাম।এটি একাংশ ভিতর দিকে টোল পড়া এবং ভগ্প্রায় দেখতে পেয়ে সম্মানিত ও সুপ্রিয় ভ্রাতা
(গাউছুল আযমের বড় পৌত্র) মিঞা মীর হাসান ছাহেব “রহমাতুল্লাহি আলাইহি'র
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৬৯
নিকট জানতে চাইলাম যে, ভাইজান হযরতের এই লোটা পুকুরে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। এখন কোথায় পাওয়া গিয়েছে? মরহুম মীর হাসান মিএ্জা সাহেব এ হারানো বদনার ঘটনা এভাবেই বর্ণনা দিলেন যে.রাঙ্গুনিয়া নিবাসী এক ব্যক্তি হযরত গাউছে পাকের জন্য নাস্তা আনবে মর্মে নিয়া মান্নত করেছিল। তার গৃহে লাকড়ীর সঙ্কট ছিল বিধায় নাস্তা বানাতে লাকড়ীর জন্য জঙ্গলে গমন করল। লাকড়ী কেটে বোঝা বাঁধার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এমন সময় এক শক্তিশালী বাঘ এসে তার উপর হামলা করল। বাঘটি তাকে পাকড়াও করার জন্য কাছাকাছি আসলে হঠাৎ অদৃশ্যের পর্দা ভেদ করে গাউছুল আযমের এ লোটাটি উড়ে এসে হামলাকারী বাঘের নাকে মুখে পড়ল। বদনা পড়া মাত্রই বাঘটি পলায়ন করল।
কক
২৮) 46/০৮/42৮০ /৪/৮4-/৪০2926৮ 41৮5৮৮০2০০৭ /70896$, ৪০-//৮৮ 06154645506 € ০৮৮৮৮ ৩৯
তবরূপ শেরে খোদা যার তরে মদদগার, কেমনে করবে বল বাঘে তার প্রাণসংহার? তোমার মত মওলা দুই জগতে সাহায্যকারী যার, | প্রবৃত্তির পাঞ্জায় কি সে হবে কভু গ্রেফতার? গাউছুল আযম তবরূপ মওলা পেয়ে মকবুলে, কেন সপিবেনা প্রাণ উপরে তোমার? বাঘের হামলার সময় এ ব্যক্তি হুশহারা হয়ে গিয়েছিল। কতক্ষণ পর তার হুশ ফিরলে গাউছে পাক “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র অযুর পাত্র সেখানে পড়ে আছে দেখতে পেল। ভাবলো এটি গাউছে পাক “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র অনুগ্রহ এবং ধদনাটিও নিশ্চয় তার। এ অলৌকিক নিদর্শন অবলোকনে মনে শক্তি সঞ্তারিত হল। সসম্মানে উত্ত বদনা এবং লাকড়ীর বোঝা কাধে নিয়ে আপন নিবাসে ফিরল। তড়িঘড়ি নিয়াষের নাস্তা তৈরী করে কারামতের স্মারক দরবারে উপস্থিত হল এবং উক্ত লোটাটি আপন গলা থেকে খুলে হযরত গাউছুল আযম “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আননু'র সামনে রেখে দিল। অতঃপর ফয়েজপূর্ণ দরবারের রীতি অনুযায়ী অভিবাদন জ্ঞাপন পূর্বক শক্তিশালী বাঘের হামলা ও বদনা মোবারকের ঘটনা দরবারের
খাদেমগণের নিকট বর্ণনা করল। সুবহানাল্লাহ, কতইনা মহান শান?
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭০
৩% ক ৬৮করির/৫৩৫9্ -ন3৮5%89%1০৬০১-৫৫ -ন96775:4-4-%5, 1৮ 82756-8558 4৯৬০22209০৮ 9৮4/০2-িকি এত 8৮/৮৯/০৮০৮ | ০৯৫১৪৩০৫9৪৮ 0৮/58/০৫6০ 2৮৮7১৮০০৬৫5 ১০৪০৬৫০৩০১৪) ০-০//৪০৫ভ-১/০০০৯০ ৮৩৪৩৫৬০১৫1১, মি 1/১৩০/৮০০৮-০৫০৫০৫০ ১৮৮৬ ৩ট৫৬৬) 525 ৩1৮৪,2 1 11915521 ৮৩৫৩৮৮৯১৪০৫ আজব সে প্রিয়তম মোর আজব প্রাণের প্রিয়া, প্রেমিকত্ের ভূবণে নেইকো তরি তুলনা!
আজব উচ্চতা আজব মর্ধাদা আজব ইজ্জত আযমত, দুই জগতের রক্ষাকবচ তার পাক নাম খানা।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭১
যা চায় করে দেখায় উচ্চ শান কতইনা? আজব মিষ্ঠ নাম মধুময় করে মনোপ্রাণ,
নামে পাকে কলম সদা প্রশংসায় আটখানা। স্তুতি শুনে প্রাণ কেন হবেনা গো মধুময়?
প্রশংসায় প্রতি শব্দের যে মিষ্ঠ বচনা। সে কেমন গোপ্ত খনি নিবেধি তুমি কি জানিবে?
দুই জগতে চিহৃহীনের এটিই এক নিশানা। পলকে মুসকিল আসান করে হেরে এক নজরে,
অস্তিত তাঁর দ্বি-জগতে খোদার অশেষ করুনা। মুহুর্তে কেন পূর্ণ হবেনা মনের বাধ্গা তার?
তোমার পাক নামের জপমালা করে যে জপনা। হে গাউছুল্লাহিল আযম তব হীন মকবুলে,
দুই জগতে তুমি বিনে নেইকো কোন কামনা।
একদা এ নগণ্য দরবারে গাউছিয়ায় উপস্থিত ছিলাম। মুনসী ইজ্জতুল্লাহ ছাহেব মরহুমের ছেলে মাইজভান্ডার শরীফ নিবাসী সর্বজনাব মৌলবী আব্দুল গণি ছাহেব মরহুম মগফুরকে দেখলাম যে, অসুস্থতায় শীর্ণদেহ হয়ে গিয়েছে। সুমহান আস্তানা শরীফে ফুশে ফুশে বিলাপ করছে। ফরিয়াদ আহাজারী শেষে ভীত-সন্ত্রস্থ নিজ অবস্থায় বুদ্ধিহত দরবারের ফয়ে্প্রার্থী খাদেমগণের নিকট দোষ-ক্রুটির ক্ষমা যাঞ্কা করতে লাগল। এ নগণ্য আপাদমস্তক বিনয় ও বিনম্র তার এ অবাক করা অবস্থা দেখে অতি উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে যখন. অবস্থা জিজ্ঞেসু হলাম, তখন আমার থেকে পুপ্তাবহা লুকাল। অবস্থা গোপন করার কারণে এ অধামের অনুসন্ধান উৎসাহ আরে বেড়ে গেল ৷ চাপ প্রয়োগ ও বাড়াবাড়ির সাথে বার বার জিজ্ঞাসা করতে রইলাম। পরিশেষে বাধ্য হয়ে আমাকে এক গোপন স্থানে নিয়ে গিয়ে কানে কানে এঁ অত্যাশ্চর্যাবস্থার বর্ণনা এভাবেই দিতে লাগলেন যে. ভাই আপন ভঙ্গুরাবস্থা ও দুর্দশার কথা আপনাকে কি বলবো? বেশ কয়েকদিন ধরে কঠিন রোগে ভোগছি। রুগ্নতা ও অসুস্থতায় অতিশয়
শীর্ণ ও কাতর হয়ে পড়েছি। আজ তৃতীয় দিবস চলছে; গত পরশু আমার অন্তিম লক্ষণ প্রতিভাত হয়। কণ্ঠ ও বক্ষে শর এসে গিয়েছিল এবং দীর্ঘশ্বাস আসতে শুরু করে।
| কারামাতে গাউসুল আযম মাইভভান্ারী- ৭২ আমার অচেতনতা ও সংজ্ঞাহীনতা শুরু হয়। এমন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পেলাম, মৃত্যুদূত আজ্মাঈল আলাইহিস সালাম এক তীক্ষ তরবারী নিয়ে আমাকে যবেহ করার জন্য শিহরে দাড়ানো। | চি 4০4০৯965৮24 « ৫৪ ০/০০৪/৫০ মৃত্যু বাঘের পাঞ্জা থেকে কেউ পাইনিকো রক্ষা, প্রত্যেক প্রাণী তার পার্জায় ফেঁসে পেয়েছে অক্কা। তাকে দেখে আমি ভয়ে এত কাবু হয়েছি যে, শুধু তার সাক্ষাতেই প্রিয় প্রাণ
ওষ্ঠাগত হল। এমতাবস্থায় দেখতে পেলাম যে, হযরত হুযূর ফয়েজ মা"মূর কুতবুল্লাহিল আফখম গাউছুল্লাহিল আযম ওখানে তাশরীফ শরীফ আনলেন। হযরত
মলকুল মউতের হাত থেকে অসি ছিনিয়ে নিয়ে বললেন যে, “তুমি এখন চলে যাও, .
আমি তাকে এক সপ্তাহের অবকাশ দিলাম। তার সাথে আমার কাজ আছে।" আজ্রাঈল আলাইহিস সালাম গাউছুল আযমের খেদমতে সবিনয় আবেদন জানাল, “হুযুর আমি জীবন গ্রহনকারী আল্লাহর নির্দেশ মতে সকল মানুষের প্রাণ সংহার করি। অবশ্য পাল্য নির্দেশের অবাধ্য কি ভাবে হবো? কেমনেই বা প্রাণ সংহার না করে ফিরে যাবো? প্রাণ সংহারের ব্যাপারে হযরত গাউদ্ছুল আযম মাইজভান্ডারী “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" ও মৃত্যুদূত আজ্বাঈল “আলাইহিস সালাম”র মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক হল। হযরত 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" বিরক্ত হয়ে আজ্বাঈল “আলাইহিস সালাম'কে পাকড়াও করে ভূমিতে ছুঁড়ে মারলেন। মলকুল মউত পলায়ন ছাড়া কোন গত্যন্তর না দেখে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গেল।
০৮) //4১9155858640৩০৮ ৪ ৩/৮/৫%:১%১0- 44858০৫6846 5 ৪ ৮০৫ ৩৮০/৫৪৪৯৫, দূত শমনে কভু দিব নাকো মম প্রাণ, রেখেছি সযক্রে দিতে প্রিয়ায় উপহার। প্রাণ প্রিয়ার চরণে সপে দিব এ প্রাণ, মরণ কালে শরবত দিতেই হলে দীদার। হযরত আজ্বাঈল “আলাইহিস সালাম" তো পালিয়ে গেলেন। হযরত গাউছুল আযম 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'ও অধম দাসকে যা এরশাদের মর্জি ছিল এরশাদ ফরমায়ে সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমার সংজ্ঞা ফিরে আসল। আজ দুইদিন ধরে কিছুটা সুস্থতা বোধ করছি। কিন্তু সপ্তাহ অতিক্রমান্তে কি ঘটবে আল্লাহই
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭৩ ভাল জানেন। এ আশ্চর্যজনক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে মৌলবী সাহেব মরহুম ওখান থেকে প্রস্থান করলেন। এ নগণ্য, গাউছিয়তের চরণ ধুলি, মহান দরবারের দাসানুদাসও দুইদিন পর অনুমতিতক্রমে ফয়েজপূর্ণ দরবার থেকে আপন নিবাসে প্রত্যাগমন করলাম। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলে মৌলবী সাহেব এ নশ্বর জগত থেকে অবিনশ্বর জগতের যাত্রী হলেন। (১৯1) «|| ১1) 41111 « নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং অবশ্য তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।”
৮৮৮১ /৮5585৮5455 « /৯০5৯,%০ ০০৮ /44১পল০০৮1 € 68০4০০০৫৫০৪ 1% /৯১902৮লা5 ১১/৮০%০৫৯/%০০৫ /45৯৮6--৮/9/0 € ৮৮৬১ /৮৫৪৮1৯০৫ /59-০90%4 4 ০৫০/%০-৫41 1/5)/৫ /এবর55৮০০৮214 ৫ ০০/০৮/৫০1৮, এএ৬৮০-০৮৫০১০ * (০-25৯০০/৯৩৫) /4৮5924০- « 5০451784482 বত 5১027964546 ্ ৩৫৮৫০ 4591-40-৮৭ ০৮১৪০০৫৫৩৪৬ 42588 0,5/4586 ০ এডিজিতি রা তোতা চা ৮ 48555529865 ০ 2৮4০2, আ৪প 55855581545 মু ১2ব-20855০8881 এএভ৯,৮হ৮ | ০3 ০ রর ০-০/৫০%০০০০ ৪৮০৫
1 রি, ৮1 কত পল ৮০৮ 1৮৮৫ ৬ 8020 0
এ এনভ6১৮০০1৫ ০5১৬৩ ক হি হি 0141 8
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- | ৭৪
11528488-/4520 « ৪9৮১০০৮৩৫৩৮ 05১5০ ০ € 16452549808 155259185453892654 ০৪46০০হভিলিশির ১4696০/৮৫৩৬-০০৭ ৪৩৬০৫৮০৮৫০৫ /1155১//%2-4 র্ূ 61০05 ০8785/2৩ ৫৭ ৫ 5$2/45246-0108 /০৫০৯/,54- 5৮০) € ০1/9//5/66/--৮-৮5৬% ১০৫58, (9587৫ ০০৫১৩৫৫ ৮তির /১46555৮89,2-1াঠ্ 521122581৮5 158550৫0404 2585%6 ৫১৮৪৩ ৫৮ $১৮০১%/858 ্ ০৮৮1০%৮০/০ ৮1৮৪ ১8১৮ 5-5৯7% 89৮46,502%8 158) ১17014১4 (/:০৮০০৫/১-০৫৮১ /৮588:াভালিতিতি ৬৫০০৪০০৩৪০৪
রহমতের এক পিয়ালা পান করাও মোরে গাউছে মাইজভান্ডার।
তোমারই প্রেমের দিওয়ানা বানাইও মোরে গাউছে মাইজভান্ডার। পার্থিব আর প্রবৃত্তির কামনা ফাদে আমি যে আজ আটকেছি;
করুণায় তব মুক্ত করগো মোরে হে গাউছে মাইজভান্ডার।
কৃপা করিয়ে পরের বন্ধনী দাওগো কেটে গাউছে মাইজভানডার। অলসতার স্বপন শয্যায় শুয়ে যে আছি দিবা-রাত্রি,
গাফেলতির নিদ্রা ভেঙ্গে দাওগো জাগিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। দুর্ভাবনা রোগে আজি রয়েছি পড়ে মজবুর হয়ে
কুভাবনা হতে আমায় দাওগো মুক্তি গাউছে মাইজভাভার।
৪১ ৬৬
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭৫
নফসের কুমন্ত্রণা, কুচিন্তা ও শয়তানেরি অনিষ্টতা থেকে,
স্বকৃপায় দাওগো আমায় আশ্রয় হে গাউছে মাইজভান্তার। হস্ত, পদ, চক্ষু, কর্ণ, যবান ও সকল অঙ্গ কুলে,
সব অকর্ম থেকে রাখগো বাচিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। ভাল মন্দের পার্থক্য জ্ঞান মোটেই নাহিকো আমার,
রেযামন্দির পথটি আমায় দাওগো বাতলিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। আমার অন্তর চুক্ষে অজ্ঞতার যে ছানি পড়েছে,
- পরিচয় পন্থের ধুলি দিয়ে দাওগো সুরমা গাউছে মাইজভান্ডার। অন্বেষণ উৎসাহে এসেছি বেরিয়ে ছেড়ে বাগে জন্নাত,
“তলব ও শওক" আমার আরো দাওগো বাড়িয়ে গাউছে মাইজভান্ডার প্রেম-বেদনার সাগর তীরে ধড়ফড়াচ্ছে হৃদয় আমার,
এশক দরদের দরিয়ায় সাঁতারিতে দাওগো গাউছে মাইজভান্ডার। প্রেম ভালবাসার শোকে করগো চূর্ণ হৃদয় আমার,
ব্যাথা বেদনার সাগর মাঝে রাখগো ডুবিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। শাহাদতের কামনা যুগে যুগে রয়েছে হিয়ার মাঝে,
ভালবাসার খঞ্জর দিয়ে করগো শহীদ গাউছে মাইজভান্ডার। ছায়ার মত ফিরছি আমি পিছু পিছু জীবন ভর;
তব কদমের নক্সা এবে বানাও মোরে হে গাউছে মাইজভান্ডার। আপন অস্তিত রাখিতে নাইকো বাঞ্চা মনে মোর;
দয়া করে কদম পরে দাওগো লুঠিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। লয় জগতের বাসিন্দা হান্তিতে মোর নেইকো কৌতুহল,
তব কদমে আমায় বিলীন করিয়ে দাও গো গাউছে মাইজভান্ডার। পার্থিব জীবনে প্রেম-বেদনার সাগরে আমায় রেখ ডুবিয়ে,
কবরেও মোর মত্ততা দাওগো বাড়িয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। প্রাণ হরিতে মরণ কালে মনকির নকিরের গোর সুওয়ালে,
দয়া করে তব নাম দাওগো বাতলে হে গাউছে মাইজভান্ডার। মরণ কালে নিজ হাতে “শরাবান তহুরা” দিও মুখে,
অন্তিম কালে “শওকে দীদার' দাওগো বাড়িয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। নূরী ঝলক দেখায়ে প্রাণ হরিও নিজের হাতে,
্রান্ত প্রাণে ওঁষধ সেথা দাওগো লাগিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭৬
পদমথিত কাপড় খন্ডে কাফন পরিয়ে নিজ হাতে,
কবরে দাবিয়ে দিও তব পায়ে ওহে গাউছে মাইজভান্ডার। যোগ্য যদিও নহে শবদেহ মোর তোমারই পৃত গলির;
তোমারই ভাটিতে মোরে কবর দিও ওহে গাউছে মাইজভান্ডার। প্রাণপাখী যবে বেরিয়ে যাবে আপন পিঞ্জর ছাড়িয়ে,
আশেকদের সঙ্গে করি জায়নাযা পড়িও গাউছে মাইজভান্ডার। যবে মোরে নিশ্রায়ে একলা গোরে ছেড়ে যাবে,
কৃপা করে “ওয়াহুয়া মাস্যাকুম" ঝলক দেখাইও গাউছে মাইজভান্ডার। শেষ সিঙ্গার ফুক স্থলে পুনঃজীবন ফিরে দিতে, ৃ তোমারই পদরধূনি শুনাইও মোরে ওহে গাউছে মাইজভান্ডার। নূরী তনের প্রিয় সৌন্দয্য কৃপা করে দেখায়ে আমায়,
বিচারদিনের সব যাতনা দিও ভুলিয়ে গাউছে মাইজভান্ডার। তব কৃপা বিতরণ হবে যখন হাশরে হে সুলতান,
মোরে গোলামীর সুসংবাদ শুনাইও ওহে গাউছে মাইজভান্ডার। হাশরধামে সবে শুনাবে যখন জান্নাতের সুসংবাদ,
আমায় তখন মিলন অঙ্গিকার শুনাইও গাউছে মাইজভান্ডার। দু'জাহানে অহরহ তোমার দর্শনের হই ভিখারী, .
টুকু দিদার দিওগো আমায় ওহে প্রিয়া গাউছে মাইজভান্ডার। তোমার বেদিল মকবুল তব মিলনের হই ভিখারী,
চি দাওগো আমায় গাউছে মাইজভান্ডার। ) আলহরার কৃপায় ভবে মরা থেকে পরাণ রক
পতাকার নিরিনী জনাব মৌলভী রহিম উল্যাহ সাহেব থেকে আমি
লেখক নিজ কানে শুনেছি। তিনি বলেন, এক সময় আমি আরকান শহরে বসবাস করতাম। সে সময়ে সেখানকার এক ব্যক্তি আমাকে ওয়াজের দাওয়াত দিল। ওয়াজ করতে করতে গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় নিমন্ত্রণকারীর গৃহেই নিশী যাপন করতে হল। সকালের নাস্তা সেরে সেখান হতে চলে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। এমন সময় জুববা ও পাগড়ী পরিহিত আলেশবেশী এক ব্যক্তি দুইজন খাদেমসহ গৃহস্থের দরজায় দাড়াল। আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর ওয়াস্তে কিছুর যাচক হলো। গৃহকর্তা একটি চার আন্নি তার হাতে দিল। সে চার আন' নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলল, 'এক চৌ আন্নি
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭৭ আর আমরা তিনজন লোক, এটি আমাদের কি কাজে আসবে? গৃহকর্তা বলল, “যদি এক সিকিতে তিন জনের যথেষ্ট না হয় তবে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করছো কেনঃ মানুষ কি তোমাদের পুরো ভান্ডার দিয়ে দিবে? এছাড়াও অকথ্য ভাষায় অনেক গালমন্দ করেছে। তার এ দুর্যবহারে ইলম ও আলেমের মান-মর্যাদার হানি হল। আমি গৃহকর্তাকে ধমক দিয়ে বল্লাম, “তুমি যদি এর চেয়ে বেশী দিতে না পার তাহলে তাদেরকে কটু কথা বললে কেন? গাল-মন্দ শুনেও উক্ত লোভী মৌলবী (নোমের ংক) লোভাতুর ভঙ্গিতে বাড়িয়ে চাওয়ায় ক্ষান্ত দিলনা। পরিশেষে বেচারা গৃহকর্তা একসের চাউল তাদেরকে দিল। উক্ত মৌলবী গৃহস্বামীর উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে প্রস্থান করল এবং ভিক্ষা ও লোভের ভূমিকা থেকে ৯ ০১০১-৪১-১০ “যে তুষ্ট হয়েছে সে সম্মানিত হয়েছে এবং যে লোভ করেছে সে অপদস্থ হয়েছে।” এর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করল। (৮৮ ৮০/9১9০১%০ ৮45৮৮7৮৮ ১৮০৮০৯৮/০০ ০৯৮০০০%৫০৮ ৮৬১০৫ ৩//%2/ রদ ০১০/১০০৯৪০ি ১৮0৮৯৮০০০৪৫ /4/7৮১9০৯ 01014014 1205744700০ 17৮৮77% ১% ৮951০201171 58 ,0197.18/45) 39৪5৬ ৮457৭ 0৪/4৮৮৮5 ০১০) ্ ০৮/৮২৮৮৮ গাল শুনলে সম্পদ লিপ্সার কারণ, রুটির লোভে ইলম, আদব দিলে বিসর্জন। জ্ঞান বিনষ্ট করে হয়নি রুটি অর্জন, বাঞ্ছিত না পেয়ে বক্ষ তপ্ত আগুন যেমন। ইলম দয়াময় প্রভুর অপূর্ব দান, রুটির বিনিময় বেচিতেই হলে অপমান।
রাডার ধন। মাল-সম্পদ চেয়ে বেশী জ্ঞানের সম্মান, আল্লাহর মহানুগ্রহ বিবেক ও জ্ঞান।
কররাঘাতে গাউসুল আযম মাইজভাভা্ী ৭৮
সচতুর জ্ঞান তব জন্য খাদ্য ভান্ডার, ইলম পৌছাবে সফলতার স্বর্ণশিখর।
যে জ্ঞান অলসতা আনে বয়ে, মূর্খতা শ্রেষ্ঠ হাজার গুনে এর চেয়ে। ইলমে লভিবে “মকবুল' খোদা পরিচয়, সেহেতু মাটির পুতলা দেবতা থেকে শ্রেষ্ঠ হয়। ইলম যেহেতু মারফত লাভের উপায়, সেহেতু মূর্খতা পশু গুণ হবে নিশ্চয়।
ইলম ও ওলমার এসব অবমূল্যায়ন অবলোকনে আমার বক্ষ কবাব হয়ে গেল। অত্যন্ত আত্মমর্যাদা বোধে চিত্তদাহ শুরু হল। শেষতক সেখানে স্থির থাকতে পারলামনা। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে অস্থির হয়ে উঠে পড়লাম। গৃহকর্তা ওয়াজের হাদিয়া স্বরূপ আল্লাহর ওয়াস্তে যা দিল তাও গ্রহণ করলাম না। তড়িঘড়ি সরকারী হাসপাতালে চাকুরীর আবেদন করলাম। সারাদিন সে ব্যস্ততায় অতিবাহিত হল। রাত্রে যখন আপন ঠিকানায় ফিরলাম এবং সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে কক্ষসঙ্গী ও সমব্যথী বন্ধুদের বললাম তখন সকলেই দুঃখিত হল। আমি চাকুরীপ্রার্থী হওয়ায় সবাই অসন্তুষ্ট হল। তাদের মধ্যে এক বন্ধু স্বেচ্ছায় বলল যে, আপনি এক হাজার টাকা অংশীদারী ব্যবসার জন্য নিয়ে যান। এর দ্বারা মরিচ ব্যবসা করন। বর্তমানে এটি লাভজনক ব্যবসা। আমি বললাম, আলহামদুলিল্লাহ! এটা কতইনা উত্তম; আমার পছন্দনীয়ও বটে। ৬৮৮ ০১//1১/০ € ৩৮০৪/54৪%, 43250;/61/ « //21৯/৮ ১৮৮৮%৮১/)%) স্ব ১8594০16155) ৬/-০৮৯৫ 7851) রি রদ ০2164 /3% ১ ০৮9১৮515551 * ৮০১০০৮৮০০) মন আমার হায়াত থাকতে করো কারবার, মৃত্যু পরে থাকিবেনা সুযোগ আর। ব্যবসা পুরোটাই ঝুঁকির ভিতর, কিন্তু প্রভু বলেন, “কভু লয় নাই তার।”" এ পুঁজি কর্মে খাটাও সময় মত, পার্থিব হাটে হাতে আসিবে মুনাফা প্রচুর। নিশ্চয় মকবুলের নেই কেউ দু'কুলে, গাউছে খোদা তুমি বিনে লাভ-ক্ষতি। সকালে উক্ত সত্য প্রবক্তা বন্ধু কথামত এক হাজার টাকা এ অধমের হাতে অর্পণ করল। আমিও বান্দার রিযিকদাতা প্রভুকে মনে মনে স্বরণ করে আরকান শহর হতে গ্রামে গিয়ে মরিচ ক্রয় করলাম। মরিচ শহরে পৌছাতেই প্রত্যাশিত ভাবে বিক্রয় হয়ে
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৭৯ গেল। এতে পাঁচশত টাকা লাভ হলো। আপন অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়ায় অন্তরে অত্যধিক আনন্দ-উৎফুল্লতার বান ডাক্ল। 7৫১২ ৬৯১1১৪19৯১০ ০1 ১.০ “অর্থাৎ এবং হয়তো তোমরা কোন বস্তুকে অপছন্দ করো অথচ তা তোমাদের জন্য মঙ্গজলজনক।”” সূরা বাকারাহ। এর রহস্যদ্যুতি প্রকাশিত হল এবং মনে মনে নিমন্ত্রণকারীর জন্য আরশীবাদ করতে লাগলাম। যদি সে উক্ত মৌলবী সাহেবকে অকথ্য গাল-মন্দ না দিত তাহলে আমার আত্তমর্ধাদাবোধ জাগ্রত হতোনা এবং কখনো অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সফল হতাম না। স্বতঃসিদ্ধ যে, প্রভুর ক্ষমতা প্রয়োগ ও বিস্তার এক ধারা ও রীতিতে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বান্তঃকরণে তালাশকারীর উদ্দেশিতের ছার কোন গন্ছে উম্মুক্ত হবে, নেয়ামতে নাকি বালা মুসিবতে? পরিশ্রমের মাধ্যমে না দানে? তাও অজ্ঞাত। কেননা আল্লাহর লালন-পালন রীতি কোন কারণের কর্ম নয়। যদি আল্লাহ কর্তৃক বান্দার প্রতি জীবিকা প্রদান প্রণালী একইরূপ হতো তবে বান্দার জ্ঞান খোদার রুবুবিয়্যাত তথা পালন কর্তৃতের পরিঝেষ্টনকারী হতো। বস্তৃতঃপক্ষে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা আপন সত্ত্বা ও গুণাবলীর দিক থেকে অবেষ্টনীয়। অতএব আল্লাহ আয্যা ওয়া জল্লার ৩।১১৯ তথা ক্ষমতা প্রয়োগ প্রণালী কোন অবস্থায় প্রজ্ঞা ও পরিণামদশীতা শুন্য নয়। ৬৫ (০৮2/১-৫0%5 (98-415৫ “প্রজ্ঞাময়ের কর্ম প্রজ্ঞা শুন্য নয়, যদিও তব দৃষ্টিতে মন্দ মনে হয়।”
ঞখনো কখনো আল্লাহ জল্লাশানুহু.বালা-মুসিবতকে নেয়ামত অর্জনের কারণ করে দেন এবং তা দ্বারা উদ্দেশীকে উদ্দেশিত পর্যন্ত পৌছিয়ে দেন।
কথিত আছে, বাগদাদ নিবাসী এক ব্যক্তি অনেক সম্পদ আপন পিতার ওওরাধিকার রূপে পেয়েছিল। প্রবাদ আছে যে, ০0১ ৩২১ 0] বিনামূল্যে মাডত ধন আর অন্তর মায়াহীণ।”' সে অল্প দিনে সে সম্পদ ব্যয় করে ফেলল এবং দারগ্র হয়ে গেল। অনুরূপ আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বিনামূল্যে জীবন দান করেছেন তাই তারা এটার মূল্য বুঝতেছেনা।
ক
জপা্পডি ত ১৮৮৪4৮৮ই « ৬৮448৬5৩ “বিনামূল্যে অর্জিত পৈতৃক সম্পদ বিনষ্ট করলে,
যখন হলে রিক্তহস্ত খোদার স্বরণ নিলে।'
কারামাতে পি আযম মাইজভান্ডারী- ৮০ আল্লাহর রাসূল “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আল্লা আলিহি ওয়া সাল্লাম” এরশাদ করেছেন, 'মুর্সমিন মুরালী সদৃশ। যখন শুন্য উদর হয় তখন সুন্দর শব্দ করে প্রভুর মহান দরবারে আপন অক্ষমতা ও বিনয়-নম্রতা প্রকাশ করে। অতঃপর যতক্ষণ পর্যন্ত মু'মিন প্রার্থনা করতে থাকে তা আল্লাহর ভাল লাগে। তাই তিনি তার আবেদন তড়িৎ কবুল করেন না, পাছে যদি আহাজারী না করে।” ৬৯ | [৮১/১/১৯0% রা (৬১১৮ (০৮ ৮ 4517৩17৮915) ক 5//7-64-0% ৪৫195 € ৫/34)৮151-% ১০৪] 2১/144 /)০৫৫, 7৮8 7%/264154- € 2৮০৮০/24% ০০06১৯৮52৮০ ৮9157101552 1/5৩/৮ /৮1৯-51 € 169৩৯ 1/-৮521% $/7৮/৮18১% € (64৬১৮ 4064 এ-5০৪%04-3155 ক এ_5০১৮৫৯25৮ (//১/%1555/94 রি ৬/৫০৯০৭০১০/ 4১৮5 2 রব 5/49১541 [2 +৯/%১৪০৯৪০« ,7891671 ১৫০০১৫৪৮ * ০০০৮৮৪৮৪ ৮৮0৮8১4৮০23 * 0697৮ গরীব আপন ফরিয়াদে যখন কাঁদে জার জার,উঠে সে ধোঁয়া হৃদয় হতে আকাশ মাঝার। লোবান দান হতে তার আকাশের বুকে, উঠে খুশবো ব্যথাতুর অন্তর থেকে। দেবকুলে কেদে বলে দরবারে খোদার, প্রভূ হে ফরিয়াদ কবুলকারী সবার। মু'মিন তব সকাশে বিলাপিয়ে কাঁদছে আজি, তুমি বিনে সকলের ভালবাসা ত্যাজি।
বেগানা জনে কত দাও কাংখিত সম্পদ, পুরাও এবে এ আপনের মনোস্বাদ। প্রভু বলেন, এটা তার তরে নহে অপমান, দানে বিলম্বই বন্ধুতের সুপ্রমাণ।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮১ তার আহাজারী মম সকাশে প্রিয় অতি, প্রাণের আবেগে করছি তারে নিকটবর্তী। যদিচ বিলম্ব করি মনক্ষাম পূর্ণ করতে তার, তবে সে কাঁদিবে সকাশে মম জারজার। প্রয়োজনই তাকে এনেছে টেনে মম সকাশ, নইলে সে ছিল ঘুমের ঘোরে অলস। যদি করি তার ফরিয়াদ কবুল এখন, করিবেনা সে মোর প্রতি সকাতর নিবেদন। প্রিয় লাগছে মোর তার আন্তরিক ক্রন্দন, অতি প্রিয় মোর কাছে তার প্প্রভু হে” বলন। সুকষ্ঠ হেতু বুলবুল বন্দি খাচার ভিতর, নহে বদ্ধ দুষ্টপ্রবৃত্তি পেচক ইতর। প্রভু হে" তোমার মকবুল অধীন, চূর্ণ বক্ষে তব দ্বারে করিছে ব্রন্দন। দয়া করে একবার দাওগো এবে সাড়া, কৃপা করে দিকে তার পাঠাও বার্তা।
মোটকথা সে উত্তরাধিকারী এক রাত্রে স্বীয় ভঙ্গুরতা ও দেউলিয়াপনা থেকে মুক্তির জন্য খোদার দরবারে সব্রন্দন ফরিয়াদ করতেছিল। এমন সময় হঠাৎ তার নিদ্রা আসলে দেখতে পেল এক অদৃশ্য আহবানকারী তাকে ডেকে বলছে, হে অতি দরিদ্র নিঃস্ব! আল্লাহ তোমার সকাতর আবেদন স্বীয় কৃপাগুণে কবুল করেছেন। তুমি মিশর শহরে যাও, সেখানে আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য এক ধনভান্ডার গচ্ছিত রেখেছেন। জেগে উঠে খুষ্লীতে আত্মহারা হয়ে অদৃশ্য আহবানকারীর প্রদত্ত প্রতিশ্রুত ধনভান্ডারের প্রত্যাশায় মিশর গমনের সংকল্প করল। সফরের সম্কল যোগাড় ছিল না। লোকের দ্বারে ভিক্ষা চাইতেও লজ্জা বোধ করল। রাতকেই পাথেয় করে যাত্রা দিবে মর্মে স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশরাভিমুখে রাওনা হল। যেতে যেতে শেষ পর্যন্ত মিশরের বাজার পর্যন্ত পৌছে গেল। আল্লাহর লীলায় তখন সরকারের পক্ষ থেকে মিশর নগর রক্ষীর নিকট চোর ও রাত্রে ভ্রমণকারীদের গ্রেফতারের হুকুমনামা আসল। মিশর শহরে নবাগত, শহরের কানুন সম্পর্কে অজ্ঞ এ দুর্ভাগা মুসাফিরকে দেখামাত্রই নগররক্ষী চোর ভেবে ঝটপট পাকড়াও করল। তাকে অতিমাত্রায় পেটাতে শুরু করল। | এ নিষ্ঠাবান দরবেশ লোকটি খুব অনুনয়-বিনয় করে বলল, “আমাকে প্রহার করো না, আমি আমার রাত্রি ভ্রমণের হেতু ও উদ্দেশ্য কোন রূপ হ্রাস-বৃদ্ধি ছাড়া সত্য-সত্যই বলছি। আমি চোর কিংবা আইন অমান্যকারী নই। আমি বাগদাদের বাসিন্দা একজন মুসাফির হই।” সে পৈতৃক সম্পদ বিনষ্ঠ ও স্বপ্নে অদৃশ্য আহবানকারী কর্তৃক ধন ভান্ডারের প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তির ঘটনা তাকে শপথ করে বলল। তার শপথ সমেত দুঃখ কাহিনী শুনে নগররক্ষীর দয়া হল।
১/%০%79০ /৮৮ ক ৮1৮০৪7490 “সত্য কথায় দিলের হয় স্বস্তি, যেমন তৃষ্াতুরে পানিতে দেয় প্রশান্তি।”
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮২ তার কথা শুনে নগররক্ষীও তার স্বপ্নের অনুরূপ একটি স্বপ্ন বর্ণনা করতে লাগল। সে বলল, আমি বারংবার এ ধরণের স্বপ্ন দেখি যে, বাগদাদের অমুক গলির অমূক ঘরে একটি বড় ভান্ডার প্রোথিত আছে। নগর রক্ষী বর্ণিত স্থানটি মূলতঃ এ নিঃস্ব মুসাফিরের ঘরই ছিল। আমি বারংবার এ স্বপ্র দেখা সত্বেও নিজ শহর থেকে বাগদাদে যাইনি; আর তুমি মাত্র একবার স্বপ্নে দেখে নিজ শহর ছেড়ে এখানে চলে এলে? তুমি চরম বোকাই, তুমি যেমন স্বল্প বুদ্ধি, তোমার স্বপ্রও অনুরূপ মূল্যহীন ও আহ্থাহীন। উক্ত ভিনদেশী মুসাফির বলল, ভাই তুমি আমাকে নিবেধি বলো বা বিবেকহীন মনে করো কিন্তু সর্বোতভাবে আমি আপন অভিষ্টার্জনে সফলকাম। মনে মনে ভাবল, উদ্দেশীত স্বয়ং আমারই ঘরে রয়েছে৷ এখন আমার কিবা ভয়? কিন্তু আফসোস হয় এ জন্যে যে, আমি কেন এতদিন অলসতার পর্দাড়ালে থেকে মাথা কুটে মরেছি? ১ 6০-4৫-১০৫৫ 52-8৮-9854 ১৫৮০192৮০৫৫ € ১৮০6412০471 ££-5₹1850054 ধঠার৪৪ভালি একতা /2-6/352012505 € ৮645৮755701 441804452৩৭ বব 4০6০1০2চার্ ৪তপত 46০18515921 € 68৮৫৫4০৫৬০৮ 5 ৮৯/০০০ ০৯৪ %4-৮৫৮৫০৫০৮০০৪
8 তুমি কি খুঁজে ফিরছ মসজিদ ও বুতখানায়, 111) সে বিকশিত তোমাতে দিলের নির্জন ঘরখানায়।
সাধক! তোমার কিসের গর্ব তাসবীহ ও সাজদায়?
কভু নাহি জেনেছ তুমি কি রহস্য শরাব খানায়? নিজকে নিজ থেকে কর লয়,বিলীনতা সর্বমূল হয়,
আত্মবিনাশে লভিবে বন্ধুর মিলন নিশ্চয়। আমার কথা শুন, তুমি দেখ একবার মরিয়ে,
জীবন্ত মরণের মাঝে অমরতৃ লাভ হয়। প্রেমেরই সুশিক্ষা, সে প্রিয়ার পাঠশালায়,
হিম্মত পরে শাবাশ সম্মার পতঙ্গজনায়।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮৩ প্রিয়ারই সুরত মাঝে পূর্ণ নক্সা ওয়াহদতের, সে মন্দিরের পৃজার্চনা সকলের কর্তব্য হয়। প্রিয়া বিনে জগৎ মাঝে কেউ নহে বন্ধু, হুশিয়ার মাস্তান সনে মকবূলের সম্বন্ধ নিশ্চয়। মোটকথা উক্ত ভিনদেশী মুসাফির আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক নগররক্ষীর জন্য শুভ কামনা করে সেখান থেকে বিদায় হল। যেহেতু তার নিয়ামত প্রাপ্তি নগররক্ষী কর্তৃক প্রহ্ৃত হবার দুঃখ কষ্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। | ০৫ ০০5549০1001 রব ০৪৪০1০৪৮ প্রভুর নেয়ামত মুসিবতে গুপ্ত, প্রাণীর কলিজা যেন অন্ধকারে গপ্ত। ১৮১০1 “নিশ্চয় কাঠিন্যের সাথে রয়েছে সহজতা।” সম্পূর্ণ রূপে স্পষ্ট ও প্রতিভাত হয়ে গেল যে, জগতে কোন কিছু সাধারণত ভালও নয় আবার মন্দও নয়। বরং প্রত্যেক কিছু এক দিক থেকে ভাল অন্যদিক থেকে মন্দ। এক ব্যক্তির জন্য যা মঙ্গল অন্যের জন্য তা মন্দ। সুতরাং প্রত্যেক কিছুর সুন্দর ও কুৎসিত লাগা দৃষ্টিভঙ্গির তারতম্যের উপর নির্ভরশীল। প্রেম-ভালবাসার দৃষ্টিতে দেখলে সবকিছুই সুন্দর ও মঙ্গলজনক আর উদ্দেশ্যমূলক দৃষ্টিতে দেখলে কুৎসিত দেখাবে। ৬৮৮ ৮০/০৯/7৫১৪ ্ 0৮০৪ ১//৮৪৪7 4৫৯৫ ৯ ১৩)৮/৫5-6১% ০০৮00 £ ৬৮০/9/ ৯৬০০৮০৮৫৫৫৬ ১৮০৫৮ ১/০৮1/০০৫51৪) ক ১/০৮৪০101৮ //2৮2482ি 4/5০1-০8০53 (68445556506 € 045/-04 ৯6/55/৮955 র্ ১৯৫৮৮%/৮৫ ,2৪৮7%৮৮4%- নু 4০৪6০১৬0১৮5
ঞ
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮৪
জগতে নহে কিছু সাধারণত মন্দ, ভাল-মন্দ হয় প্রকাশ সন্বন্ধ।
তব নিকট যায়েদ খাঁটি ইনসান, অন্যের দৃষ্টিতে সে হয় শয়তান।
যদিও বিষে সর্পে জীবন লভে, বনী আদম তরে মরণ হয় তবে।
অন্বেষীর নজরে অন্বেষিত, নহে অন্যরূপ সুন্দর ব্যতীত।
হতে পারে তা প্রভুর হেকমত, ভ্রষ্টতার রঙ্গে প্রকৃত হেদায়ত।
ভ্রষ্ট পথে হেদায়ত করে দান, তাতে কারে দেয় কৃপা অগ্ান।
প্রতিটিতে ভিন্ন হেকমত গুপ্ত, রেখেছে প্রভু করুণা অফুরন্ত।
তাতে ভীতি ও আশা প্রকাশিত, সরল পথে উভয় প্রতিভাত।
পাগী হয় কভু দরবারে অনুগৃহীত, কু পৃণ্যবান পথ হারে হয় বঞ্চিত।
মন্দ ও ক্ষতি স্বত্বাগত ভাবে খারাপ ও মন্দ নয় বরং ভাল-মন্দের যে সম্পর্ক করা হয় তা বিপরীত বস্তুর সাথে তুলনামূলক পার্থক্যে নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ অন্য বস্তুর অনুপস্থিতি হেতু মন্দ বলা হয়। এমন না হলে অস্তিত একক রূপে শুধু মঙ্গল আর মঙ্গলই। যেমন রাগ-অনুরাগের বিপরীতে এবং রাতের অন্ধকার দিবসের আলোর মুকাবেলায় মন্দ। অন্যথায় আপন আপন স্তরে সবই ভাল। যদি গবেষণার দৃষ্টিতে দেখ তবে কোন কিছুই মন্দ নয়, আর যদি মন্দ দৃষ্টিতে দেখ তাহলে কোন কিছুই ভাল নয়। যেমন বৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা কর; এটি সহস্র সৃষ্টির প্রাণ সঞ্চারণের হেতু। আবার কতেক বন্তু এমনও পাবে যার জন্য বৃষ্টি মৃত্যুর কারণ। যেমন মৌরী বা পুদিনা। সুতরাং তার ধুংসের কারণ হেতু তার নিকট এ সৃষ্টি মন্দ। মূলতঃ মন্দ 'কাযায়ে এলাহী” বা আল্লাহর ইচ্ছায় প্রবিষ্ট নয়, তবে হ্যা ঘটনাক্রমে প্রবিষ্ট হয়ে থাকে। যেমন হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড এক অস্তিতুপ্রাপ্ত বস্তুর অস্তিতু নিশ্চিহ্ন হেতু জীবন অবসানকে বুঝায়। কিন্তু হত্যার দণ্ডে মৃত্যুদন্ড বিধান আল্লাহর ইচ্ছায় এ জন্যে নয়। বরং এটা জগতের প্রাণ রক্ষার হেতুতে বিধিবদ্ধ, সুতরাং মঙ্গলজনক। একজন হত্যাকারীকে নিহিতের রক্তের বিনিময়ে মৃত্যুদন্ড প্রদানে হাজার হাজার লোক অহেতুক হত্যা থেকে বিরত থাকবে, ত তাই এটি কল্যাণকর। | আল্লাহ তায়ালা বলেন, ৯১৯ ১১-৯৪|| ১1) “এবং তোমাদের জন্য হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডে রয়েছে জীবন।”
অতএব, মন্দ একদিক বিবেচনায় মন্দ হবার কারণে এটার সম্পর্ক আল্লাহর দিকে করা বৈধ নয়। বরং এঁদিক বিবেচনায় এটার সম্পর্ক বান্দার দিকে করা হয়। এমন না হলে কর্ম ও ক্ষমতা দৃশ্যত বান্দা থেকেই প্রকাশ পেলেও বাস্তবপক্ষে এ
বান্দারই মাঝে আল্লাহর পক্ষ থেকেই প্রকাশিত। সুতরাং কর্ম ও ক্ষমতার সম্পর্ক
বান্দার প্রতি বান্দার আকৃতিতে খোদার বিকাশ হেতুই করা হয়। বান্দার নিজস্বতা
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ৮৫ বিচারে নয়। ০১০৩০৪1৫549 ০০ 411০+ ৯১১১১] “ভাল ও
মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে, এবং আল্লাহ তোমাদের এবং তোমাদের কর্মসমূহ সৃজন করেছেন।””
০০৮ 4 এল জ্৫০ ৭৮/4-/2-72-৮% 4৮৮৮9৭৪৮০4৫ € এটিও এ ৮৮৮৫-০০5০ € 4/০৫27578০2০ টটািকেনি র্ 97570072225 গুণ তোমার ভাল ও বাঞ্চিত বটে, আত্মা আমার সর্বদোষে দৃষিত। তুমি জীবন্ত, জীবনই তব পছন্দ, আমা থেকে সম্পূর্ণ লয়ই উদ্দেশিত।
আমি নই আমি তুমিই মম সুরতে, কর্ম ও ক্ষমতা তাই মোর সনে সম্পর্কিত। না হলে এমন শক্তি সামর্থ সব, মোর থেকে সকলই পূর্ণ ছিনিত।
৩১ (৮45১১৪077৮6 €₹ ৫1-2১-4914 (৮৮০6০849৬4০ « ১/০6%75%25 ($৮০১৯১৫৮৫৬ € 1/00855/08 (7১915401449 45১8359720- $৮2০৮১৮% ০৮-৮০-1৫4৫ $/53657% ক ১2১৮৮570৮৬৮ টি ০০%5৮৯৯ ক ৬৮ রা চো ১৯
একতে সব থেকে ভিন বহুতে লীন;
অস্তিত্ব জগত হতে অদৃশ্য নিজেই দৃষ্টি মূলে। মনমোহিনী চলনে সদা নিত্য নব জলকে,
মিলন সুরা করিছে দান বিচ্ছেদের আড়ালে। দীক্ষা দান ও শিষ্যত্ত কর যা মনে লয়, ক্রুটি সাধারণের শিরে আড়ে থেকে পুত হলে।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮৬ লীন অলীন তব অস্তিতের রীতি হয়, . কভু অভিমানে আবার কভু মিষ্ট বচন বলে। তব মুখ জ্যোতি গোপন রাখিতে, মম সাথে না হওয়া জুড়ে সত্য প্রকাশিলে। নিত্য নব শানে তুমি নিজরপ প্রকাশিলে। স্বয়ং বচনে এলে মকবুলের সূরতে, গাউছিয়তের বাহানায় খোদায়ী প্রকাশিলে। মোটকথা মৌলবী রহিম উল্যাহ সাহেব সাল্লামাহু বলেন, আল্লাহ জল্লা শানুহু এ কর্কশ ব্যবহারকে পাঁচশত টাকা মুনাফা লাভের হেতু করেছেন। লভ্যাংশ থেকে আড়াইশত টাকা পুঁজি দাতাকে, বাকী আড়াইশ” টাকা নিজে রাখলাম। লাভের অবস্থা গেল। আমি যখন ঘটনা সম্পর্কে অবগত হলাম আমার রাগ আসল। মুলধন সাথে গিয়ে মিলিত হলাম। দুই হাজার টাকার মরিচ কিনে শীঘই একটি নৌকা ভাড়া করে শহরের দিকে রওয়ানা হলাম। পথিমধ্যে রাত নেমে আসলে নদীর তীরে একস্থানে নৌকা নোঙ্গর করে রাত্রে নৌকাতেই রয়ে গেলাম। অর্ধরাতে স্বপ্নে এক ব্যক্তি আমাকে বলতেছেন, তুমি কি অলসতার নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছো? উঠে বসো। ইহা শুনামাত্র আমি ঘৃম থেকে জেগে গেলাম এবং হাত-মুখ ধোয়ে তামাক সেবন করতে লাগলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম যে, আকাশে ছোট্ট একখন্ড মেঘ প্রতীয়মান হল। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ মেঘ সমস্ত আকাশে ছেয়ে গেল। মুহুর্তেই বায়ুপ্রবাহ শুরু হল। কিছুক্ষণের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল এবং নৌকাকে ধুমড়ে-মুচড়ে মালামালসহ ডুবিয়ে দিল। নৌকাস্থ লোকেরা কে কোন দিকে গেল তার কোন হদিস পাওয়া গেলনা। আমি সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে পানিতে চককর খেতে লাগলাম এবং প্রাণবায়ু নির্গত হবার উপক্রম হলো। হঠাৎ দেখতে পেলাম গাউছিয়তের ধারক কুতবিয়তের বাহক গাউছে মাইজভান্ডারী ও বেলায়তের ঠিকানা হুযূর হযরত শাহ মুহাম্মদ ছালেহ লাহুরী 'রছিয়াল্লাহু আনহুমা' তাশরীফ এনেছেন। গাউছে পাক “রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" আমার ডানহাত এবং জনাব শাহ সাহেব 'কুদ্দেসা ছির্রুহ্ু বাম হাত ধরে নদীর কুলে উঠিয়ে দিলেন এবং ধবংসের ঘূর্ণাবর্ত থেকে রক্ষা করলেন। হযরত গাউছে পাক “রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" আমাকে বললেন যে, 'তুমি চট্টগ্রামে আপন নিবাসে চলে যাও।' এ কথা বলে জনাবদ্ধয় আমার দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ৮৭ সকাল হল। আমার জামা কাপড় যা কিছু ছিল সবই পানিতে নিয়ে গিয়েছিল। আমি আপাদমস্তক উলঙ্গাবস্থায় নদীর তীরে বসে রইলাম। হঠাৎ মহল্লা থেকে এক ব্যক্তি বেরিয়ে এল। সে আমার এ দশা দেখে একটি লুঙ্গি এনে দিল এবং নিজ গৃহে নিয়ে তৃপ্তিসহ পানাহার করিয়ে সতেজ করতঃ যোহরের পূর্বে নদীর তীরে নিয়ে এল। আল্লাহর লীলায় নদীর তীরে আসতেই দেখতে পেলাম আমার ক্রয়কৃত মরিচ যা নিমজ্জিত নৌকায় ছিল সবগুলোই তরঙ্গে স্তুপ করিয়ে রেখেছে কিনারায়। ইতোমধ্যে নৌকাড়ুবির সংবাদ পেয়ে আমার বন্ধুগণও এসে উপস্থিত হল। অন্য একটি নৌকা ভাড়া করে সমস্ত মরিচ কিস্তিতে তুলে নিয়ে শহরে এসে গেলাম। শুধু পঞ্ঘাশ টাকার মরিচ নষ্ট হল। বাকী মরিচ শুকিয়ে বিক্রয় করতঃ যৎকিঞ্চিত লভ্যাংশ পাওয়া গেল তার অর্ধেক পৃঁজিদাতাকে দিয়ে গাউছুল আযমের অবশ্য পাল্য নির্দেশ মতে বাড়ীতে চলে এলাম। স্বতঃসিদ্ধ যে, পার্থিব লিপ্সায় মানুষ বিপদে নিপতিত হয়। অতিরিক্ত চাহিদায় মানুষ প্রাণে মরে। ৩
০৫০৮4-4:-6০র € ০/০পঝি ০9০4০৮০৭০০৭ ৮9৫১৯ ০৫/৮/৮০০৪ « 4৮৪৬৯১৫-০৮
তত % ৮৫179৯/৮ € 4? ০৩০০ ৮০, ০7০77%8, * ০০/70/150৬ ১৫73946145০ ৮/০07৮এ৬) ১0/2০5৫69৬১০ 4-৮/০০7-08 7 7৪৯১৯ ১1 ৬ 6০০16 5৮ ০6480 কা ৬-র্ছি৮৮৭ ০০১দইশশ?
৩৮ এ: রস ১৯:২৮:০৮. 4 রে শরণ ৮ 1 ৩৬১৫581৫৩৮৮ ০ ভা ত৮/শ্া এটি
৮৮ ৯০৪ ৮ ৮ শি রি ৬ (/31,/4৮৮1৯৮৯৫৯৩ এ 1৬, 112? ৪০১
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভীন্ডারী- ৮৮
অতি শক্তিধর উম্মতে মুস্তফার গাউছ যিনি, জগৎ এক বিন্দু সিন্দু মূল হন তিনি। দানশীলতার আকাশে কৃপার জলধি তিনি, তিনি মাত্র পূর্ণ ফয়জের অফুরন্ত খনি। গাউছে খোদার পূৃতঃ স্তুতি গানে, ভঙ্গুর জ্ঞানগৃহের নূরী কলম খানি।
মর্যাদার আসনে অলংকৃত মনমোহিনী তিনি, সবিনয়ে আনত রাজাধিরাজের গর্দন খানি। ইজ্জত রাজ্যের মুকুটধারী হন তিনি, আরব আজমের তিনি যে দিনমণি। মর্যাদা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারকর্তা সে, দুই জগত পরে তাঁর নূরী কদম খানি। তব দ্বারের হীন কুকুর যেই হবে, বাস্তবে সে সিংহ পারস্য রাজ সম্মানি।
নৃহ নবীর কিস্তি রূপ তব ডিঙ্গা খানি, আরোহীগণে নেইকো ভয় ঝড়-তুফানি। আছে যার তবরূপ মদদগার দ্বিজগতে, দুঃখ সাগরে ডুবিবেনা তার ডিঙ্গা খানি। - সে কি কভু মৃত্যু সন্কটে হবে ভীত?, চিকিৎসক যার হবে তবরূপ ঈসাআা সানী। কিস্তি মোর পাপসাগরে নাহি ডুবিবে, মম নেগাহবান সর্বদা আছেন যে আপনি। মকবুল যে তব দ্বারের একজন ভিখারী, মূলে সে সেকান্দর ও পারস্যরাজ সম্মানি। গাউছে পাক 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র কৃপায় সুস্থতা সম্মানিত মৌলভী রহিম উল্যাহ সাহেব সাল্লামাহু আরো বলেন, একদা আমি রংগুন শহরে অতি রুশ্ন হয়ে ক্ষণস্থায়ী জীবনের আশা ছেড়ে দিলাম। এ সময়ে হুযুর পুরনূর ফয়েজ রাশির ধারক শাহ মুহাম্মদ ছালেহ সাহেব লাহুরী “নাওয়ারাল্লাহু মরকদাহু'র আপন ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা ছাহেবে বেলায়ত আলীজনাব হযরত মওলানা শাহ মুহাম্মদ নুরুল হক সাহেব “দামা ফয়জাহু" উক্ত শহরে ছিলেন। তিনি আমাকে অতিশয় রুগ্ন দেখে একজন সরকারী হিন্দু ডাক্তার আমার চিকিৎসার জন্য ঠিক করলেন। এ হিন্দু ডাক্তার প্রত্যহ রোগ বিবরণ শুণে প্রতিষেধক ওষধ সেবন করিয়ে যেতেন। জনাব শাহ সাহেবও তাশরীফ এনে সেবা-শুশ্রুধা করতেন এবং ধৈর্য ধারণের
পরামর্শ ও সান্তনা দিতেন। কিন্তু আল্লাহর মর্জিতে ডাক্তার যতই আমার চিকিৎসা করে চলছেন পাল্লা দিয়ে রোগ ততই বৃদ্ধি পেতে লাগল।
রকি ৬ 1১১/৯০/৯৮৮%০% « ্ ১০৫৪ %/ “প্রেম রোগীর পরে খোদার রহমত হয়, ঁধধ সেবিতেই পাল্লা দিয়ে রোগ বৃদ্ধি পায়।”
একদা রোগ যন্ত্রনায় অতিশয় অস্থির ছিলাম। কিন্তু হুশ-জ্ঞান সম্পূর্ণ অক্ষুন্ন ছিল। এমতাবস্থায় দেখতে পেলাম হযরত গাউছে পাক রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমার
শিহরে দাড়িয়ে "মামা আপনি কখন থেকে অসুস্থ? বলে আমার বক্ষে পবিত্র হস্ত
ফিরালেন। অসুস্থতার কারণে উঠা-বসা করার শক্তি আমার ছিল না। হযরতের
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৮৯
জ্যোতিময় স্বত্বা দেখে হঠাৎ মশারীর ভিতর উঠে বসলাম। হযরত আমাকে বললেন, আমি আপনাকে দেখতে এসেছি। আপনি আপন বাড়ীতে চলে যান। অপবিত্র ডাক্তারের চিকিৎসা কখনো গ্রহণ করবেননা।" একথা বলে হযরত 'রদিয়াল্লাহু আনহু' আমার দৃষ্টি হতে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। তার পরদিন উক্ত মওলানা সাহেব ও হিন্দু ডাক্তার আমার আবাসম্থলে এসে আমাকে পূর্বের চেয়ে সুস্থ দেখে জিজ্ঞেসা করলেন, ভাল আছেন তো?” আমি বললাম, “আলহামদুলিল্লাহ! হুযুর ভাল আছি।' সে হিন্দু ডাক্তার বলল, “আরো দুইদিন উঁষধ সেবন করুন, তাহলে অসুখের চিহ্ন আপনার শরীর থেকে চলে যাবে।' আমি বললাম, ভালই আছি, ওঁষধ আর সেবন করবো না। জনাব শাহ সাহেব কেবলা ও উক্ত হিন্দু ডাক্তার উভয়ে আমাকে ওঁষধ সেবনের জন্য গীড়াগীড়ি করতে লাগল। তখন উক্ত শাহ সাহেবকে বললাম, “কিছুক্ষণ পর ওঁষধ সেবন না করার কারণ আপনার খেদমতে আরয করবো।” ক্ষণকাল পর ডাক্তার চলে গেল। আমি-হুযুর গাউছুল আযম 'রছিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র আগমনের ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করলাম। মওলানা সাহেব এটা শুনামাত্রই অতিশয় খুশী হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করলেন। আরো কিছুক্ষণ অবস্থান করে তিনি চলে গেলেন। আমিও এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেলাম। দ্বিতীয় সপ্তাহে আপন নিবাসের যাত্রী হলাম। নিজ বাড়ীতে এসে হযরত গাউছুল আযম “রদ্িয়াল্লাহু আনহু*র আস্তানা চুম্বনের মাধ্যমে উভয় জগতের দৌলত অর্জন করলাম।
৩ |
এ ৮০৮০০. গু এ ৮৬তাশডিিলিও) এ:5৩355380-2 ্ 2/০/50৬+% -৮-৩৮৮৯৮০৫৭-০০৮০1৮৮৫৯৫ ৮৫৮ ্ ১৫/৮১০৫%৫, ৮০৮ ৮4৭ 2/2_74৯০% 4০1৯০1০৪০৬১ ছু ৩১০/৬৯০ -৮:/৮১৪৫৫৮০৮ ক 102015শ৫
এ_-০৮48//5 ন্ +১৮১৮৮০৪ ৮০৩৫৪১৪১০৮৬ রে 5০/০১-৪৮/৯৮০ি
| 117
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্তারী- ৯০ -$০৫৯৩৭০ ৭% হ৮দর্ভ ০০৮১৬৮6৪০৬১ ৮৫ ৫/ি১৮ এ ০৫১৫ ₹-//০47 -6০-12-৯4 ০৪০৫৮০৮-৫ 26700557005 রত ০৫৫4৮৯১৮৫৮৫
অন্তরে যে আস্তানার ধুলি হবে, নিশ্চয় সে আকাশের রবি হবে। গাউছে হক নূরে কিব্রিয়া হন, যে হয়েছে তব মহাসম্মানী হবে।
_ যারপরে তব নজর হল হে হযরত, নিশ্চয় সে প্রভুর সকাশে মগ্তুর হবে। রোগ যন্ত্রণা নেই তার দুই জগতে, যার তরে তবরূপ প্রাণ চিকিৎসক হবে। কে করিতে পারে তব স্তুতি গান? যদিও প্রতিমুখে শত জিহবা হবে। দুই জগতে নিশ্চয় তার মুক্তি মিলবে, অন্তরে যে তোমার প্রশংসাকারী হবে। টুকু মর্যাদা তব হবেনাকো বয়ান, সারা জগৎ যদিও ব্যাখ্যাতা হবে। পাক কদমে যে হয়েছে কুরবান, দেবকুলের সে নিশ্চয় সরদার হবে। হযরতের কৃপায় গৃহীত যে হবে, আর্শ ও লা.মকানের উড়ুক্কু সে হবে। তব দয়ার ছায়া পড়িবে যেথা, পেয়ে নিরাপত্তা দু'জগতে নিরাপদ হবে। হবে সে পরশ পাথর যে নিশ্চয়, অন্তরে যে পদতলে গোলাম হবে। যে মহান হযরতের দাসত্ব গ্রহিবে, সেতো দুই জগতের বাদশাহ হবে। তৰ মকবুলের কর্ম জিম্মাদার, তোমার কৃপা কোন কালে যদি হবে। নহে আজব দুই জগতে সে, প্রভু মিলন লাভে ধন্য যদি হবে।
কারণে এক ছাহেবে কারামাত অলির বেলায়ত চ্যুতির বিবরণ
বেলায়তের ঠিকানা, অঙ্গিকারপূর্ণকারী, গাউছুল আযম 'রদ্িযাল্লাহু আনহু'র বিশেষ খাদেম মৌলবী আহমদ ছফা সাহেব ও অন্যান্য সত্যবর্ণক ও সত্যপ্রবক্তা বন্ধুগণ উক্ত ঘটনার বর্ণনা এভাবে দেন যে, হওলা নিবাসী মুহসেনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক জনাব সম্মানিত মৌলবী মওলানা ইউসূফ আহমদ 'সাল্লামাহু রব্রুহচ্ছমদ' সরকারী বদলী নির্দেশ মতে চট্টগ্রাম থেকে বদলী হয়ে বগুরা কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক রূপে যোগদান করেন। সেখানে উচ্চস্তরের কশ্ফ ও কারামাতের
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯১ অধিকারী এক দরবেশ বসবাস করতেন। তিনি যা বলতেন তা বাস্তবে প্রতিফলিত হতো। সেখানকার জনসাধারণ প্রয়োজনীয় ব্যাপারে তার নিকট গমন করতো। একদা উক্ত দরবেশের অনুসারী কতেক ভক্ত-মুরিদ মওলানা সাহেবের সামনে বসে সে কাশ্ফ-কারামাত সম্পন্ন দরবেশের গুণাবলী বর্ণনা করতেছিলেন। মওলানা গভীর মনোযোগের সাথে দরবেশের গুণকীর্তন শুনলেন। তাদের আলোচনা শেষ হলে বললেন, প্রত্যেক অঞ্চলে উক্ত অঞ্চলের রক্ষক রূপে একজন অলি নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু আমাদের গাউছে পাক 'রদিয়াল্লাহু আনহু” হলেন আউলিয়াকুল সম্রাট তার সমকক্ষ কোন অলি বর্তমান যুগে খুঁজে পাবেন না।” মওলানার কথা শুনামাত্র তারা বলে উঠল, “আমাদের জানামতে এ কারামতধারী দরবেশ থেকে বড় কোন অলি জগতে নেই। কেননা আমরা তার অনেক কাশফ-কারামাত দেখেছি।” মওলানা ণণলেন, “ভাইসব! কামালাত ও উচ্চ মর্যাদা কি শুধু এক ব্যক্তির জন্যেই নির্ধারিত? অথচ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন; (১০০ /১ ০/-৫ 3$-৪$ “এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর একজন সর্বাধিক জ্ঞাতা (মর্যাদা ও সম্মানে বড়) আছেন।” অধিক অলৌকিকতার বহিঃপ্রকাশ মর্যাদার হেতু হতে পারে না।' মওলানার কথা শুনামাত্র তারা রাগে ফুঁসে উঠল। ৫. 4 819৮245-৫ € /৮৫৮৫০০৪০
''পলীল প্রমাণে পেরে উঠেনা যবে মূর্খ জনে, হাঙ্গামায় লিপ্ত হয় তখন কামেল সনে”
মওলানা সাহেবও 1০! 15113 0১1 ৯1৯ || ১$১।৯1319 “এবং মূর্ধের দল খন তাদের সাথে অযৌক্তিক তর্কে প্রলুব্ধ হয় তখন তারা বলেন, *শান্তি'।”' বাণীর আলোকে নিরবতা অবলম্বন করলেন। এ লোকেরা দরবেশের নিকট গিয়ে সত্য-মিথ্যা মিপিয়ে মন্ত্রবৎ কানে ফুঁকে দিল। দরবেশ সাহেবও ১০২| ৬১০)4৪|| ৭৯131 “যখন আসে ৩কদীরের চুড়ান্ত ফয়সালা, দৃষ্টি তখন অন্ধ হয়ে যায়।” প্রবাদের মর্ম মতে অপূরদরশী শিষ্যদের মন্ত্রে প্রভাবান্িত হয়ে গেল। বেয়াদবী মূলক বাচ্য গাউছে পাক 'বদ্িয়াল্লাহু আনহু"র মহান শানে উচ্চারণ করল। মাওলানার নিকটও সধমক সংবাদ পাঠাল যে, “তাকে বলে দেবে সে যেন ভবিষ্যতে সতর্ক হয়ে যায়।” অন্যান্য লোকেরাও তাকে বলল, “এমন মর্যাদাবান তরবারীতুল্য বাক্যের ধারক ব্যক্তিতের প[াপারে এ রূপ বলা আপনার মোটেই উচিত হয়নি।' মওলানা সাহেবও যে, দরবারে গাউসিয়ার কৃপা দাস, সুতরাং তাদের ভীতি প্রদর্শনে বলা গাল-গল্পকে অন্তরে
মোটেই স্থান দেয়নি। যেহেতু লোকেরা দিনের বেলায় মওলানা সাহেবকে অনেক ভয়
7 ॥1
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯২
দর্শিয়েছে সেহেতু তিনি গাউছুল আযম “রছিয়াল্লাহু আনহু" ফয়েজপূর্ণ দরবারের প্রতি মনোনিবেশিত হয়ে শুয়ে পড়লেন। স্বপ্নে দেখলেন যে, হযরত গাউছে পাক 'রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" তাশরীফ এনেছেন এবং মাওলানা সাহেব সশিষ্টে দু'জানু হয়ে হুযুরের সমীপে বসে আছেন। আর একটি লোমহীন শীর্ণ কুকুর দরজায় হাঁপাচ্ছে। এ ঘটনার পূর্বে উক্ত মাওলানা সাহেব গাউছুল আযম “রছিয়াল্লাহু আনহু'র আস্তানা চু্বনের নিমিত্তে যখন অফুরন্ত ফয়েজরাশির উৎসস্থল দরবারে হাজির হয়েছিলেন তখন গাউছে পাক 'রদিয়াল্লাহু আনহু” তাকে একটি “আসা" তথা লাঠি মুবারক প্রদান করেছিলেন। মওলানা সর্বদা উক্ত লাঠি সঙ্গে রাখতেন। কখনো কোথাও ফেলে যেতেন না। তিনি বগুরা যাবার কালে উক্ত লাঠিও সঙ্গে নিলেন। গাউছে পাক রাদিয়াল্লাহু আনহু" উক্ত লাঠি দ্বারা এ অপবিভ্র কুকুরটির দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, “এ দরবেশ হচ্ছে এই কুকুরটি। আমার দরবার হতে এখনও ফয়েজ প্রাপ্ত হয়নি তাই ঘরের বাইরে অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। আর তুমি আমার প্রিয়ভাজন। তুমি কেন তাকে ভয় পাবে? এ লাঠি দিয়ে তাকে এক ঘা মারো, সে পালিয়ে যাবে।” এটা বলামাত্র মাওলানার ধ্যান ভ হল। সকালে ঘুম হতে জাগ্রত হতেই স্বপ্নে দর্শিত কুকুরটির ন্যায় হুবহু একটি কুকুর ঘরের বাইরে দরজায় দেখতে পেলেন। তড়িৎ অযু করে উক্ত লাঠি দ্বারা এ কুত্তাটিকে এক ঘা লাগালেন। এদিকে যখনই কুকুরটিকে পবিত্র লাঠির ঘা মারলেন এদিকে সে দরবেশের সমস্ত কামালাত ও বেলায়ত ঠিক তখনই ছিনিত হল। সে ভীত-সন্ত্রথ, কিংকর্তব্য বিমূঢ় অবস্থায় কেঁদে কেঁদে মওলানার নিকট এসে নিজের কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগল।
০ ত৮৯০১৯৩১/৯৪
ডি 1 : পু শ্রী ৮1
এ শা তাল ৩১/১/4 0৩:৮৬৬ স তর?
০৮1679585/835/ত এটি
০৮7০০০০৫৯৮৪
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯৩ ০১১০৩৮৮০৫৪৪ ১৫৯৯৮৫০৩1৮5 অতি িতিপক্টা ১৫৮৮৮4557৮5 চরে ১1০৬০০০০৮০৮ ১০৮৮০০৮০৫৮৩ 4190০০-৮০ ৫০৩০ করা 17:4৮ ০745৬০84৮4৫ ০5/2049০%/-৮-55 ১৫4০%০৮০৪ মর্দে খোদাগণের সম্রাট গাউছে আযম আপনি,
আরেফ দলের মাঝে সর্ব সম্মানিত যে আপনি; ৩৭ গৃহীত যে প্রভুর অনুগৃহীত হবে সে, ূ
খোদার কাছে বিতাড়িত যারে তাড়িয়েছেন আপনি। আউলিয়াগণ সকলই আপনার চরণ গত,
আউলিয়াল্লাহদের মালে মর্ফাদ বান হে আগত অ'উলিয়াকুলে জারী আপনারই হুকুম সর্বদা,
প্রভূ তত্তজ্ঞানীগণ পরে হুকুমদাতা যে আপনি তুমি সেবিত সবের সকলই তব সেবাদাস,
কৃতবে আফখম নুকে আলম গাডাছে আযম তিনি
নিরব রার্ হারার 2৬. 2552 ট০০৪4728 আ'উলিহাগ০ হন তারকা প্রস্ভু ভি 2 আব,
প্রবল প্রতাপশালী বদশাহ সুলতানে আযম আপনি!
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯৪ সৃষ্টি জগত রচনা সর্বমূল সার আপনি,
মানব সকলই পাঠ আদম মর্ম যে আপনি। সকল সৃষ্টি বুদ্ধদ সাগর মূল যে আপনি,
সর্বজগৎ দেহ জগৎ প্রাণ যে আপনি। কদম তলে পদচিহ্ হতে অভিলাষ মনে,
আশাহত মকবুলের আনন্দ-বেদনা আপনি।
রচয়িতার আপন মামা, জনাব মওলানা মহাত্ত্্ন নজমুল হক ওয়াদদীন আহমদ সাহেব 'রহমতুল্লাহে আলাইহি*র পুত্র হাজীউল হারামাইনিশ্শরিফাইন জনাব মুহাম্মদ বশিরুল্লাহ সাহেব কাঞ্চনপুরী বর্ণনা করেন যে, একদা আমি এবং আমার জ্ঞাতি ভাই এরশাদুল্লাহ মিয়াজী উভয়ে ভাই মুহাম্মদ মুফিজুল্লাহু মিয়াজীর শুভবিবাহের কথাবার্তার জন্য ঈসাপুর পরগনার মুহাম্মদ আরহামুল্লাহ খোন্দকারের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হল। আমাদের সঙ্গের কতেক ব্যক্তি পূর্বে চলে গেলেন। তাদের সাথে কথা ছিল, দরবারে গাউছিয়ায় গিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবেন। এজন্য আমাদেরকে দরবার শরীফ হয়ে যেতে হল। আমরা যখন মাইজভান্ডার শরীফ গিয়ে পৌছলাম তখন তাদেরকে সেখানে পেলামনা। তখন যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছিল তাই আমাদেরকে বাধ্য হয়ে দরবারেই নিশি যাপন করতে হল। সে সময় হযরত গাউছে
পাকের আম্মাজান জীবিত ছিলেন। তিনি তাড়াতাড়ি খাদ্য রান্না করে খাদ্য ভর্তি
একটি ও শুন্য দুইটি বর্তন এনে আমাদের সামনে রাখলেন। আমাদের ক্ষুধা ছিল প্রবল কিন্তু বর্তনে আধা সের চাউলের অধিক পরিমাণ খাদ্য হবে না। আমরা উভয়ে এক বর্তনে এবং হযরত গাউছে পাক “রদিয়াল্লাহু আনহু" অন্য বর্তনে একই দস্তরখানায় বসে পড়লাম। তিনি নিজ পবিত্র হাতে আমাদেরকে খাদ্য বন্টন করে দিলেন এবং নিজেও নিয়ে খেতে শুরু করলেন। যখন আমরা খেতে বসেছিলাম তখন মনে মনে
ভাবতেছিলাম, এ খাদ্য আমার একার জন্যেও পর্যাপ্ত নয়। আল্লাহর কুদরতে আমরা | তিনজনই পরিপূর্ণ তৃপ্ত হয়ে খেলাম, কিন্তু এরপরও পূর্ববৎ খাদ্য বর্তনে অবশিষ্ট ছিল। বাস্তব পক্ষে প্রবৃদ্ধি ও প্রাচুর্য গাউছে পাক 'বছিয়াল্লাহু আনহু'র দরবারের আবশ্যকীয় :
রীতি। এটা কখনো বিদূরীত হয়না। আমরাতো সর্বদা দেখে আসছি যে, বিশজনের খাদ্যে চল্লিশ, গান জনকে ববেছ অত! জনুরপ প্রতোক কিছুতে এমন বরকত
পরিদৃষ্ট।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভাভারী- ৯৫
০ ০₹৮42//৮
. পাঁহাঁ ৮5৫ ০৮৮৬০৯৮০%
এ 71 1$.42/1%91 ০৯ একা ৮৬ 25052
কষা! 7৮৬৯৮2৮2৫৬৮
লি ০//০৮৫০2০- এ 71৮০ £০%৮৫7-%- তিলে একা ৯৮০/৮০৫ ৬0৮০108 এ %/৫৯ ৯১৮৯৮ ০₹৮৮৮৯$৫০2০৮ ৫1০১ ১/--200৮৮8/% ১৮৬৮৮4০৮৯
কুদরত রহস্যের বিকাশ গাউছে আযম আপনি হন।
নূরে ওয়াহদতের দর্পণ গাউছে আযম আপনি হন। দয়া স্ারকের ভান্ডার গাউছে আযম আপনি হন।
প্রজ্ঞা প্রণালীর ঝর্ণা,গাউছে আযম আপনি হন। দানশীলতা আর উদারতার উৎস গাউছে আযম আপনি,
মঙ্গল ও প্রাচুর্য সবের খনি গাউছে আযম আপনি হন।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯৬
ধূলী পলকে স্বর্ণ হয় তব দৃষ্টির বরকতে, . হাকিকতের অকসীর নিশ্চয় গাউছে আযম আপনি হন।
তব হিম্মতে অণু আরশের তারকা হয়;
নি:সন্দেহে সে হিম্মত সাগর গাউসে আযম আপনি হন। আপনার দ্বারে এল যে অফুরন্ত দৌলত পেল সে;
আমার ধন আর দৌলত সব গাউসে আযম আপনি হন। নেয়ামতের মালিক হয়, হলে তব শুভ দৃষ্টি,
দুই জাহানে মম নেয়ামত গাউছে আযম আপনি হন। যদিও মকবুল হীন হয় তব দরবারের ভিখারী সে,
দুই জগতের বাদশাহী গাউছে আযম আপনি হন।
রা রাতারাতি আমি দীর্ঘ দিন ধরে বক্ষব্যথায় ভুগতে ছিলাম। তা নিরাময়ে অনেক চেষ্টা তদ্ির করেছি; কিন্তু কোন উপকার হয়নি। একদা আস্তানা চুম্বনের সৌভাগ্য লাভের উদ্দেশ্যে দরবারে গাউছিয়ায় উপস্থিত হলাম। দরবারে সাম্মানিত ডাক্তার শামছুজ্জমানের সাথে সাক্ষাৎ হল। তাকে বক্ষের বাথার কথা বললে তিনি ডাক্তারী চিকিৎসা বাতলিয়ে দিলেন। এমন সময় বেলায়াতির ধারক হযরত ছৈয়দ মওলানা শাহ মছি উল্ল্যাহ সাহেব মির্জাপুরী “মদ্দাজিল্লা ফয়ুজানুপ্লাহুলবারী"র পুত্র ভাই মৌলবী ফযলুল বারী আমাকে বললেন যে, ভাই সাহেব সকল প্রকার গঁধধ থেকে খোদায়ী উঁষধধই উত্তম। আপনি হযরত গাউছে পাক “বদ্িয়াল্লাহু আনহু'র জুতা মুবারকের নীচ থেকে সামান্য নূর (পাদুকা ধুলি) নিয়ে
বৃ ৫ ৫ সিনহা যেখানে বাধা আছ্ছে সেদ্ধ শা লিনা কির দিন আত সন্রুর আরা গা লাঙি
হযরত গাউছুল আযম 'রছিয়াল্লাহু আননু'র জুতা মুবারকের নীচ থেকে সামান্য
ভুত
করবেন। আমি বললাম: কতইনা উত্তম, আমার ডি ত9 তাই। আমি তার পরামর্শ ছু
নূর (পাদুকা ধুলি) নিয়ে বক্ষস্থ বাথার স্থানে ভাল করে মালিশ করে দিলাম। আল্লাহর অণুগহে মন্থর্তিই আরোগ্য লাঙ হরলাম আছ পর্যন্ত উত্ত লাগ আর অনুভব হয়নি এধরনের কত সহস্র দূরারোগা বেছি গিরি শুল পাকের ভি বরকত আরোগা হচ্ছে
এপ কত লঙ্-কোটি মা নায়েব মানব ভু ৭০ হাচ্ছে
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯৭ ৬ ৫4৫৬9০৮৮52১4-0৩৮ ৮ ০985+802 (.:56715389138৮015 ্ 9০+০222//8 ৫-০৯:৮958/০৬, ৫9৫৫-৫4-০৯, ৬০ ৫১5১০-1৮৬) ৫৮595855246, উরি %- 14 ১০ ০/%১১ ৪৮০522224১8 | ১৮১৩ রি ৬5 ৫৮৮1০ ৮০ ০31৩] ৬৯:০০ দি ৬০১০১
৮০5৮ চি 1০ ভিপি
ঃ ক
১২৯৯
ট
£ তব
€ এ
ছি
৮ 751 8
রে ৮৩ ৮৪৮৬৪ ৬১৮,১1৮
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ৯৮ 35 6৫991595৩245৫ ৫৮০০5446১০৪ ৫৫০৮০১১০৭৮4 ৫৮০৯০০৮০৯০৮ অঙ্কিত যার অন্তরে হয় মহব্বত গাউছুল আযমের। হাশরে সে যোগ্য হয় শফায়াতের গাউছুল আযমের। প্রেমাম্পদ তিনি আল্লাহর তিনি যে মাহবুব নবীজির, যাহা চায় আছে মঞ্জুর করার শক্তি গাউসুল আযমের। তিনি সব অলির সরদার তিনি ইমাম যে সকলের আকাশে মর্যাদার তারা সৃজ্ঘবল গাউছুল আযমের। সকলের চাহিদা পুরায় সমস্যার দেন যে সমাধান পলকে বাসনা পুরায় মমতা গাউদ্ছুল আযমের। তাঁর ভান্ডারের দ্বার হতে কে বঞ্চিতরে জগতে? কার মাথার উপরে নাই রহমতের ছায়া গাউছুল আযমের? চুমু দেয় আস্তানার দ্বারে যে মানব-দানব সকলে সুমহান আরশের উর্ধে যে ইজ্জত গাউছুল আযমের। হেদায়ত জ্যোতি ছড়ায় সদা বাতি গাউছুল আযমের। মনোবাঞ্কা যে পূর্ণ হয় পলকে যে কারো দিকে মেহেরবানীর টুকু দৃষ্টি যদি হয় গাউছুল আযমের। হুকুম বরদার যে সকল অলি সে মহান হযরতের বেলায়তের ছায়া সবার বেলায়ত গাউচ্ছুল আযমের। ভিখারী সারাটি জগত সে মহান দরাবার শরীফের | দুই জগত বেষ্টিত যে বাদশাহী গাউছুল আযমের। সুমহান শান তাহার কেমন করে বুঝবে জগতে উভয় জগতের যে শেষ তা যে শুরু গাউছুল আযমের। যদিও ভিখারী মকবুল হয় সে বাদশাহ হবে কৃপা দৃষ্টির দান মঞ্তুর যদি হয় গাউছুল আযমের।
85855 575
রচিত চির বসন্তী বাগ ছে: ৮লকিত।)
ফজিলতপূর্ণ সুমহান দরবারের সত্যের স্মারক ও সত্যবাক খাদেমগণ বর্ণনা করেন যে, এক দরিদ্র কৃষক প্রতি বছর আখ চাষ করতো এবং অন্তরে স্বচ্ছলতার স্বপ্র দেখতো। কিন্তু আল্লাহর হুকুমে সমস্ত আখ পৌকা-মাকড় ও খেঁকশিয়ালে খেয়ে ফেলতো। পরিশেষে সে ব্যথিতহদয় কৃষক সর্বপ্রকার চেষ্টা-প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিপ্পায়প্রায় দরবারে পাকে নিয়ায মান্নত করল। যদি আমার ক্ষেত গাউছুল আযমের মে পাকের বরকতে পৌকা-মাকড় ও শিয়ালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায় এবং আসমানী ও জমিনী বালা-মুসিবত হতে নিরাপদে থাকে তবে অবশ্য হযরত কুতবুল আফখাম গাউছুল্লাহিল আযম মাইজভান্ডারী “রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু”র অলৌকিকতার নিদর্শন দরবারে বড় এক কলস গুড় ও বড় এক গুচ্ছ আখ পেশ বরবো, “ইন্শাআল্লাহ'। চিরস্থায়ী দৌলত গাউছিয়তের দোয়া ও দয়া নেব। আল্লাহর &খুমে খাইরুল আনাম “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র নামের গুণে এ বছর সে কৃষকের শ্৬ সকল প্রকার রোগ-বালাই, পৌঁকা-মাকড় ও শিয়ালের আক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ 'শরাপদ রইল। সে অনেক গুড় উৎপাদন করল। এ বছর আখ ও গুড়ের বাজার মূল্য শা পেয়ে এক হাঁড়ি গুড়ের দাম নূন্যতম পাঁচ টাকায় উপনীত হল। এ কৃষকের মনে ঠ1ণণা আসল যে, বড় কলসে এক কলস গুড় গাউছুল আযমের দরবারে নিয়ায দিয়ে 1ণ, পা৬ হবে? বরং ছোট্ট এক হাঁড়ি গুড় ও দুইটি আখ দরবারে পেশ করলে নিয়ায পন হয়ে যাবে।
্
05 4 ₹৮52৫ 58288 ০ 456৮8৬০০০৯৮ -৩+৪%% 1,০55 &. তি 5 ০৫০4৪ ্ ০৫-০৪/০5০ | (১০7/0,715 * ১৪০/০৮৮ ৪5৪৮৪০০৮০ ₹6০৮402 এছি ৩৮459055855 ০ 53245515555
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১০১
নেয়ামতের কৃতজ্ঞতায় লে যে বান্দা শাকেরী শান শুকরে হকের মাঝে আপে করে দেয় নির্বাণ।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১০০
14548559৬5৬৮-4ক্গ ৬ 55149113৮25
/8/০2তবড « 28505587522 অকৃতজ্ঞ হয়ে কেউ হারিয়ে গেল চিহ্হীন ০৫৩০০//9€ ০: ১০৮০০৮৫ প্রভু নৈকট্য বঞ্চিত দুভগি হায় দীনহীন জিরা রাড বারা, প্রভু হে তব নেয়ামত অগণিত সীমাহীন 0৩৫3৫৭৮০০০৩ প্রকাশিতে তব শুকর না পারি শক্তিহীন। 5১১9৫ 0550 5 ০৪ ৮%//// ওহে গাউছে খোদা তব হীন মকবুলে,
গৃহীত হবো নিশ্চয় টুকু কৃপাদৃষ্টি বর্ষিলে। মোদ্দাকথা প্রতারণা মিশ্রিত একথা বিশৃঙ্খলা প্রিয় অন্তরে সির করতঃ দুইটি মাত্র আখ ও এক হাঁড়ি গুড় নিয়ে গাউছুল আযমের দরবারে উপস্থিত হল। আনীত সামগ্রী পেশ করা মাত্র গাউছে পাক “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" জালালিয়তে এসে বললেন, 'হারামযাদা" না আমি আখ খাই, না মিঠায়? আমি সারা রাত শিয়াল তাড়াই আর তুমি পাঁচ টাকার হিসাব কষ।” একথা বলে মিঠার হাঁড়ি ও আখ দুইটি ছুঁড়ে মারলেন। সেদিন থেকে আখ চাষের সে জমিতে কোন ধরনের ফসল উৎপন্ন হয় না।
৩ হ-5/৬2এ৪+০৬% ৬-15552485%/07$
৮-//55৮০৫% ৮4-4-৮৮275 /94০০54৮-220৩ 0086১) /৮2 « ৮0১৮2+-০৯। কৃপণ নেয়ামত পরে করে নাকো শোকর, ছল করিতে প্রভুর সনেও নাহিকো তার ডর। নাহি পেলে নেয়ামত করে সে অনুযোগ, | মিলে যদিচ ফের অস্বীকার করে ঢের। না পেলে অন্তর রক্তে হয় রঞ্জিত, বখশিলে খোদায় হয় কারূনের মত। না পাওয়ায় নেইকো সবর ও সন্তোষ, পায় যদি করে নাকো শুকর নিক্ষলুষ।
“অচিরে ধীরে ধীরে টেনে নেব" বাণী আল্লাহর নেয়ামত দেন প্রভু তরে শুধু পরীক্ষার। জগতে যেথা মিলে নেয়মতের সুঘাণ, উদ্দেশ্য শুধুই অনুগৃহীতের ইমতেহান। স্বর্ণ-রৌপ্য আর যে, স্ত্রী, পুত্র পরিজন, স্বভাব বুদ্ধি আর বিদ্যা ও জ্ঞান, তব হস্ত পদ আর চক্ষু ও কান, তোমার নড়া-চড়া আর কার্যাদি যত:
নিঃসন্দোহে সবইতো আল্লাহ্র নেয়ামত!
নিশ্চয় তাকে পথ দেখালাম কুরআন মাঝার, কতইনা সুন্দর ঘোষণা শানে এটার।
9159468507৮ ৩-/5১০1/৮০০০
1১০,/_/০354-1১৮
পর পা ঞ& দে । / ৮ (401054৩৩০৮৩ পু 42 রে পু ৩. /০১৮০১/৫4৬/ ৮৮৮০০ টা মিঃ সা $
রি
, . ! সরা ৩০০৮৩ ০
১) 458 টি এ তে পাতা 852 তানি ৩৫ ্ সি পি চে
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভানডারী- ১০২ ৪৩.১০০৮৫-1৮৫০%/৮। 2:৫25200%8৯১১84 | ////5/7/1/80৮242 ৬-০৮৪9/০ +630০/51/809-050% ২১০৪০2০519৮,
-০১৯৯০৫০ 1১5 ০.০/০1%
গাউছে আযম মঞ্জুর করবে যারে সেতো সেরা হবে; গাউছে আযম ত্যাগ করবে যারে সে যে পতিত হবে।
মেহেরবানীর নজরে হেরিবে যারে সে নূরী তারকা হবে,
কহরের দৃষ্টি পড়বে যার পরে সে ভস্ম কালি হবে। | টুকু দয়ার দৃষ্টি যদিগো হয় মম গাউছে খোদার,
হোক কর্দম পলকে সে যে সুগন্ধ পুষ্প হবে। যে স্থানে সে দয়ার জলধি ফয়েজ বারি বর্ষিবে,
পাথুরে ময়দান যদিও হয় সবুজ উদ্যান যে হবে। রহস্য খনি গাউছে ধনের দৃষ্টি হবে যার পরে, হোক না সে ধুলি-ছালি লোহিত গন্ধক হবে।
লা শি
গাউছে খোদার দয়ার দৃষ্টি বারেক হল যার পরে
যদিও হয় সে ধূলিকণা পলকে অমূল্য রত হবে।
যার পরে হবে টুকু নজর সে রহস্য ভান্ডারের।
নিশ্চয় গুপ্ত রহস্যের বিকাশ বিশ্ব যে হবে।
| যার পরে সামন্য দৃষ্টি গাউছে রব্বানীর হবে
| 15545
এ অধীন মকবূল হীন দয়া সিঙ্ধুর বিন্দু মাত্র ্
ৃ 7 হোতা
17৮৮5৮৮4-
চিনি কোকিল, মিষ্টভাষী, সুকথক, স্বচ্চরিত্রবান, প্রতিজ্ঞা ও বিশ্বস্তার ধারক, ছাহেবে ধেলায়ত, মুন্সী বেশারত উল্যাহ্র পুত্র, সত্য ও স্বচ্চতার প্রতীক রাউজানস্থ হান্টর পাড়া নিবাসী শাহসূফী জনাব নূরুজ্জমান সাহেব যিনি গাউছুল আযমের নিরেট ভক্ত ও দরবারের একনিষ্ঠ খাদেম ছিলেন। তিনি অলৌকিকতাপূর্ণ এ ঘটনার বর্ণনা এভাবে দেন যে, একদা অন্ধকার রজনীতে মানুষ ভক্ষক বাঘ ও হিংস্র জন্তর অভয়ারণ্য গহীন গঙ্গলের নিকটে আমি বাহ্যে বসলাম। ভয় ও ত্রাসে কম্পিত অন্তর শিহরিত ছিলাম। এমন সময় একটি বাঘ জঙ্গল থেকে বের হয়ে আমার দিকে আস্ছে। তখন হযরত গাউছুল্লাহিল আযম “রদ্বিয়ানহুল্লাহুল আকরম” দৃশ্যমান হয়ে বাঘটিকে সধমক বললেন, “বেয়াদব! তুই কোথায় যাচ্ছিস? এ কথা বলা মাত্র উক্ত বাঘটি পালিয়ে গে্। এ অধম হযরত গাউছে পাক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু”কে দেখামাত্র সকল ৬য়-ভীতি অন্তর থেকে বিদূরীত হয়ে গেল। তড়িৎ শৌচকর্ম সেরে পূর্ণপবিত্রতা অর্জন পর্ণক অভিবাদনের নিমিত্তে ললাট ভূমিতে রেখে দিলাম। অতঃপর গাউছে পাক 'গািয়াল্লাহু তায়ালা আনহু” আগে আগে আমি তার পিছু পিছু সেখান থেকে যাত্রা িপাম। যখন আমার বাড়ীর নিকট এসে পৌছলাম তখন হযরত গাউছে পাক 'ণাখিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু" আমার দৃষ্টি হতে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
৬৯
০৪ 553১5377978 ১৮-৭১৯:৮৭০15-6। 05৮64455১4৮ * 50692714175
সব থেকে ভিন্ন আবার নিজে সর্বময়, নর দৃষ্টির অন্তরালে স্বয়ং দৃষ্টিমূল হয়।
গণ ও ঠমকে সদা নিত্যনব ঝলকে: বিচ্ছেদের রঙ্গে দেন দিদার প্রতি পলকে”
গাউছিয়তের মনোহরী রূপপ্রদীপের পতঙ্গ ও কুতবিয়তের বারেগাহে প্রাণ ৮*সগণশরীদের জন্য শুভসংবাদ যে, ধৃংসশীল ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর কর্মশালায় যখন 14”) পিএ দরবার সং্রিষ্ট অনুরক্তদের জন্য জগৎ বিজয়ী সৌন্দর্যের ঝলকে বিরহ
17/11দর্ণ রজনীকে আলোকিত করে প্রতি মুহুর্তে ভয়-ভীতি দূর করেন: তাহলে "ধশনণ কবরে আপন বিরহ-বিচ্ছেদের মদে মন্ত ব্থা-বেদনার শরাবালয়ের গণ।ণা,দ্ণকে অবশ্যই অবশ্যই পূর্ণশশী সদৃশ মুখোজ্যোতির প্রদীপ দ্বারা আলোকিত
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১০৪
ও শান্ত করবেন। বরং দৃঢ় আশা যে. ধুংশশীল জগতের চেয়ে আরো শত-সহগ্র গুণ দীপ্তিময় হয়ে চিরস্থায়ী পরজগতে অলয় সৌন্দর্য তপনে বিরহ-বিচ্ছেদের রজনীকে আলোকিত দিবস অপেক্ষা অধিকতর উদ্ভাসিত করে চূর্ণ অন্তর, বিদীর্ণ বক্ষ, প্রেম মদে মত্ত অস্ত্র প্রেমিক কুলকে মিলন দানে সুহ্ির করবেন নিঃসন্দেহে।
৩
/7/623-2/৮৬%
রনি /৯$০৮৩৪৯5/ 91455/7/১44015552)1 টি 70১৮০৮৬০৮৮৫ 1৮৯৯-18-44 ০০০০৪০৯৪০৮৫ ঢ 11481 855220/8501১)1 /6০44/05৮8 50171040158 | 2৮+5761/944535 10১ ৮://7/০৮০১৪ .:7৮-2-653 41151-5 ১০1, ৮/১ ৮,210130--%% 9৮৮622০58৮8
47 1851... দি ঠ:৬52 তিতির ও 0555 শান
51০4 তি রি 1০-4১-০৯০৫
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১০৫ গাউছে আযম দয়ার সাগর করুণা বিন্ধু তার,
অন্যের তরে হয় যে সাগর নেইকো শেষ তার। পাপ প্লাবনে কভু নাহি ডুবিবে কিস্তি তার,
মনে-প্রাণে হয়েছে যে চরণ সেবক তার। পাপের ভয়ে নাহি শঙ্কা আছো তুমি মদদগার,
যদিও আকাশ-পাতাল সম পাপস্তম্ত হয় তার।
মনোপ্রাণে যে হয়েছে পাক কদমের চিহ্ন তার। দুই জাহানের সুলতান সে নিশ্চয় হবেই হবে,
টুকু পেয়ে ধন্য যে হয়েছে দয়ার দান তার। দুই জগতে নেইকো ভয় নেইকো শঙ্কা তার,
মনোপ্রাণে জপে যে জন পাক নামটি তার। নই শুধু আমি একা বরং সকল আউলিয়া,
গর্বে মাতিবে রোজ হাশরে পতাকার তলে তার। জগত মাঝে জমালে খোদার খুশবো ছড়ায় তিনি,
আউলিয়াকুল ভমরা বুলবুল গুল আননের তার। দুই জগতে সাফল্য পাবে বেদিল মকবুল তার, যদিও হয়েছে কলংকী প্রেমে মজে তীর।
মিটি ভান হাজার আামারমামী লী আলা সাহেবের ওয়াহেদ আলী নামক এক ভূত্য ছিল। একদা তার কঠিন জ্র ছিল: অসুস্থাবস্থায় আমি প্রায়শ তাকে দেখা শুনা করতাম। ১৩২৩ হিজরীর ২৩ই '2৮ণ৩ড গউছে পাক "রাদিয়াল্লাহু তায়াল' আনহুর বেছাল শরীফের সাতাশ দিন পরে আমি মানবীয় প্রয়োজনীয়তা মিটানোর জন্য বাইরে গেলাম। ,শ১পণর্ধ সেরে ঘরের দিকে আসছি এমন সময় দেখলাম যে. হযরত গাউছে পাক 'এধদয়াপ্লাহু তায়ালা আননু" রাস্তায় দাড়ানো এবং হযরতের খাস খাদেম মৌলবী »'৩৮দ হুফা সাহেবও তার চাদর মোবারক নিয়ে পিছনে দাড়িয়ে আছেন। আমি
১০৮ ছক রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর সমীপে গেয়ে সংজদায়ে তাহিয়্যাহ"
»।০পদানের সজদাহ সমাপনান্তে ঘারে তাশরীফ আনয়ানের আবেদন জানাই। তিনি
১'*: 2৭ আসল।
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী ১০৬
বললেন, “ঘরে গিয়ে ওয়াহেদ আলীর নিকট আগুন জেলে দাও তার খুব শীত অনুভব হচ্ছে” আমি আদেশ পালনার্থে ঘরে গিয়ে কাজ সেরে শীঘ্বই যখন বেরিয়ে আসলাম তখন হযরত “রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু”কে দেখতে পেলাম না। পরে অনেক খুঁজেও কোথাও নাগল পাইনি।
৩%
নি রানো টা ০1৮০০ :৫৫987 | ৫৮১০৫ ৬৫০ এ৮৮৯৮৮৫৪৪০১/৫। 47৮০5754270 ০৬৮৫১০৫৮6১৫ ৮ £/1249১/০।৫/৮৫ ৯০/১৪/১০৬০ | 45৬৮ ৮০১১: 5৫৮৮৮১০৪৮০০ -72521%57892856/ 2-০৮৮০৪৭1/০॥ 4৮7088691৯৮ 984০ 9৫৬৪ শগার্4 9 উএ্ট -০৮৩৮৮৫৮০৫৬ 25-১1/%8০০ -৪/৮৬৯ ০2০1০৯৮০2০8
কারামাতে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী- ১০৭ আলো ছটালো জগৎ পরে যেই অবধি মোর সুলতান,
তপন সদৃশ উভ্ভাসিত চৌদিক ব্যাপিত রৌশন। বহু পুষ্প ফুটেছে জগতের এ গুলশান মাঝে; ..
জগৎ বাগে দেখিনি কোথাও তবরূপ গুল আনন। যুগে যুগে কত বাদশাহ করে গেল বাদশাহী,
ভবালয়ে কভু কি কেউ হয়েছিল তোমার মতন? জগত মাঝে কেউ কি কভু বুঝিতে পারে তব শান?
সুমহান আরশ তব পদব্রজে হয়েছে যে যিশান। লংঘিতে নাহি পারে কেউ ঘাড় ফিরায়ে তব ফরমান,
আকাশ-পাতাল ব্যাপী সর্বব্রজারী সে ফরমান।
বক্ষ হল লোহিত পুষ্প আর যে দীপ্ত তপন। হুর গেলমানের গলার হার প্রতি বিন্দু অশ্রুর,
মণি-মুক্তার খনি যবে হয়েছে তব প্রেমে এ নয়ন। শহীদে খঞ্জরে আবরূর তব আছে কি মরণে ভয়?
জানের বদলায় যদিরে পায় তব রূপ প্রাণের প্রাণ। কুপা বিতরে হে গাউছে ধন দাও এবে দরশন দান,
অন্বেষিয়ে তোমায় এবে মকবূল হয়েছে হয়রান।
'1৩ই বিস্তৃত যে, যদি প্রতিটি বৃক্ষ কলম হয় এবং তার পাতা সমূহ কাগজ হয় আর
গণ প্রাণী লেখক হয়ে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত লিখতে থাকে তবুও সহস্রাংশের
এণশংশ লিখতে সক্ষম হবেনা ।
/ (01১১১, ঢ £/51527/019/50/%71 সহস্র শ্রেষ্ঠতের প্রথম অনুচ্ছেদের প্রথম অণু যদি গণে; শত প্রলয় বহে যাবে হবেনাকো শেষ তাহা গণে।
_ সমাপ্ত _